Recent Tube

কারাগারে লুকমানের উত্তরসূরী যে উপদেশ দিয়েছে সন্তানদেরকে তার আংশিক তুলে ধরা হলো,,,; আব্দুর রকিব ইয়াহিয়া।

 কারাগারে লুকমানের উত্তরসূরী যে উপদেশ দিয়েছে সন্তানদেরকে তার আংশিক তুলে ধরা হলো,,,;

 তোমরা নামাজের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস থাকবে।
    তোমরা সব সময় হালাল রুজির ওপর থাকবে। কষ্ট হলেও হালাল রুজির ওপর থাকবে। আমি ৫ বছর মন্ত্রী ছিলাম, ফুল ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলাম। আল্লাহর রহমতে, আল্লাহর রহমতে, আল্লাহর রহমতে আমি সেখানে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে, পরিশ্রম করে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। কেউ আমার ব্যাপারে বলতে পারবে না যে আমি অন্যায় করেছি। অনেক দুর্নীতির মধ্যে থেকেও আমার এই পেটে (নিজের শরীরের দিকে ইঙ্গিত করে) এক টাকার হারামও যায়নি। তোমরাও হালাল পথে থাকবে। তাতে একটু কষ্ট হলেও আল্লাহ বরকত দেবেন।
  আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক সিলাই রেহিমি। আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে মিলে মিশে চলবে। আত্মীয়দের মধ্যে অনেকেই নামাজ পড়বে, অনেকেই কম। কেউ কেউ হালাল উপার্জনের ব্যাপারে অত্যধিক কড়া হবে আবার কেউ কেউ একটু দুর্বল থাকবে। শরিয়তে দুই রকম। আজিমাত এবং রুকসাত। আজিমাত হলো খুবই কড়া, কোনো অবস্থাতেই সে হারামের কাছে যাবে না। আর রুকসাত হলো পরিবেশ ও পরিস্থিতির জন্য একটু ঢিল দেবে। তাই আত্মীয়দের মধ্যে কারো আয়ে সমস্যা থাকবে, কারো নামাজে দুবর্লতা থাকবে। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো তাদেরকে সঠিক পথে আনার জন্য সবার সাথে সম্পর্ক ঠিক রেখে মিলে মিশে চলা। আমি সব সময় এভাবে চলেছি এবং তাতে ভালো ফল পেয়েছি। হাদিসে আছে, আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রতিবেশীর হক আদায় করবে। আমার ঢাকার বাসা, ফরিদপুরের বাড়ির প্রতিবেশীদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে।

  বেশি বেশি করে রাসূল (সা)-এর জীবনী ও সাহাবীদের জীবনী পড়বে। আমি জানি তোমরা পড়েছো, কিন্তু তাও বারবার পড়বে। বিশেষ করে ‘পয়গম্বর-এ-মোহাম্মদী’, ‘মানবতার বন্ধু হযরত মোহাম্মদ (সা)’, ‘সীরাতে সারওয়ারে আলম’, ‘সীরাতুন্নবী’, ‘সীরাতে ইবনে হিশাম’, ‘রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন’।
আর সাহাবীদের জীবনীর ওপরও ভালো বই আছে। আগে পড়েছো জানি, তাও তোমরা পড়ে নিও।

 আমার বিরুদ্ধে যারা স্বাক্ষী দিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজন ছাড়া বাকি সবাই দরিদ্র। তারা মূলত অভাবের তাড়নায় এবং বিপদে পড়ে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিতে বাধ্য হয়েছেন। 😥আমি তাদের সবাইকে মাফ করে দিলাম, তোমরাও কোন ক্ষোভ রাখবা না।

আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতো এত বড় নেয়ামত দুনিয়াতে আর একটিও নেই। আমার জানামতে এই সংগঠন দু’টি পৃথিবীর মধ্যে সেরা সংগঠন। এই সংগঠনের ব্যাপারে আমি সন্তুষ্ট। গত কয়েক বছরে অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, হাজার হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, আমার মতো জেলখানায় আছে কয়েক হাজার মানুষ। বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবির বিগত ৫ বছরে যে ভূমিকা রেখেছে, যে সেক্রিফাইস করেছে তা অতুলনীয়। আমার শাহাদাত এই দেশে ইসলামী আন্দোলনকে সহস্রগুণ বেগবান করবে এবং এর মাধ্যমে জাতীয় জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ।”

Post a Comment

0 Comments