Recent Tube

বিজয় দিবসে মাসজিদুল হারামের রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রবেশ এবং মূর্তি ভাস্কর্য নিশ্চিহ্নকরণ: তানজিল ইসলাম।


বিজয় দিবসে (মক্কা বিজয়ে) মাসজিদুল হারামের রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রবেশ এবং মূর্তি ভাস্কর্য নিশ্চিহ্নকরণ:
-----------------------------------
 মক্কায় বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সম্মুখে, পেছনে, ডান ও বাম পাশে মোতায়েন আনসার ও মুহাজির সেনাবাহিনী পরিবেষ্টিত অবস্থায় অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে মাসজিদুল হারামে আগমন করলেন। মাসজিদুল হারামে আগমনের পর সর্বাগ্রে তিনি হাজার আসওয়াদ চুম্বন করলেন এবং তার পর আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করলেন। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর হাতে একটি কামান (ধনুক) ছিল এবং আল্লাহর ঘরের আশপাশে ও ছাদের উপর ৩৬০টি মূর্তি ছিল। নাবী কারীম (সাঃ) সে ধনুক দ্বারা মূর্তিগুলোকে আঘাত করতে করতে বলেছিলেন,
جَاء الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوْقًا‏-‏
হক এসেছে এবং বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে। আর বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই বিষয়।’ (সূরা আল-ইসরা :১৭/১৮)
‏قُلْ جَاء الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيْدُ‏-
‘বল- সত্য এসে গেছে, আর মিথ্যের নতুন করে আবির্ভাবও ঘটবে না, আর তার পুনরাবৃত্তিও হবে না।’ (সূরা সাবা: (৩৪/ ৪৯)
নাবী কারীম (সাঃ)-এর আঘাতে মূর্তিগুলো ভূপতিত হচ্ছিল।
.
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজের উটের পিঠে আরোহণ করে তাওয়াফ সম্পন্ন করেন এবং ইহরাম অবস্থায় না থাকার কারণে শুধু তাওয়াফ করাই যথেষ্ট মনে করেন। তাওয়াফ সম্পন্ন করার পর উসমান বিন ত্বালহাহ (রাঃ)-কে ডেকে নিয়ে তাঁর কাছ থেকে কা‘বা ঘরের চাবি গ্রহণ করেন। অতঃপর তাঁর নির্দেশক্রমে কা‘বা ঘর খোলা হয় এবং তিনি ভিতরে প্রবেশ করেন। এ সময় অভ্যন্তরস্থিত বিভিন্ন মূর্তি, ভাস্কর্য তাঁর দৃষ্টিগোচর হয়। তাঁদের মধ্যে মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর ভাস্কর্যও ছিল। তাঁদের হাতে ভবিষ্যত কথন সম্পর্কিত তীর ছিল। এ দৃশ্য দেখে বললেন,
 قَاتَلَهُمُ اللهُ، وَاللهُ مَا اسْتَقْسَمَا بِهَا قَطّ-
'আল্লাহ তা‘আলা ঐ সকল মুশরিকদেরকে ধ্বংস করুন! আল্লাহর কসম! ঐ দু’ জন কখনই ভবিষ্যত জানার জন্য এ ধরণের তীর ব্যবহার করেন নি।'
কা‘বাহ ঘরের অভ্যন্তরে কাঠের তৈরি একটি কবুতরীর ভাস্কর্য তাঁর চোখে পড়ে। এ ভাস্কর্যটি তিনি নিজ হাতে সম্পূর্ণভাবে  ধ্বংস করে ফেলেন। অন্যান্য মূর্তিগুলোকেও তাঁর নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়। (আর-রাহীকুল মাখতুম, পৃঃ ৪০২-৪০৪)
.
সুতরাং রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাস্কর্য বা মূর্তি তৈরি করা নয় বরং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বলে সকল মানুষের ও প্রাণীর মূর্তি ও ভাস্কর্য ভেঙে নিশ্চিহ্ন করা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ তথা আদর্শ। বিজয়ের মাসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর এ সুন্নাহ পালন করতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ আলোচক গ্রন্থপ্রনেতা ও দাঈ। 

Post a Comment

0 Comments