Recent Tube

কওমীতে ছাত্র বলৎকার অভিযোগ কতটা রাজনৈতিক আর কতটা বাস্তবিক? কুতুব শাহ।

কওমীতে ছাত্র বলকার অভিযোগ কতটা রাজনৈতিক আর কতটা বাস্তবি

  ২০১৩ সালে হেফাজত ইসলামের উত্থান বামদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের গভীর টেনশনে ফেলেছে! হেফাজত মূলত কওমী থেকে। বিভিন্ন ইস্যুতে হেফাজতের শক্তির দৃশ্যমান প্রতিরোধ, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ স্যাকুলারদের মনে কাঁপন ধরিয়েছে।

তাহলে কি করা যায়?

 কওমীদের বিতর্কিত করতে হবে না?  তাদের ইমেইজে আঘাত হানতে হবে না? তাদেরকে অপমান, বিব্রত করতে হবে না? এর জন্য একটা শক্ত হাতিয়ার দরকার। রাজাকার ট্যাগ দিলে কেমন হয়? নাহ, এটা অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত পুরানো অস্ত্র তাই ফিট হচ্ছেনা। জঙ্গি তকমা? অনেকদিন ধরে এটা ব্যাবহার করে টেস্ট হয়েছে কিন্তু তেমন কার্যকর হয়নি! এখন কি করা যায়? ছাত্র বলৎকারের তীর মেরে দেখো। হুম, এবার এটার ট্রায়াল, প্রমো চলছে। কিন্তু এটাও কার্যকর হবে বলে মনে হয়না। 

গতকাল চাঁদপুরে এক কওমী শিক্ষককে বলৎকারের কথিত অভিযোগে স্থানীয় কিছু গুণ্ডাপাণ্ডা মাইরধর করেছে। মিডিয়ায় খুব জোরালোভাবে প্রচার চালালো বলৎকার শব্দ লাগিয়ে! কিন্তু দিন শেষে তদন্তে প্রমাণিত হল, উক্ত শিক্ষক নির্দোষ। এটা রোগের সিন্ড্রোম মাত্র। কওমী বিরোধী প্রচারণার অংশ! তাদেরকে হেয় করা, তাদের ইমেইজ নষ্টের এক দুর্বল হাতিয়ার। হঠাৎ বলৎকার প্রচারণা কওমীদের আঘাতের একটা পরিকল্পিত প্রপাগাণ্ডা তা বুঝার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। 

যেমন, একবার দেখলাম দু'চারজন কথিত নারীবাদী মিলে গলা ফাটিয়ে রাস্তায় এই অভিযোগ ঝাড়ছে! মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের ভূইফোঁড় এক সংগঠন লিফল্যাট বিতরণ করে প্রচারণা চালিয়েছে! ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী মূর্তি ইস্যু বাদ দিয়ে আগে ছাত্র বলৎকার বন্ধের নসীহত ঢেলে দিয়েছে! বিভিন্ন টকশোতে কওমি আলেমদের এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করে বিব্রত করার চেষ্টা হয়েছে। এভাবে নানান উপায়ে বিষয়টি একটা বড় সমস্যা হিসাবে শো- করতেছে। এর মূল কারণ, হেফাজত ভীতি এবং মাদ্রাসা ফোবিয়া রোগ! বিশ্বাস করেন?

★★★ আমি জানি অনেকে বলৎকার অভিযো ঠিইইইক বলে প্রমাণ হাজির করতে চাইবে, কওমীদের বিরুদ্ধে ঢিল মারবে! এর আগে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। দেশে কতটা কওমী মাদ্রাসা? তাদের ছাত্র কত? এক পরিসংখ্যান মতে ১৪ হাজার কওমি মাদ্রাসায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে দুয়েকটা ঘটনা ঘটতেই পারে। তাইনা?  কিন্তু তাই ঢালাওভাবে পুরা কওমী অঙ্গনকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত যুক্ত করা কি স্বাভাবিক? নৈতিক? যৌক্তিক? নাহ, মোটেই নয়।

এই যে গত কয়েকদিন আগে সহকর্মীর শিশু পুত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগে ৭১ টিভির এক সাংবাদিককে বহিস্কার করা হল। এখন কি সব সাংবাদিককে বলৎকারের অভিযোগ দেয়া যাবে? সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কি চাঁদাবাজি হয়? খুন খারাবী হয়? ধর্ষণের অভিযোগ নাই? তাহলে কি এসব কিছু ঘটনার কারণে সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে ধর্ষণ, খুনাখুনি, চাঁদাবাজির দায়ে অভিযুক্ত করা যৌক্তিক হবে? জবাব দেন, প্লীজ।

★★★ রোগের সিন্ড্রোম স্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে কওমী সংশ্লিষ্টদের ভাবা উচিৎ, উপযুক্ত জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া দরকার, অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ হওয়ার সময় ওভার। সাধারণ পাব্লিকদের প্রতি সবিনয় অনুরোধ কওমী কোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ রাগ থেকে পুরা কওমীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে আপনি শামিল হবেন না, মাদ্রাসা বিরোধীদের পালে হাওয়া দিবেন না। দ্যা ইস পয়েন্ট।
------------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments