Recent Tube

মতিউর রহমান নিজামী সাহেব আল্লাহকে ভালোবেসে, আল্লাহরই ভালোবাসা পেতে যেভাবে ফাঁসির মৃত্যুকে ঘরে ডেকে এনেছিলেন। ইবনে যুবাইর।


মতিউর রহমান নিজামী সাহেব আল্লাহকে ভালোবেসে, আল্লাহরই ভালোবাসা পেতে যেভাবে ফাঁসির মৃত্যুকে ঘরে ডেকে এনেছিলেন। 


মতিউর রহমান নিজামী রহঃ যেভাবে ফাঁসির মৃত্যুকে ঘরে ডেকে এনেছিলেন। 
বিষয়টি খুব সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করব,ইনশা আল্লাহ।তার আগে কৌমি সমাজ নিয়ে দু'চার কথা বলা আবশ্যক বলে মনে করছি।
কৌমিতে অনেক আলেম আছেন যারা কৌমি অঙ্গনে অবাঞ্চিত। কেন?ছোট করে জবাব হল, যারা কৌমি অঙ্গনে অবাঞ্চিত তারা ছল চাতুরী,সত্যকে মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে ঢেকে রাখতে শিখেন নি।

     উদাহারণ নেয়া যেতে পারে,সিলেটের দু'জন খ্যাতিমান  আলেম,Bashiruz Zaman
 তিনি মাওলানা মওদূদী(রহ.)-এর প্রতি কৌমি ও দেওবন্দী আলেমদের মিথ্যা অভিযোগের জবাবে সত্যের মশাল ও সত্যের আলো বই লিখে কৌমি সমাজ তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ক্ষ্যান্ত হয়নি।তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হলে তিনি জানের ভয়ে দেশ ত্যাগ করে চলে যান।এখনো তিনি বিদেশেই আছেন।

   দ্বিতীয়জন কৌমি Mawlana Abdul Hai Zihadi সাহেব।তার একটি সময় কাটে মাওলানা মওদূদী ও আল্লামা দেলুয়ার হোসাইন সাঈদীর তীব্র বিরোধীতা করে।এই বিরোধীতা তাকে কৌমির উচ্চ মর্যাদায় আসীন করে।

    এরপর যখন মাওলনা মওদূদী(রহ.)-এর বই তিনি অধ্যায়ণ করে কৌমি ও দেওবন্দী আলেমদের মাওলানা মওদূদীর বিরোধীতার ইসলামী শরিয়ার কোন ভিত্তি নেই বলে নিশ্চিত হোন এবং তাদের মিথ্যা অভিযোগ খন্ডনে লেখালেখি শুরু করেন তখন তিনি হয়ে যান কৌমি অঙ্গনে অবাঞ্ছিত ও  মাওলানা মওদূদীর দালাল।উদাহারণ টানার উদ্দেশ্য হল,হক আর বাতিলের পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য।হক বললেই বাতিলের গায়ে জ্বালা ধরবে এটায় চিরন্তন সত্য।আমরা হক বাতিল নির্ণয় করতে শিখেছি লেবাসে।যার লেবাস যতবড় সে ততবড় আলেম এই কুশিক্ষা আমাদের মন-মগজে আজ বদ্ধমূল হয়ে গেছে।
আমরা আলোচনা করছিলাম নিজামী সাহেব  যেভাবে ফাঁসির মূত্যুকে ঘরে ডেকে এনেছিলেন।
ভারতের পরিচালালনায় মঈন ফকরুদের ঘাড়ে  চড়ে হাসিনা ক্ষমতায় আসীন হবার পর তার গোয়েন্দাবাহিনী জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে গোপন বৈঠকে মিলিত হন।গোয়েন্দাবাহিনী  প্রস্তাব রাখে,হাসিনা জামায়াত নেতাদের বিচার করতে চান না।কিন্তু বিচার না করে কোন উপায়ও নেই।কারণ,জামায়াত নির্মূলের এজেন্ডা নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে।

    তবে দু'টি শর্ত মেনে নিলে হাসিনা সরকার জামায়াত নেতাদের বিচার করবেন না।এক. আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজো করে চলতে হবে।
দুই.কোন বিষয় নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খোলা যাবে না।
    মাওলনা মতিউর রহমান নিজামী উত্তরে বলেন,আমরা জানি,আওয়ামী লীগ প্রহশনের বিচারের মাধ্যমে আমাদেরকে হত্যা করবে।অন্যায় ও ইসলাম বিদ্বষী শক্তির সাথে আপোস করা ঈমানের দাবি নয় বিধায় আমরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি।
    তারপরের ঘটনা সকলের চোখের সামনে।সুখ রঞ্জন বালি গুম,স্কাইপ কেলেংকারীর ঘটনা,আমি খাড়াইয়া যামু,আপনে বসাইয়া দিবেন।একটার পর একটা জুডিশিয়াল কিলিং।জামায়াত নির্মূলে বিদেশি ষঢ়যন্ত্রের চেয়ে দেশি লেবাসী বন্ধুদের ষঢ়যন্ত্র ছিল আরও বেশি ভয়ঙ্কর।ইসলামী আন্দোলন করতে গিয়ে যদি বাতিল শক্তি আপনার উপর চড়াও না হয়,এই দল ও দলের নেতা-কর্মীদের  উপর যদি অত্যাচার-নির্যাতন নেমে না আসে, ফাঁসির মঞ্চ ও জেলের কুঠুরিগুলো যদি প্রস্তুত না হয় তবে জেনে নিতে হবে এই দল ইসলামী দল নয়,দলের নেতা-কর্মীদের লেবাসের বহর যতই লম্বা হোক না কেন।
আজ হকের মানদন্ড হচ্ছে লেবাস,কুরআন ও সুন্নাহ নয়।এই বিকৃত চিন্তার দৈন্যতা থেকে জাতির অধপতনের সূচনা।এই রোগ জাতিকে আছন্ন করে রেখেছে।মুনাফিকদের ব্যাপারে আল্লাহ কঠোর হতে বলেছেন।আর আমরা মারছি তেল।পরিনাম ফল যা হবার হয়েছেও তাই।
-----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক: ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments