হেফাজতকে আল্লাহ হেফাজত করুন। ৷ --কুতুব শাহ।

  হেফাজতকে আল্লাহ    

  হেফাজত করুন। 

     বিষয়টি নিয়ে লেখা উচিৎ কি উচিৎ নয় তা নিয়ে চরম বিব্রত! কারণ, যদি লিখি চরমোনাই পক্ষ আঙ্গুল দেখিয়ে বলবে ঐ যে দেখো জামায়াত সমর্থকেরা হেফাজতকে দখলে নিতে চাচ্ছে! আর যদি না লিখি তাদের প্রচারিত মিথ্যাকে অনেকে সত্য মনে করবে!

     চরমোনাইর এক নেতা তার ফেইসবুকে আজ স্ট্যাটাস ঝাড়লেন " গোয়েন্দা প্রতিবেদন হেফাজতের নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর বিএনপি জামায়াত ঘনিষ্ঠরা"। সূত্র হিসাবে তিনি সমকালের প্রতিবেদনকে দলীল হিসাবে নিলেন। তবে তাদের ভেদে মা'রফত আর আশোক মাশুকের দলীলের বিবেচনায় "সমকাল" পত্রিকার দলীল মন্দনা।  আরো ইন্টারেস্টিং বিষয় চরমোনাই অনুসারী নেতা আল্লামা মামুন সাহেবের শাশুড় বাড়ীর লোকজনকে জামায়াত সমর্থক বলে চিহ্নিত করে আল্লামা মামুনকে তীরের নিশানা বানান। বুঝতেই পারছেন তাদের প্রতিহিংসার লেভেল কত জঘন্য। 

     কীর্তন খোলার করিম ব্রাদার্স কোং সারা বছর নিজদের কওমী পরিচয় দিয়ে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, সুবিধা নিতা চায়। কিন্তু কওমীদের সর্ব বৃহৎ অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম "হেফাজত" করিম ব্রাদার্স কোম্পানিকে গনায় ধরে না। এই জায়গাতেই তাদের অন্তর জ্বালা আর চুল্কানি। তাই তারা সমকাল পত্রিকার দলীল দিয়ে হেফাজতকে জামায়াত, বিএনপি বানিয়ে ঝাল মিটাতে চায়। তাদের দৌড়ও সে পর্যন্ত। বিষয়টি পরোক্ষভাবে আত্মঘাতীও। কারণ, হেফাজতকে বিতর্কিত করার জন্য শাহবাগীদের কন্ঠে কন্ঠ মিলানো নিজদের লম্বা জুব্বা আর দাড়ি নিয়ে গর্ব করে পীর সাহেব যে বিজ্ঞাপ দেন এর সাথে বেমানান। এসব লেবাস পড়ে ৭১টিভির প্রতিবেদনের সাথে সুর মিলানো অযৌক্তিক বা হিপোক্রেসি। তাই তাদের বল্লাম, বিএনপি, জামায়াত যদি হেফাজত দখলে নেয় তোমরা পরের বউকে আংটি আর চুড়ি উপহার দাও। অন্তত অন্যের বউ দখলে থাকবে!

    যাইহোক, শায়খুল ইসলাম উস্তাদ রুহী হাফিঃ আজ সংবাদ সম্মেলনে বল্লেন, জামায়াত শিবির আল্লামা শফীকে হত্যা করেছে! উস্তাদের মন কত বড়। আল্লামা শফীর মৃত্যুর আগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় রুহীকে বেঁধে যে তার সাড়ে তিন হাত বডিতে ঢোল বাজাইছে এর দায়ী জামায়াত শিবিরকে দেয়নি! তবে এটা বলেছে, উস্তাদ আনাস মাদানী নাকি জামায়াত শিবিরের মাইরের ভয়ে আজকে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারে নাই। শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। এতিম আনাস মাদানীর প্রতি এই অবিচার মেনে নেয়া যায়না। জামায়াত শিবির এত্ত খারাপ ক্যারে? 

     এভাবেই তারা ইতিহাস রচনা করে। আজ থেকে বিশ/ত্রিশ বছর পর উস্তাদ রুহীর কথাকে দলীল হিসাবে ব্যাবহার করে চরমোনাই বলবে, আল্লামা শফীকে জামায়াত মেরেছে। এই উস্তাদ রুহীর মুখে শুনো বলে ৭১টিভির ক্লীপ দেবে। এভাবেই তারা হাটহাজারী মাদ্রাসায় জামায়াত, শিবিরের হামলা বলে দশ/ বিশ বছর আগের রচনা এখন পাঠ করে। হাটহাজারী মাদ্রাসায় হামলার রচনার মত অনেক বছর পর আল্লামা শফিকে হত্যার রচনাও চালাবে। তখনকার প্রজন্ম হয়ত বলবে আ হা! জামায়াত কত্ত খারাপ এত বড় আক্বাবীর হত্যা করেছিল! এই হল, ফর্মূলা। নামের আগে পরে আল্লামা, মুফতী সংযুক্ত লেবাস দেখলে মনে হয় স্বর্গ থেকে ধরণীতে আসছে অতচ, এসব জঘন্য মিথ্যাচার শুনে শয়তানও অবাক হবে।

,    বিএনপি, জামায়াত হেফাজত দখলে নাও আর চরমোনাই ওয়ালারা বায়তুল মোকাররম মসজীদ মার্কেট থেকে আংটি আর চুড়ি কিনে উপহার দাও। আল্লামা মামুন সাহেব আরেকটা বিয়ে করেন চরমোনাই অনুসারী থেকে। না হয়, আপনার শাশুড় বাড়ী নিয়ে সারা বছর বিলাপ করতে থাকবে করিম ব্রাদার্স কোং।

-----------------------------------------------------------------

লেখকঃ  ইসলামিক  আর্টিকেল  লেখক  ও  অনলাইন এক্টিভিস্ট।