Recent Tube

হটাৎ করে এত এত মূর্তি বানানোর ভূত জননীর মাথায় কেন চাপল? এই মূর্তি তৈরির প্রেসক্রিপশনটিও তাহলে কি দিল্লির??? --- ইবনে যুবাইর

হটাৎ করে এত এত মূর্তি বানানোর ভূত জননীর মাথায় কেন চাপল? এই মূর্তি তৈরির প্রেসক্রিপশনটিও তাহলে কি দিল্লির???


  ধর্ম যার যার উৎসব সবার-এই কথা দিল্লি থেকে হযরত জননীর উপর নাযিল হয়। শুরু হয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। তাতে সুর মিলায় শিশুলীগ থেকে ফকিরলীগ,জুতোলীগ ও মূর্দালীগ পর্যন্ত।
আমরা ইতিহাস ভুলে যায়। আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে 'মুসলিম' শব্দটি কেটে বাদ দিয়ে নাম রাখা হয় আওয়ামী লীগ।

  আওয়মী লীগ নামক দলটির শুরু থেকেই মুসলিম ও ইসলাম শব্দ দুটির উপর ক্ষিপ্ত ও চরম বিরক্ত ।যার কারণেই এই শব্দ দু'টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির নাম থেকে কেটে  বাদ দেয়া হয়।

  কৌমি মাদরাসায় জঙ্গি আবিস্কার এবং ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম,আহমাদ শফি সাহেবকে তেঁতুল হুজুর,শাপলাল গণহত্যা এই সমস্তই একটি সনদে মিটমাট হয়ে যায়।
 
   এখন নতুন করে দেশজুড়ে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য (মূর্তি) বানানোর পায়তারা চলছে। এতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে হেফাজতসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।অবশ্যই এটি ঈমানের দাবি।

  মক্কা বিজয়ের পর রাসুল(স)-এর প্রধান কাজ ছিল মূর্তি নিধন করা। তিনি তা করেছেনও। হটাৎ করে এত এত মূর্তি বানানোর ভূত হাসিনার মাথায় কেন চাপল? এই মূর্তি তৈরির প্রেসক্রিপশনটিও দিল্লির। এতে করে এক ডিলে দুই পাখি শিকার করতে করা হবে।

   এক. জননী  যদি তার বাবার মূতি তৈরি করে নিতে পারেন এটি হবে হিন্দুত্ববাদী ভারতের জন্য জয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পেরেছিল এ দেশের ৯০% মানুষ বাঙালি  মুসলমানের বসবাস বলে। যদি এ দেশে ৯০% মানুষ বাঙালি হিন্দু হত তবে এ দেশ যেত ভারতের পেটে। ভারত সুকৌশলে মসজিদের দেশকে মূর্তির দেশে রুপান্তরিত করে মুসলমানদের যা যতটুকু ঈমান আছে সেটা ধ্বংস করতে চায়। মুসলমানদের ঈমানের পারদ নিচে নামতে নামতে যখন বিপদসীমার নিচে চলে আসবে তখন এ দেশকে দখলে নিতে আর কোন বেগ পেতে হবে না।

দুই.মূর্তি তৈরির বিরুদ্ধে মুসলমানরা যদি কঠোর অবস্হানে থাকে এবং সেই সাথে হাসিনা তার দলীয় গোন্ডাবাহিনী ও পালিত পুলিশ বাহনীকে মাঠে নামিয়ে দেন,জনগণ প্রশাসন যদি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তবে ইসলামী মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের ভয় আন্তর্জাতিক বাজারে হাসিনা খুব চড়া দামে বিক্রি করে গদি সুরক্ষিত করবেন।
এ অবস্হায় ধর্মপ্রাণ  মুসলমানদের করণীয় কি?এই অন্তিম সময়ে মুসলামানদের অবশ্যই কুরআন ও সৃন্নাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
 
  মহাগ্রন্থ আল কৃরআনে মহান আল্লাহ সতর্ক করে বলেন,তোমরা ঝগড়া ও মতবিরোধ করো না,তাহলে তোমাদের শক্তি চলে যাবে ও তোমরা দূর্বল হয়ে পড়বে।(সুরা আনফাল ৪৬)

   অর্থঃ তোমরা ঐ সকল মুশরেকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না যারা নিজেদের দীনকে শতধা বিছিন্ন করে বহু দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।প্রত্যেক দল নিজেদের কাছে যা আছে তা নিয়ে খুশি।(সুরা রূমঃ৩১-৩২)
  উল্লেখিত অবস্হা আলেম সমাজে চরম আকার ধারণ করেছে এবং এর সুবিধা নিচ্ছে বাতিল শক্তি ।অথচ, ইসলামে ঐক্যের গুরুত্ব অপরিসীম। সংঘবদ্ধভাবে জীবন পরিচালনা করা ইসলামের নির্দেশনা।

    এ সর্ম্পকে মহান রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমারা আল্লাহর রজ্জুকে (ইসলাম) আঁকড়ে ধর (ঐক্যবদ্ধ হও) এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। ’ -সূরা আল ইমরান: ১০৩

  হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সংঘবদ্ধ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু। ’ –মুসলিম।

   আলেমরা যদি ঐক্য গড়ে তুৃলতে পারে তবে  ক্ষমতা থাকবে তাদের হাতে। মক্কা বিজয়ের পর যেমন মূর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল অনৃরুপভাবে এ দেশেও কোন প্রকার বাধা ছাড়ায় মূর্তির নাম নিশানা মুছে দেয়া হবে এবং জাতি উপহার পাবে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ, একটি দেশ।বাতিল শক্তি ও বিদেশি বেনিয়ারা মুখ লুকাবে গর্তে।
-------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments