জামায়াতে ইসলামী কি আসলেই ইসলামী দল নয়? একটু চোখ মিলে দেখি?
কষ্ট করে পড়বেন !
ইসলাম শিখব , বুঝব, মানব কুরআন ও হাদিস এবং হযরত সাহাবায়ে কেরাম রা: দের থেকে ! নিশ্চিয়
কোন ব্যক্তি , কোন গোষ্ঠী , কোন মুরুব্বী , কোন বুঝুর্গুর কোন পীরের মতে নয় ।
কোন ব্যক্তি বো গোষ্ঠী থেকে ইসলাম নিলে যা হয় , দেখুন ।
==================================
বন্ধুরা “ দেড় হাজার বছর আগে নাযিল হলো আল কুরআন , শুরু থেকে এ পর্যন্ত এবং কেয়ামত অবিকৃত অবস্থায় থাকবে ।
জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মওদুদী র: কুরআন হাদিস গবেষনা করে বুঝলেন যে নামাজ , রোজা যেমন ফরজ , তেমনি দ্বীন কায়েম করার চেষ্টাও ফরজ । আর বিশাল এ দ্বীন কায়েম একা একা সম্ভব নয় তাই সংগঠন কায়েম করে সংগঠনের অধীনে জনগনের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ দ্বীন কায়েম করার চেষ্টা করা । এ জন্যই তিনি জামায়াতে ইসলামী নামে একটি ইসলামী সংগঠন কায়েম করেন ।
তারপর যা শুরু হলো :-
“”””””””””””””””””
ফতওয়া :-
ইসলামে রাজনীতি হারাম , ইসলামে রাজনীতি নাই , ইসলামের নামে দল করা হারাম ।
* মওদুদীর আক্বিদাহ খারাব * মওদুদী ফেৎনাহবাজ , বাজে গালিগালাজ ।
কারা দিলেন ফতওয়া ?
:::::::;;;;;;;::::::::::;;;;;;;
আমাদের সম্মানীত আকাবেরগণ , মুরুব্বী ও উস্তাদগন. ওলামায়ে দেওবন্দ তথা কওমী হযরত উলামায়ে কেরামগণ ।
এ ভাবে চলতে থাকল ফতওয়া !
কোনঠাশা হলো সদ্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামী সংগঠন জামায়াত ।
এবং সুবিধা হলো ইসলাম বিরোধী সংগঠন গুলোর । আর তাতে আনন্দ উপভোগ করতে থাকলেন হযরত ফতওয়া দানকারী ও তাদের অনুসারী গন ।
এরই মাঝে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেল !
অত: পর হক্বের পক্ষে সাড়া পড়ল ! তা কি ভাবে ?
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
ফতওয়া আসল !
“”””””””””””” তাওবাহ - তাওবাহ -তাওবাহ
কিশের তাওবাহ ?
তৎকালীন বাংলাদেশ সকল কওমী হযরত উলামায়ে কেরামগণ হযরত মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর র: কে সবাই মুরুব্বী মানত ।
তিনি ঘোষণা দিলেন তাওবাহ !
ইসলামে রাজনীতি নাই এ কথা বলে ভুল করেছি , অন্যায় করেছি তা থেকে তাওবাহ করলাম ।এবং ইসলামী রাজনীতি ফরজ , এই ফরজ পালনে সংগঠন কায়েম করলাম সে সংগঠনের নাম খেলাফত আন্দোলন ! আল হামদুলিল্লাহ ।
১৯৮৬ ইং সনে হযরতে অংশ নিলেন জাতীয় নির্বাচনে ।
স্মরণ করুন , তারা কিন্ত বলছিল , ইসলামে রাজনীতি ভোট এ সব হারাম । এগুলো জামাত করার কারনে জামাতকে কাফের আকিদাহ খারাব বলে ফতওয়াও দিত ।
যাই হোক সেই হারাম এখন হালাল আলহামদুলিল্লাহ
জামাত ৩০ বৎসর আগে যা ফরজ ও হালাল মনে করতেন এরা ৩০ বৎসর পর বুঝল ।
অত:পর ১৯৮৬ র পর এই খেলাফত আন্দোলনে নেতৃত্বের কোন্দলে ভাঙন সৃষ্টি হয় ।
পর্যায় খেলাফত আন্দোলন ভেঙে যা হয়
১ খেলাফত মজলিশ
২ ইসলামী স্বাশনতন্ত্র আন্দোলন
৩ ইসলামী ঐক্য জোট ৩ ভাগ
ফেলাফত মজলিশ ২ ভাগ
১/ শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক সাহেবের নেতৃত্বে
২/ অধ্যক্ষ ইসহাক সাহেব নেতৃত্বে ।
ইসলামী স্বাশনতন্ত্র আন্দোলন ২ ভাগ
১/ সৈয়দ ফজলুল করীম র: পীর সাহেব চরমোনাই।
২/ ব্যরিষ্টার কোরবান আলী র: এর নেতৃত্বে ।
ইসলামী মোর্চা
মুফতী মরহুম ফজলুল হক আমিনী
ইসলামী ঐক্য জোটে যারা ।
১ খেলাফত মজলিশ ১/ ইসলামী স্বাশনতন্ত্র আন্দোলন৩/ ফরায়েজী আন্দোলন /৪/ নেজামে ইসলাম ৫/ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
নেতৃত্বের কোন্দলে আবার
স্বাশনতন্ত্র আন্দোলন ও জাতীয় পার্টি র জোট ও জাতীয় নির্বাচনে লাঙল প্রতিকে অংশ গ্রহন ।
পরি শেষে এখন একক নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন ।
অত:পর
শুনুন
জামাত প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ ও পর্যন্ত নেতৃত্বে কোন্দল হয়নি । আশা করি হবেনা কারণ এরা একমাত্র আল্লাহর রেজামন্দির জন্য এ কাজ ।
জামাতের ভিতর নেতৃত্বে কোন স্বজনপ্রীতি আত্বীয়করনের কোন নজির নাই ,কারন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নেতা তৈরি করেন ।
আর অন্য ইসলামী দলগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন তাদের নেতা কে ও কি ভাবে তৈরি হয় ।
এবার বন্ধুরা ভেবে দেখুন ,
জামাত প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত যত কর্মসুচী পালন করছেন বা কাজ করছেন , জামাতের বিরুদ্ধে যারা ফতওয়াবাজি করছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ ময়দানে নেই ! আর যারা আছেন তারা কিন্ত ময়দানে যত কর্মসুচী পালন করে সব গুলো জামাত শিবিরের অনুকরণে , তাদের দেখে পথ চলে । জামাত শিবির তাতে খুশি , এবং জামাত শিবির তাদেরকে দ্বীন বিজয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক শক্তি মনে করেন ।
কি ভাবে জামায়াত অন্য ইসলামী শক্তি কে সহায়ক শক্তি মনেকরেন ?
“”””””””””””””
বন্ধুরা “১৯৯৬ সনে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আশার পরে
ছাত্রলীগ শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক সাহেবকে ঢাকার জগন্নাথ কলেজের সামনে আক্রমণ করে ।
তখন রাজপথে ১ম ছাত্রশিবির প্রতিবাদ মিছিল করেন ।
শায়খুল হাদিস পুলিশ হত্যার মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের
পর বাংলার আকাশ বাতাশ ভারি করে কঠোর প্রতিবাদ করেন মজলুম আল্লামা সাঈদী । নিশ্চয় তা আপনাদের ভুলে যাবার কথা নয়।
কিন্ত তারা দোয়াও করতে রাজি নয় । এর বিবেচনা আপনাদের কাছে ।
কিন্ত কষ্ট লাগে তখন
যারা জান্তইনা ইসলামে রাজনীতি আছে , যারা বলতো হারাম
হারাম , সেই হারাম কে কুরআন হাদিসের মাধ্যমে হালাল হিসেবে যারা প্রতিষ্ঠা করল , তাদেরকে ওরা বলে জামাত ইসলামী ইসলামী দল না ।
বাংলাদেশে যত ইসলামী সংগঠন রয়েছে , জামায়াত তাদেরকে দ্বীন কায়েমের সহায়ক শক্তি মনে করে ।
যারা জামাতের বিরোধীতা করেন ,
তাদের বলব , ইসলাম পালন কুরআন সুন্নাহ থেকে শিখুন । আপনার মুরুব্বী বলছিল হারাম আর আপনি ও বলবেন হারাম তাহলে কুরআন হাদিস আছে কি জন্যে ।
আপনি কি কখনও ভেবেছেন ?
যে মরহুম হাফেজ্জী হুজুর র: যদি তাওবাহর রাজনীতির আহবান না করতেন তাহলে কি আপনারা এ পথে আস্তেন ?
তাহলে ইসলামের এই ফরজ কাজ কে হারাম ফতওয়া দিয়ে জাতি কে জাহান্নামে নিয়ে যেতেন । অথচ কুরআন হাদিস উপস্থিত
যারা এ রাস্তা দেখালো তাদের কে বলেন পথভ্রষ্ট ?
মরহুম পীর সাহেব হুজুর চরমোনাই তার বয়ানে বলেছিলেন,
যে বাবারা কবরে যদি আযাব নাহয় তহলে আপনারাও বাচলেন আমরাও বাচলাম । আর যদি কবরে আযাব হয়েই যায় তাহলে কি ঊপায় হবে ।
জামায়াতে ইসলামী ইসলামী দল না এ কথা যদি মিথ্যা হয়
তাহলে কি জবাব দিবা আল্লাহর কাছে ।
আল্লাহকে ভয় করুন ।
জামায়াতে ইসলামকে যারা ইসলামী দল মনে করেনা , তারা হয়ত হিংসুক , নাহয় মুর্খ ।
-------------------------------------------------
0 Comments