Recent Tube

বিয়ের লোভ থাকা ভাল কিন্তু লোভে বাকীতে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান ইজ্জত দেয়া চরম বোকামী নয় কি? কুতুব শাহ।

বিয়ের লোভ থাকা ভাল কিন্তু লোভে বাকীতে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান ইজ্জত দেয়া চরম  বোকামী নয় কি?

  এখন প্রায় শুনা যায় "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ"। বিয়ের লোভ থাকা ভাল কিন্তু লোভে বাকীতে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান ইজ্জত দেয়া চরম  বোকামী নয় কি? আজকাল তো ছোট দোকানেও লেখা থাকে বাকী চাহিয়া লজ্জা দিবেন না, তাহলে তারা জীবনের এত মূল্যবান সতীত্ব কিভাবে বাকীতে দেয় সেক্রেটারি সাহেব?

ভার্সিটিতে নারী নির্যাতন ছাত্র বা শিক্ষক গ্রেফতারের ঘটনাও অহরহ দেখা যায়। নিউজটা প্রায় এরকম....
জনৈক শিক্ষক ছাত্রীদের ফুঁসলিয়ে তার ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতেন। ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতেন। শিক্ষকের কথায় রাজি না হলে, ছাত্রীদেরকে তার সাবজেক্টে ফেইল করিয়ে দিবেন, বলে হুমকি দিতেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি এসব অপকর্ম করে ইত্যাদি।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, অনার্সের ধামড়া ধামড়া মেয়েদের ফুঁসলাইয়া ফ্ল্যাটে নিতেন, সেইটা কেমনে? একেতো স্মার্ট মেধাবী মেয়ে, তার উপর দেশের বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স, মাস্টার্স পড়ুয়া! এরা কি নাবালিকা? কিচ্ছু বুঝে না? এরা নিজ ইচ্ছায় না গেলে, কারো সাধ্য আছে নাকি জোর করে ফ্ল্যাটে  নেওয়ার?

 বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লম্পট কিছু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রায়ই একটা কমন অভিযোগ! "সম্পর্ক স্থাপন না করলে, ফেইল করিয়ে দিবেন", তাই ছাত্রীরা সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হতো! বাহ! কী মজাদার, চটকদার কথা! নিজের ইজ্জতের চেয়ে পাশ ফেইল বড় হয়ে গেলো? কেউ যদি বলে, তোমাকে ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট বানিয়ে দেবো, বিনিময়ে আমাকে "পুষিয়ে" দিতে হবে! আপনি "পুষাইয়া" দিবেন? ফার্স্ট হবার লোভে, রেজাল্ট ভালো হবার লোভে এইটা বলতে কি  লজ্জা লাগে সেক্রেটারি সাহেব?

  ধর্ষণের অনেক টপ নিউজে দেখবেন, "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ "! ধর্ষণ মানে তো জোর করে কিছু করা! ইচ্ছার বাইরে অনধিকার চর্চা করা কিন্তু বিয়ের প্রলোভন হলে তো সে জোর করে কিছু করেনি। আপনাকে একটা লোভনীয় অফার দিয়েছে। তাতে আপনি রাজি হয়ে গেছেন! তাইনা? এছাড়া কেউ বিয়ের প্রলোভন দেখাইলেই তার বিছানায় যেতে হবে? গেছেন তো উভয়ের সম্মতিতেই! এখন মনোমালিন্য হওয়ায়, শুধু পুরুষের দোষ, আপনি নিষ্পাপ! তাই কি?

   বিষয়টি এমন নয় আমি ধর্ষক,লম্পটদের পক্ষে বলছি! ধর্ষকেরা নি:সন্দেহে জানোয়ার! আমরা অনেকেই অসভ্য কিছু শিক্ষকের খারাপ চরিত্র সম্পর্কে জানি, অনেক লম্পট শিক্ষককেও দেখি। কিন্তু এই দোষে শুধু পুরুষ একা দোষী না, সেটাই বলতে চাচ্ছি। অনেকের অভিজ্ঞতা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সাথে "সুসম্পর্ক" রেখে অনেক ছাত্রী ভালো রেজাল্ট করে বেরিয়ে যায়! অথচ, যদি কোনো কারণে শিক্ষকের সাথে দ্বন্দ্ব হতো, তাহলে কি হতো? নিশ্চয়ই তখন দোষ শুধু ওই শিক্ষকের হয়ে যেতো! অথচ রেজাল্ট ভালো করার জন্য এরা নিজেরাই স্যারদের "এডভান্টেজ" দিসে! অস্বীকার করতে পারবেন সেক্রেটারি সাহেব?

  আপনি যদি এগুলো বন্ধ করতে চান, অবশ্যই দুই পক্ষের দোষটা দেখতে হবে! দুইপক্ষকেই শাস্তি দিতে হবে। শাস্তি না দিতে পারলেও কমপক্ষে এটা জানাইয়া দিতে হবে যে,অপরপক্ষেরও দোষ ছিল! কিন্তু যদি একতরফা দোষারোপ করেন, তাহলে এইগুলা কোনোদিনই বন্ধ হবে না!

  যেমন ধরেন, দুইয়েকদিন আগে শাহবাগে প্রকাশ্যে দুইজনের চুমাচুমি দেখে প্রগতিশীলেরা বাহবা দিচ্ছে! আ রে দুইজনের সম্মতি থাকলে এইসব তো খুউউউব ভাল! তারা মূলত এই ম্যাসেইজ দিতে চাচ্ছে। কিন্তু গৃহ অভ্যন্তরে একই কাজ করে যখন কোন গেঞ্জাম লাগে তখন রেডিমেড বুলি উগলে দেয় " বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ"। তখন ছেলেটা ফেঁসে যায়! কিছু ক্ষেত্রে মেয়েটি হয়ত একদম হেজাব পড়ে, সাধু সেজে রাস্তায় বসে বিচার চায়। এমন দৃশ্য দেখছেন না গত কয়েকদিন ধরে? এখানে কি ছেলেটা একা দোষী? 

  ইসলামের বিধান খুব চমৎকার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের বিচার শরীয়া আইনে হলে দুইজনই শাস্থি পাবে। কারণ এখানে দুইজনেরই সম্মতি আছে। ধর্ষণ সেটাই যেটা একজনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে শক্তিপ্রয়োগ করে করা হয়! কথা কি ক্লীয়ার বা'জান নাকি ভেজাল আছে?
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments