একটু ভাবেন, প্লীজ।
আলেম, বক্তা হিসাবে আল্লামা সাঈদী এক পথকৃৎ, মাইলস্টোন। তিনি তাঁর সময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। সাঈদী শুধু বক্তা নয় একজন রাজনীতিবিদ দলের শীর্ষ নেতা। কিন্তু সমমনা কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যাক্তিকে হেয়, কটাক্ষ, ব্যাঙ্গ করে কথা বলেন নাই। উনার তুমুল সমালোচক, নিন্দুক ছিল কিন্তু কখনো আক্রমণ করে কাউকে কথা বলেছেন এমন নজীর নাই বল্লে চলে। আর এটাই গুণী, তাক্বওয়াবান, ইলমদার পরেহেজগার আলেমে লক্ষণ।
আমার ধারণামতে মিযানুর রহমান আযহারী হচ্ছেন সাঈদীর পরে এই সময় শীর্ষ জনপ্রিয় ওয়ায়েজ, বক্তা। তরুণ প্রজন্মের এক উজ্জল আইকন, মডেল। তিনিও নিন্দুকদের তীরে আক্রান্ত জর্জরিত হয়েছেন কিন্তু কখনো তির্যক ভাষায় কাউকে জবাব দেন নাই, কাউকে আক্রমণ করে কিছু বলেন নাই। প্রয়োজনে জবাব দিয়েছেন সুন্দর, শালীন, সৌহার্দপূর্ণ ভাষায়। এটা তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ, কোয়ালিটি।
এবার বিপরীত দিকটা খেয়াল করেন। নামের শুরুতে কত নানন্দিক লক্বব, লেবাস, পোশাকে কত ইসলামী ভাব কিন্তু ভিতরের রুপটা হয়ত অহংকার অথবা প্রতিহিংসায় ভরা। এরা আলেম? হয়ত সার্টিফিকেটের দিক থেকে আলেম কিন্তু আমলের দিক থেকে ধোঁকাবাজ ইলমের হেয়ানতকারী।
★★ ইমাম শাফেঈয়ী (রহঃ) আলেমদের ব্যাপারে কতই চমৎকারই বলেছেন....
ديانتنا التصنع والترائي فنحن به نخادع من يرانا
وليس الذئب يأكل لحم ذئب ويأكل بعضنا بعضا عيانا.
"আমাদের দ্বীনদারি, পরহেযগারি কেবল মেকি ও প্রদর্শনমূলক। আমরা এর মাধ্যমে আমাদের দর্শকদের সাথে প্রতারণাই করে থাকি। কোনো নেকড়ে অন্য নেকড়ের গোশত ভক্ষণ করে না, অথচ (আফসোস) আমাদের একজন অপরজনের গোশত ভক্ষণ করছে দেখে দেখেই।" (দিওয়ানুল ইমাম আশ শাফিঈ)
একদম সাধারণ পাব্লিকও সহজেই বুঝতে পারছেন তাক্বওয়াবান আলেম কারা, কাদের অনুসরণ করা মুহাব্বত করা যায়। আর ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর বাণীটা খেয়াল করেন কারা নিজেরা নিজদের গোশত চিবুচ্ছে এই সময়। তখন হক্ব বুঝার জন্য আর গবেষণা করতে হবেনা, হিংসুকদের চিনতেও সহজ হবে। হে আল্লাহ! হক্বানী আলেমদেরকে হিংসুকদের হিংসা থেকে রক্ষা করুন এবং দ্বীনের হেদমতের জন্য কবুল করুন।
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments