Recent Tube

জামায়াতের কর্মী সমর্থকগণ কারো অন্ধ আনুগত্য করেন না এবং কারো অন্ধভক্ত নয়। ---ইবনে যুবাইর।

  
জামায়াতের কর্মী সমর্থকগণ কারো অন্ধ আনুগত্য করেন না এবং কারো অন্ধভক্ত নয়।

  জামায়াতপন্থী লেখকদের সফলতা আর কিছু ব্যর্থতা নিয়ে কিছু আলোচনা করা যেতে পারে।
মধ্যখানে বিশাল এক ঝড় হানা দিয়েছিল ফেসবুক পাড়ায়। সে ঝড়ের ভয়াবহতায় আমি নির্বাক-নীরব দর্শক ছিলাম।

 বড়রা কথা বললে ছোটদের নীরব থাকার মধ্যে কল্যাণ নিহীত থাকে। তবে বড়রা যদি কখনে পথ ভু্ল করেন তবে ছোটদের দায়িত্ব পরামর্শ প্রদান করে তাদেরকে সঠিক পথটি বাতলে দেয়া।

  আমি যতটুকু জানি মুফতি আমির হামজার কিছু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে তাকে সংশোধনের লক্ষ্যে বড়দের মধ্যে কথাবার্তা চলে আসছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আমি নীরব থাকা শ্রেয় মনে করেছি।
অনেক দ্বীনি ভাই আমির হামজাকে নিয়ে লিখেছেন।কেউ সীমার মধ্যে থেকে আবার কেউ লিখেছেন সীমাতিক্রম করে।

  ইতিমধ্যে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আলহামদুৃ লিল্লাহ।এটা আমাদের ভাইদের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং মহান রবে রহমত বিশেষ। 
কথা হচ্ছিল জামায়াতপন্থী লেখকদের সফলতা ও কিছু ব্যর্থতা  নিয়ে।

  সফলতা হল,আমির হামজার বিতর্কিত বিষয়গুলো জামায়াতপন্থীরা অন্ধভাবে সাপোর্ট করেন নি। তাই প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্য তার সমালোচনা করেছেন; অনলাইন এবং অফলাইনে।মুফতি আমির হামজাকে ভাইরাল করেছেন জামায়াতপন্থী লোকেরা।আবার তিনি যখন কিছু বিতর্কিত বিষয় প্রচার প্রসারে উদ্যোগী হয়েছেন তখন জামায়াতপন্থীরাই তার লাগাম টেনে ধরেছেন। 

  তাহলে বুঝা গেল যে জামায়াতের কর্মী সমর্থকগণ কারো অন্ধ আনুগত্য করেন না এবং কারো অন্ধভক্ত নয়।এ শিক্ষা জামায়াত সমর্থকদের কে শেখাল?
  জাবাব, জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত কোথায় শিখল? জবাব,ইসলাম থেকে। ইসলাম আল্লাহ ও রাসুল(সঃ) ব্যতীত অন্ধ আনগত্য করতে অনুমিত দেয়না। তাই আকাবির পূজার জামায়াতে স্হান নেই।

  জামায়াতপন্থীদের ব্যর্থতা,সমালোচনার একটি নিদিষ্ট সীমা আছে। সেই সীমা অনেকেই অতিক্রম করেছেন। সীমাতিক্রম নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন না। সংশোধনের উদ্দেশ্য দরদি মন নিয়ে সমালোচনা নিন্দনীয় নয় বরং প্রশংসারও।
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments