Recent Tube

শিক্ষনীয় গল্প। নূর হোসাইন।

    
    এক রুমে আটটা বানর। রুমের মাঝখানে একটা মই সিলিংএর সাথে ঝুলিয়ে রাখা এক কাঁদি পাকা কলার সাথে আটকানো।

  কোনো একটি বানর পাকা কলা খেতে যেই মাত্র মই বেয়ে উপর ওঠতে চায়- সাথে সাথে বাইরে থেকে প্রচুর হীম শীতল ঠান্ডা  পানি সব গুলো বানরের  উপর বর্ষণ করা হয়। ব্যতিব্যস্ত বানরের দল  নিজেকে নিরাপদ রাখতে রুমের ভিতর ছুটোছুটি করতে থাকে।

   অবস্থা এমন হলো- যে কোনো একটি  বানর মই বেয়ে ওপর ওঠতে চাইলেই অন্যান্য বানররা এসে তাকে টেনে ধরে নামিয়ে আনে।  ফলে, কোনো বানরই আর মই বেয়ে ওপরে ওঠার সাহস পায়না।  

    কয়েকদিন পর নতুন একটি বানর দিয়ে পুরোনো আটটি বানরের একটা বদলে দেয়া হয়। নতুন বানর দেখে- সিলিং এর সাথে পাকা কলার কান্দি ঝুলে আছে। কিন্তু কোনো বানরই মই বেয়ে ওপরে ওঠছেনা। সে বুঝতে পারেনা , ঘটনা কি?  যেই মাত্র সে মই ধরে ওপরে ওঠা শুরু করে - সাথে সাথে বাকি সাতটি বানর এসে তাকে পিটিয়ে নীচে নামিয়ে আনে। নতুন বানরটি  বুঝতে পারেনা- কেন তাকে সবাই মিলে প্রহার করছে। কেনই বা  তাকে টেনে নীচে নামানো হচ্ছে। 

    কয়েকদিন পর নতুন আরেকটি বানর দিয়ে অরিজিনাল বানরের আরেকটিকে বদল করা হয়। ২য় বানরটিও দেখে পাকা কলা ঝুলে আছে। মইও লাগানো আছে। কিন্তু কেউ মই দিয়ে ওপরে ওঠছেনা। যেই মাত্র সে ওপরে ওঠা শুরু করলো- বাকি ছয়টি বানর এসে তাকে পিটাতে লাগলো। নতুন প্রথম বানরটি এবার কৃতজ্ঞ হলো । কারণ- সে এবার মার খাওয়া দলে নাই। বরং সে এবার মার দেওয়া দলে। তাই, মনের আনন্দে  সেও এসে   ২য় বানরটাকে সবার সাথে পিটিয়ে  নীচে নামালো। ২য় বানরটা বুঝলো না কেন সে মার খেলো। প্রথম বানরটিও বুঝলোনা কেন সে অন্যান্যদের সাথে মিশে একে পিটালো। 

   একসময় এভাবে আটটি বানরই বদলে দেয়া হলো। এখন, বাইরে থেকেও প্রবল হীম শীতল ঠান্ডা পানি বর্ষণ করা হয়না। কিন্তু কোনো একটা বানরও আর মই বেয়ে ওপরে ওঠেনা। কারণ তারা সবাই  জানে, যে ওপরে উঠতে যাবে তাকেই পিটিয়ে নীচে নামানো হবে। কিন্তু কেনইবা টেনে হিঁচড়ে নীচে নামানো হবে, কেনইবা প্রহার করা হবে- এতে কারই বা কী লাভ হচ্ছে-সেটা এদের কেউই জানেনা..

[ মূল লেখকের নাম এবং গল্পের শিরোনাম অজানা। একটি অনুবাদকৃত গল্প ]
----------------------------------------------------------

Post a Comment

0 Comments