(১) জুমার খতীব সাহেবদের জন্য আজ বয়ানের বিষয় হতে পারে, সুন্নার আলোকে সালামের গুরুত্ব, সালামের পটভূমি, সালামের বিধান, সালামের ফজিলত ইত্যাদি।
যারা কেন্দ্রীয় বা এলাকার বড় মসজীদের খতীব তারা সুন্নার আলোকে জীবন, সুন্না আমলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সুন্নার প্রচলন, প্রসার, প্রচারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
যেসব খতীব চলমান প্রেক্ষাপটের আলোকে যৌক্তিক, দালিলিক আলোচনা করেন তাদের বয়ানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করলে ভাল।
....
(২) পূজার সময় একটা ডায়লগ প্রচার করা হয়, ধর্ম যার যার উৎসব সবার! অতচ, কোরবানির সময় এই ডায়লগ প্রচার করে না। মূল ডায়লগ হবে, ধর্ম যার যার উৎসব তার তার।
আমি কি সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিলাম? নাহ, মোটেই নয়। প্রত্যেক ধর্মের লোক তাদের উৎসব পালনে নিরাপত্তা দেয়া সরকার জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ব শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা।
মুসলীমেরা কেন অন্য ধর্মের উৎসব পালন করতে পারেনা? এর জবাব হল, প্রত্যেক ধর্মের উৎসব, রীতিনীতি, বিধান আলাদা। তাই একটার ভিতর আরেকটা ঢুকিয়ে দিলে নিজস্ব স্বকীয়তা, বৈশিষ্ট্য, সুন্দর্য্য হারিয়ে যায়। যেমন, রিক্সার সাথে বাসের যন্ত্রাংশ ফিট করলে রিক্সাও হবেনা, বাসও হবেনা! অনুরুপ একটা ধর্মের পার্ট অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে ফিট করলে দু'টোই নষ্ট হয়ে যায়। প্রত্যেক কিছুর রাস্তা, তরীকা আলাদা। নদীতে রিক্সা আর রাস্তায় নৌকা চালানোর চেষ্টা ঠিক না। যার জন্য যেপথ সেই পথই নিরাপদ। প্রত্যেক ধর্মের পথ আলাদা। তাইনা?
খতীব সাহেবেরা কট্রপন্থা পরিহার করে যুক্তি, দলীলের মাধ্যমে ভিন ধর্মীদের উৎসবে মুসলীমদের অংশগ্রহণের বিধিমালা নিয়েও এসময় আলোচনা প্রাসঙ্গিক।
★★ আপনার খতীব সাহেবের আইডি থাকলে ম্যানশন করতে পারেন যাতে তিনি আলোচনার প্রস্তুতি নেন।
-------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments