Recent Tube

পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না?---ইবনে যুবাইর।

       ফেরাউনের রাজ্যে মুসা(আঃ)ও তাঁর সঙ্গী সাথীগণ ছিলেন রাষ্ট্রদোহী,ধর্মীয়-অনুভূতিতে আঘাতকারী,ইসলামী মৌলবাদী,সন্ত্রাসী সংগঠন।আবু জাহেলদের সম্রাজ্যে মুহাম্মদ (সা.)ও সাহাবিগণ ছিলেন ঠিক মুসা(আঃ)-এর সংগঠনের মতই ইসলামী মৌলবাদী,সন্ত্রাসী সংগঠন।

.    পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের রাজ্যে হযরত হুসাইন ও হাসান(রা.) ছিলেন বিদ্রোহী। এভাবে যদি আপনি পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবদি ইতিহাসে চোখ বুলান তবে দেখতে পাবেন,হক আর বাতিলের দ্বন্দ্ব পৃথিবীর শুরু থেকে চলে আসছে।এই ভাবেই কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।

   আরও একটি মজার বিষয় হয়,পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক মুসলিম স্বৈরাশাসক ছিল,এখনো আছে।সাধারণ মুসলমানদের ধোকা দিতে মুসলিম স্বৈরাশাসকদের থাকে এক দল দরবারি আলেম।ইয়াজিদ,হাজ্জাজ বিন ইউসুফসহ অন্যান্য সকল স্বৈরাশসকদের দরবারি আলেম ছিল।

    এরা হচ্ছে মুসলিম সমাজে মুসলিম নামধারী কাফির মুশরিকদের নিয়োগকৃত এজেন্ট।এদের ফতুয়া থাকে বাতিলের পক্ষে এবং হকের বিরুদ্ধে।হাসিনার দরবারের দিকে তাকালে পরিস্কার বোঝতে পারবেন দরবারি আলেম কারা।ড.জাকির নায়েক একজন  ইসলামী পন্ডিত।তাঁর তুলনা শুধু তিনি নিজেই।

     একটি সময় তিনি ছিলেন কথিত আহলে হাদিস  তথা মাদখালিদের আইডল।পীস টিভি যখন বন্ধ ঘোষণা করা হয় তখন মাদখালিদের একটি মানববন্ধন করতেও দেখা যায়নি।পাঠক,রহস্য খুঁজুন?

    সৌদিতে তিনি আশ্রয় চায়লে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত,জায়নবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার চাপে সৌদির বিন সালমান তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়।কিন্তু মতিউর রহমান মাদানিরা আজও দাম্মাম সেন্টারে এসিতে বসে ফতুওয়া বাজারজাত করতেই আছে।

    অতি সাম্প্রতিক ডা.জাকির নায়েকের একটি বক্তব্যের কিছু অংশ মাদখালিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ালে মাদখালিদের নিকট তিনি আজ ভ্রষ্টাচারী।এখন মাদখালি দীন থেকে তিনি খারিজ হয়ে গেছেন।এ দেশের এক শ্রেণীর আলেম যারা ডা জাকির নায়েককে এ দেশে আসতে বাধা প্রদান করে তারাই মিজানুর রহমান আযহারিকে দেশ  ত্যাগে বাধ্য করে।

    পুরো মাদখালি এবং কৌমির বড় একটি অংশ- জাকির নায়েক এ দেশে আসতে চায়লে যারা বিমানবন্দর অচল করার হুমকি দেয় তারা-এই উভয় দলই হযরত(!)শেখ হাসিনার ডান এবং বামের লোক।

    হযরত হাসিনার দরবারে ডানদের প্রভাব বেশি।ডানে আছে কৌমির বিশাল অংশ।শোনা যাচ্ছে, সাম্পপ্রতিকালে মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে  চিন্হিত করেছে সৌদি রাজপরিবার।

      এটা নতুন কিছু নয় এবং দুঃখিত হবার মত কোন ঘটনাও নয়।এভাবেই বার বার নিষিদ্ধ হয়ে এসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিন।

   জামায়াতে ইসলামী ও ইখওয়ানুল মুসলিমিনের মত দীনি সংগঠন যদি না থাকত তবে মুসলিম জাতি তাগুত,দরাবির আলেম তথা মুনাফিকদের প্রকৃত স্বরুপ চিনতে ও বোঝতে পারত না।
------------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments