Recent Tube

জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা প্রবল ঝড় ঝাঞ্ঝার সামনে বুক পেতে নির্ভীক চলতে থাকে, নির্ভয়ে অবিরাম। --- ইবনে যুবাইর।


জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা প্রবল ঝড় ঝাঞ্ঝার সামনে বুক পেতে  নির্ভীক চলতে থাকে নির্ভয়ে, আর এবাভেই শুরু এবং এভাবেই শেখানো হয় বিধায় তারা আল্লাহর উপর ভরসা করে অটল অবিচল অবিরাম। 

 জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের  ট্রেনিংটা এবাভেই শুরু হয় এবং এভাবেই শেখানো হয় বিধায় তারা প্রবল ঝড়ঝাঞ্ঝার সামনে বুক পেতে  নির্ভীক চলতে থাকে।কোন বাধা বিপত্তি,অত্যাচার-নির্যাতন,ভয় ডর তাদেরকে দমিয়ে  রাখতে পারে না।কারণ,তারা আল্লাহর কুরআন যেভাবে পড়ে সেভাবেই ময়দানের অবস্হা প্রত্যক্ষ করে।তারা দেখে জান্নাতে যাবার শর্টকাট কোন রাস্তা নেই।এই রাস্তা বড় পিচ্ছিল,বড় কন্টাকৃর্ণ। এই পথে চলতে গেলে জেল জুলুম,অত্যাচার-নির্যাতন আসবেই আসবে।
আল্লাহর অমোঘবাণী অপরিবর্তিত।তিনি বলেন,

  "তোমরা কি মনে করেছো, এমনিতেই তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে? অথচ তোমাদের আগে যারা ঈমান এনেছিল তাদের ওপর যা কিছু নেমে এসেছিল এখনও তোমাদের ওপর সেসব নেমে আসেনি। 

   তাদের ওপর নেমে এসেছিল কষ্ট-ক্লেশ ও বিপদ-মুসিবত, তাদেরকে প্রকম্পিত করা হয়েছিল। এমনকি সমকালীন রসূল এবং তাঁর সাথে যারা ঈমান এনেছিল তারা চীৎকার করে বলে উঠেছিল, আল্লাহ‌র সাহায্য কবে আসবে? তখন তাদেরকে এই বলে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছিল, অবশ্যই আল্লাহ‌র সাহায্য নিকটেই।"বাকারা;২১৪

   তাফসীর তাফহিমুল কুরআন,ওপরের আয়াত ও আয়াতের মাঝখান একটি পূর্ণাংগ কাহিনী অবর্ণিত রয়ে গেছে। আয়াতে এদিকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে এবং কুরআনের মক্কী সূরাগুলোয় (যেগুলো সূরা বাকারার পূর্বে নাযিল হয়েছে) এ কাহিনী বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। 

   দুনিয়ার যে কোন দেশে যখনই নবীদের আর্বিভাব ঘটেছে তখনই তাঁরা ও তাঁদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী গোষ্ঠী আল্লাহদ্রোহী মানব সমাজের কঠোর বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁরা কোন অবস্থায়ই নিজেদের প্রাণের পরোয়া করেননি। 

   বাতিল পদ্ধতির বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম করে তাঁরা আল্লাহর সত্য দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এ দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ইসলামের প্রতি ঈমান আনার পর কেউ দু’দণ্ডের জন্য নিশ্চিন্তে আরামে বসে থাকতে পারেনি। 

   প্রতি যুগে ইসলামের প্রতি ঈমান আনার স্বাভাবিক দাবী হিসেবে ঈমানদার গোষ্ঠীকে ইসলামী জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালাতে হয়েছে। যে শয়তানী ও বিদ্রোহী শক্তি এ সংগ্রামের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তার শক্তির দর্প চূর্ণ করার জন্য ঈমানদারদের পূর্ণ শক্তি নিয়োগ করতে হয়েছে।
-----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments