Recent Tube

ইসলামই নারীকে নর্দমা থেকে তুৃলে এনে রাজ প্রাসাদে স্হান দিল। অথচ সেই ইসলাম আজ কথিত মুক্তমনা নারীরদের পছন্দ নয়। - ইবনে যুবাইর।

ইসলামই নারীকে নর্দমা থেকে তুৃলে এনে রাজ প্রাসাদে স্হান দিল। অথচ সেই ইসলাম আজ কথিত মুক্তমনা নারীরদের পছন্দ নয়। 

  আরবের জাহেলি যুগের বিবাহ প্রথা ছিল বিভিন্ন কিসিমের।তার মধ্যে একটি প্রথা ছিল এরকম যে, এক রাতে বহু পূরুষ কোন এক নারীর সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হত।এভাবে সপ্তাহব্যাপী বা তারও বেশি সময় ধরে মেয়েটির সাথে চলত বিকৃত যৌনতার নগ্ন মহড়া।তারপর মেয়েটি গর্ভধারণ করার পর যখন বাচ্ছা প্রসব করত তখন মেয়েটির সাথে যারা যারা বিকৃত যৌন মহড়ায় অংশ নিয়েছিল তারা সকলেই উসে উপস্হিত হত এক  জলসায়।সে জলসায় উপস্হিত হত সামজের নেতৃত্বস্হানীয় ব্যক্তিবর্গ। বাচ্ছাটির শরীর গঠন ও মুখের অবয়ব যার সাথে মিলে যেত সে হত সে সন্তানের বাবা এবং মেয়েটির স্বামী।

     কন্যা সন্তান হলে জীবন্ত কবর দেয়ার মত নিকৃষ্ট ঘটনা ইতিহাসের পাতায়।সে সমাজের নারীরা ছিল কেবল পূরুষদের মনোরঞ্জনের সস্তা পন্য।

     যেনা,মদ জুয়া,হানাহানি,কাটাকাটি, যুদ্ধ বিগ্রহ ছিল ডাল ভাতের মত।সাদা কালোতে ছিল আকাস জমিন ব্যবধান।মনিব চাকরের সাথে করত যথেচ্ছ ব্যবহার।
    এমনি এক ঘন কালো ঘুটঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন ধরণীর বুকে প্রেরিত হলেন মানবতার দূত বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ(সা.)।দিলেন তাওহিদের ডাক।পৃথিবীর সমস্ত তাগুত শক্তি কুরআনের নূরকে নিভিয়ে দিতে সমস্ত শক্তি নিয়োগ করল।আল্লাহর তার প্রেরিত রাসুল(সা.)-এর মাধ্যমে দ্বীন ইসলামে ধরণীর বুকে প্রজ্জ্বিলিত করলেন।এর জন্য রাসুল(সা.)-ও তাঁর সঙ্গী সাথীদেরকে কঠিন চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।জেল, জুলুম,অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেছেন অকাতরে।বহু চড়াইউতরাইয়ের পর মদিনায় গঠন করা হল নব্য একটি ইসলামী রাষ্ট্র।রাষ্ট্র নায়ক হলেন বিশ্ব মানবতার দূত রাসুল(সা.) এবং সংবিধান হলো আল কুরআন।সেমতে  
সাদা কালোর ব্যবধান চিরতরে তুলে দেয়া হল,নারীকে নর্দমা থেকে তুলে এনে সম্মানের আসনে বসানো হল,সুদের পরিবর্তে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যাবস্হা চালু করা হল।প্রতিটি নাগরিকের জান মালের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হল।নীশিথ রাতে একাকী যুবতী রমণী নির্ভয়ে পথ চলবে অথচ,মনে চোর, ডাকাত,মদমাসের ভয় থাকবে না এমনি একটি রাষ্ট্র জাতি উপহার পেল।
কথিত মুক্তমনা নারীরা আজ মুক্ত চিন্তা,মুক্ত সমাজ, অবাধ স্বাধীনতার নামে ইসলামকে বানিয়ে নিয়েছে প্রতিপক্ষ।যারা পর্দার কথা বলে তারা মৌলবাদী,নারীর স্বাধীনতা হরণকারী,জঙ্গি সন্ত্রাসী!
কথিত সুশিল এবং কথিত নারীবাদি নারী স্বাধীনতার নামে নারীদের নগ্ন করে রাস্তায় নামিয়ে দেশকে বেশ্যার বাজার পরিনত করে কাফির মুশরিকদের এজেন্ডা বাস্তবায়ণ করতে চায়।সেই সুফল(আনুশকার দিকে দেখুন) ইতিমধ্যে কথিত মুক্তমনা নারীরা ভোগ করলে এর প্রভাব ও বিষাক্ত ছোবল মহমারি রুপ ধারণ করার আগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে,প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।হিন্দুত্ববাদী ভারতের টিভি সিরিয়াল আজ প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে।নারীদেরকে উৎশৃঙ্খল ও বেহায়াপনার দিকে দ্রুত ধাপিত করার নীরব হাতিয়ার।

    ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই কথিত নারীবাদী, নাস্তিক ব্লগাররা আলেম ওলামাদের নিয়ে, ইসলাম নিয়ে,নবী রাসুল(সা.)কে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে থাকে।দেশ জাতি সর্বোপরি ঈমান নিয়ে বাঁচতে হলে হিন্দুত্ববাদী, ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী লীগের পতনের বিকল্প নেই।
-------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments