Recent Tube

ঐক্যের পথে প্রধান বাঁধা নেতৃত্বের লোভ নাকি আক্বীদা? -- কুতুব শাহ।

 ঐক্যের পথে প্রধান বাঁধা নেতৃত্বের লোভ নাকি আক্বীদা? 

   ✍️ যেকোন ইসলামীদলকে ঐক্যের কথা বল্লে প্রথমে "আক্বীদা" র দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে বড় গলায় জ্ঞান দিবে ওমুকের আক্বীদা ঠিক নাই! এটা কি বাস্তব নাকি বাহানা মাত্র? 

  যদি বাস্তব হয় কথিত আহলে হাদীসদের কথা চিন্তা করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১৯ টি গ্রুপ! তাদের কোন দল জান্নাতে যাবে তা নিয়ে বয়ান ঝাড়েছে মদখালী শায়খ আকরামুজ্জামান! মুজাফফর বিন মহসীন তার এক বইয়ে লিখেছেন আহলে হাদীস আন্দোলন থেকে যারা বেরিয়ে যাবে তারা জাহান্নামের নষ্ট কীট! এর মানে জান্নাতের একমাত্র ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ! কথা হল, আহলে হাদীস অনুসারী সব দলের মৌলিক আক্বীদা এক কিন্তু এর মাঝে প্রচন্ড বিরোধ কেন? সোজা জবাব নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব।  

  ✍️ কওমীদের কথা চিন্তা করেন। তাদের আক্বীদা, মানহায, শিক্ষা এক কিন্তু বিভক্তি সবচেয়ে বেশী। তাদের মধ্যে কত দল তা হিসাব করাও মুস্কিল। শুধু জাতীয় পার্টির সাথে ঐক্য করেছিল ২৯ দল! এর বাইরে আরো কত আছে সঠিক হিসাব বলতে পারবোনা। তাদের মধ্যে কিছু দল একে অপরের ঠিক বিপরীত মেরুতে। সমস্যা কি আক্বীদায়? বিভাজন কি আক্বীদা ইস্যুতে? নাহ, মোটেই নয়। মূল বিভাজন নেতৃত্বে! 

  ✍️ যাদেরকে আমরা এক কথায় মাজার পন্থী হিসাবে জানি তাদের মধ্যে বিভক্তি আরো ভয়াবহা। কত দল উপদল আছে তা হিসাব করাও মুস্কিল। তাদের আক্বীদা নিয়ে কি বিভক্তি দলাদলি? নাহ, মোটেই নয়। মূল সমস্যা কার দরবারে কত লোক কে কত বড় পীর তা নিয়ে মূল দ্বন্দ্ব। 

   ✍️ চরমোনাই কওমীতে নাকি আলীয়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সুযোগে কওমী ট্যাগ ব্যাবহার করে আবার আলীয়ার সাপোর্ট চায়! কওমীদের সর্ব বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হেফাজত ইসলামে তারা শুরুতেও ছিলনা নতুন প্যানেলেও নাই। কওমী ঘরানার বক্তাদের পরিষদ রাবেতাতুল ওয়েজীন নামের প্ল্যাটফর্মে চরমোনাইর পরিচিত বক্তাদের কাউকে পদ দেয়া হয়নি। তবু তারা নিজদের কওমী ঢাল ব্যাবহার করে! চরমোনাইর আক্বীদা কি দেওবন্দী মানহাজের বাইরে? তবু তারা নিজ ঘরে অবহেলিত সমস্যা কি আক্বীদায়? নাহ, সমস্যা হল নেতৃত্ব। যোগ্যতা যাই হোক মুরীদ যেহেতু বেশী তাই বড় পদ দিতে হবে! 

    ✍️ এভাবে বিশ্লেষণ করলেন দেখবেন ধর্মীয় যত গ্রুপ বা মতবাদ আছে তাদেরকে ঐক্যের কথা বল্লে মৌলিক সমস্যা হিসাবে "আক্বীদা"কে দেখাবে অতচ, একই আক্বীদা মানহাযের হয়েও নিজদের মধ্যে চরম বিভক্তির  মূলে নেতৃত্বের লোভ! সাধারণ পাব্লিক যতদিন অজ্ঞ থাকবে ধর্মীয় গ্রুপ গুলোর বিভেদ বুঝবে না। তাই তারাও বিভক্তিতে থাকবে। আর ধর্ম বিদ্বেষীরা চায় বিভক্তি বাড়ুক, বিভক্তি থাকুক তাতে তাদের সুবিধা। যেমন শাহবাগে জামায়াত নেতাদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে এখন মামুনুল হক্বের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হচ্ছে। আহলে হাদীস কিংবা মাজার পন্থীরা নড়াচড়া করলে একই পরিণতি হবে। সন্দেহ আছে?

    ✍️ ঐক্যের কথা বলিয়েন না, নসীহত করিয়েন না, থিওরী দিয়েন না। কখনো ঐক্য হবে না। আমি একটা কথা বলি "ভিক্ষা লাগবে না কুত্তা সামাল"। অর্থাৎ ঐক্যের দরকার নাই অন্তত একের বিরুদ্ধে অপরের যে লড়াই তা বন্ধ করলে হবে। না হয়, জামায়াতকে ধরা হয়েছে "রাজাকার" থিওরী দিয়ে এখন মূর্তি বিরোধী প্রথম সারিতে আছেন কওমী তাই তাদেরকে দেয়া হয়চ্ছে "ছাত্র বলৎকার" থিওরী। ডাঃ জাফরুল্লাহ গতকাল সেই থিওরী উদ্বোধন করেছেন মিডিয়ায়! এবার জোরালোভাবে হাইলাইট হবে। হ্যাঁ, ডাঃ জাফরুল্লাহ'র আগেও মিডিয়া বলৎকার থিওরী নিয়ে নাড়াচাড়া করেছে কিন্তু তেমন সাড়া পায়নি এবার এই থিওরী নিয়ে তারা কাজ করবে বলে ধারণা। 
-----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments