এরকম ছবি মামুনুল হক্বের সাথে থাকলে একটা পক্ষ তা নিয়ে চাপাচাপি করত। কুতুব শাহ।

এরকম ছবি মামুনুল হক্বের সাথে থাকলে একটা পক্ষ তা নিয়ে চাপাচাপি করত। এরপর  মামুনুল হক্ব সাহেব লাইভে এসে ব্যাখ্যা দিতেন, কোত্থেকে এসে তারেক মনোয়ার পাশে বসে গেছেন তা আমার জানা ছিলনা! আমি হাসলেও তিনি তেমন হাসেন নাই। এটা নিয়ে ফেইসবুকে লেখালেখি হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়া জরুরী মনে করছি!

✍️ ঠিক এই টাইপের কিছু ফেইসবুকীয় ইস্যু নিয়ে মামুনুল হক্ব যথেষ্ট বিব্রত হতে দেখেছি যা একজন মেধাবী  ব্যাক্তি হিসাবে উনার সাথে বেমানান আর যথেষ্ট কাঁচা আর হাল্কা কথাবার্তা বলেন। চাপ সহ্য করতে না পেরে তাকে যারা আক্রমণ করে তাদেরকে শক্ত যৌক্তিক জবাব দেয়ার পরিবর্তে শব্দ বাক্যের মারপ্যাঁচে জামায়াতকে হেয় করেন। যেমন, আল্লামা শফীর জানাযার ইস্যুতে চরমোনাই পক্ষ যখন ট্রল শুরু করলো তখনো তিনি লাইভে এসে হাউমাউ করলেন। তাতে কি তার প্রতিপক্ষ খুশী হয়েছে? নাহ হয়নি। তাহলে কি দরকার ছিল হাউমাউ করার?

✍️ গতকালের ভিডিও খেয়াল করেন। উনার স্ত্রী নাকি ছাত্রী সংস্থার নামও শুনেন নাই।🤣 উনার শাশুড় তাবলীগ করেন চরমোনাইর খলীফার মুরীদ!  এসব ফিরিস্তি, সাফাই দেয়ার কি দরকার ছিল? এতে বুঝা যায় তিনি যথেষ্ট ভীত, বিব্রত। জামায়াত ট্যাগ লাগানো তার প্রতিপক্ষের খুব দুর্বল অস্ত্র! তা তিনি বুঝেন নাই।

আ'লীগের বর্তমান এমপি আবু রেজা নদভী সাহেবের শাশুড় মাওলানা মুমিনুল হক্ব চৌধুরী জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য  ছিলেন। উনার আত্মীয়তার এই সম্পর্ক তো আ'লীগ মনোনয়নে বাঁধা হয়নি। তিনি পরপর দুইবার এমপি হয়েছেন। উনার স্ত্রীও সাবেক ছাত্রী সংস্থার বলে অনেকে বলেন। এরপরেও আবু রেজা নদভী সাহেব এমপি মনোনয়ন পেয়েছেন যেখানে আ'লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন কিন্তু নদভীকে আ'লীগ মনোনয়ন দিয়েছেন। দ্যাট ইস পয়েন্ট।

তা'হলে কেউ মামুনুল হকের শাশুর জামায়াত করে বল্লে এত কাঁপনের কি ছিল? এত ভয়ের কি আছে?  মামুনুল হক্ব সাহেবকে বুঝতে হবে উনার প্রতিপক্ষরা প্রতিহিংসা বশত তাকে বিব্রত করছে মাত্র। এমপি আবু রেজা নদভী সাহেব কুয়াকাটার ভাল বন্ধু। কই তিনি তো শাশুড় নিয়ে নদভী সাহেবকে খোঁচা দেয়নি।

✍️ মামুনুল হক্ব সাহেব ভাল বক্তা হতে পারেন, বড় আওয়াজে হুংকার দিতে পারেন কিন্ত রাজনীতিতে শূন্য, দুর্বল। আর এই দুর্বলতার সুযোগ বুঝে কুয়াকাটা একটু নাড়া দিয়েছে তাতে বেহাল অবস্থা, লুঙ্গি নষ্ট করতেছেন।

মামুনুল হক্বের শ্রদ্বেয় পিতা আল্লামা আজিজুল হক্ব (রাহ) জামায়াতের রুকুন সম্মেলেনে গিয়ে অতিথি হিসাবে বক্তৃতা দিয়েছেন৷ তাতে অসুবিধা হয়নি আর কেউ মামুন সাহেবের শাশুড় জামায়াত করে বল্লে লাইভে এসে বিলাপ শুরু করেন! এই কেমন সাহস আর বুদ্বির পরিচয়? বারবার এসব বিলাপ শ্রুতিকঠোর 

আমি জানি আজ আমার সাথে অনেকে দ্বিমত করবেন তবে এর আগে পয়েন্টগুলো বুঝার চেষ্টা করেন এবং খন্ডন করেন তখন ভুল হলে আমি স্বীকার করে নেব।