Recent Tube

আপনার কোন প্রোগ্রামে,ওয়াজ মাহফিলে বাতিল শক্তি বাধা হয়ে দাঁড়ায় না বরং সহযোগিতা করে,কেন?


 আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে যে,আপনি একজন আলিম হবার পরও বাতিল শক্তি আপনাকে কেন এত সম্মান শ্রদ্ধা করে,আপনার কোন প্রোগ্রামে,ওয়াজ মাহফিলে বাতিল শক্তি বাধা হয়ে দাঁড়ায় না বরং সহযোগিতা করে,কেন?

কেন আপনাকে মূল ধারার সাধারণ মুসলমান ঘৃণা করে-সে হিসেবটাও আমলে নিন,নিতে হবে।বিবেকের নিকট প্রশ্ন রাখুন,আবু জাহেলগংরা কি রাসুল(সা)কে সম্মান শ্রদ্ধা করতেন?
তাঁর দাওয়াতি মিশনে মক্কার মুশরিকরা কি বাধা হয়ে দাঁড়াতেন না?তাঁর প্রতি জুলুম নির্যাতন করা হয়নি?তিনি কি স্বপরিবারে সাড়ে তিন বছর শিহাবে আবু তালিবে জেল খাটেন নি?

রাসুল(সা)-কে শেষ অবদি তারা হত্যার পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেন নি?তাঁকে রাজাকার,রাষ্ট্রদ্রোহী বলেন নি?কথার যাদুকর কি তাঁকে বলা হয়নি?

এমন কোন নির্যাতন নেই যা তাঁর প্রতি করা হয়নি,এমন কোন অপবাদ নেই যে সেই অপবাদ তাঁর উপর চাপানো হয়নি।তারপর আল্লাহর হুকুমে হিজরত।

মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং তিনি রাষ্ট্র প্রধান,সংবিধান আল কুরআন।তিনি যুদ্ধের সেনাপতি,মসজিদের ঈমাম,সফল রাষ্ট্র নায়ক,আদর্শ স্বামী,আদর্শ পিতা,ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ কায়েমকারী, দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বিচারক।তারপরও কি তিনি মদিনায় নির্বিঘ্নে, নিরুদ্বেগ জীবন অতিবাহিত করতে পেরেছিলেন।জীবনের অন্তিম সময় পর্যন্ত জিহাদ,যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
কিন্তু কেন?
এই জন্য যে,মহান আল্লাহ যে মিশন নিয়ে তাঁকে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন সেই মিশনকে সফল করতেই তিনি আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন।আর এই সংগ্রাম করলে বাতিল শক্তি বন্ধু নয়,বরং জানের শত্রু হয়ে দাঁড়াবে।
আল্লাহর ঘোষণা,

'তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত এবং ‘দ্বীনে হক’ দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এ দ্বীনকে অন্য সকল দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন, চাই তা মুশরিকদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন।'আস-সফ,:আয়াত: ৯]
আজ যমিনে 'দ্বীনে হক' এর পরিবর্তে শয়তানের রাজত্ব চলছে,এই নিয়ে আপনার কোন চেষ্টা তদবির নেই,মাথা ব্যাথা নেই,মনঃক্ষুণ্ণও হয়না বরং যারা দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত তাদের প্রতি আপনার বিষাদগার,তাদের প্রতি অপবাদ,অপপ্রচার,বাতিলের সাথে হাত মিলিয়ে সেই সংগ্রামকে মুছে দিতে চেষ্টার কোন ক্রটি নেই।বাহ!আপনিও আলিম,মুহাদ্দিস,মুফতি, শায়খ,আল্লামা।আবুল জাহেলের নাম ছিল আবুল হাকাম তথা জ্ঞানের পিতা।দ্বীনের বিরোধীতা করার কারণে তিনি উপাধি পান আবুল হাকাম থেকে আবু জাহেল নামে।

লেবাস লাগিয়ে,মাদরাসা থেকে কয়েকটা ডিগ্রী নিয়ে নিলেই আলিম হওয়া যায়না।আলিমের কাজ 'দ্বীনে হক'কে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকা,বাতিলের সাথে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়া,বাতিলের পদলেহন করা নয়।বাতিলের করুনা ভিক্ষেও গ্রহণ করা আবার নিজেকে শায়খ, মুহাদ্দিস,মুফতি বলে জাহির করা ইসলামের নামে নিছক ভন্ডামী করা ছাড়া এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কি হতে পারে।শয়তানের রাজত্ব কায়েম রাখার জন্য শয়তানের সকল অনুসারীগরা এক টেবিলে বসতে পারলেও 'দ্বীনে হক' প্রতিষ্ঠার জন্য আলিমরা এক টেবিলে কেন বসতে পারেন না,কারণ কি?কারণ এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে,'দ্বীনে হক' প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে সঁপে দেয়া মানে বিলাসিতার জীবন-যাবনের পরিবর্তে বাতিলের সাথে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে সুখের ভবিষ্যতকে অন্ধকার গহ্বরে ঠেলে দেয়া।
-----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments