Recent Tube

এই পুরোনো গল্পে আবার নতুনত্ব কি? ইবনে যুবাইর।


   
     এই পুরোনো গল্পে আবার নতুনত্ব কি?


পাঠক,হয়তো ভাবেছেন যে,এই ছবি বহুবার দেখেছি। এই পুরোনো গল্পে আবার নতুনত্ব কি?
হ্যাঁ,কিছু নতুনত্ব এবং কিছু প্রশ্ন নিয়ে আপনাদের সামনে ছবিটি নিয়ে হাজির হলাম।
ছবিটি কার,চ্যাংদোলা করে পুলিশ তাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে নতুন করে এর ব্যাখ্যা দেবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না।আওয়ামী ক্যাঙ্গারু কোর্ট এবং আওয়ামী সেবাদাস লাটিয়াল পুলিশের সুবাদে ছবির লোকটিকে বাংলার শহর গঞ্জ ও গ্রামের মানুষ খুব ভাল করে চিনেছ,জেনেছে এবং ইসলামী আন্দোলন করার এক মাত্র অভিযোগে তার প্রতি যে নির্যাতন নেমে এসেছে এ কথাও জেনেছে।
 মানুষ এ কথাও জেনেছে যে,যে নারী রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে,ফজরে জায়নামাজ খুঁজে,নামাজওয়ান্তে কুরআন তেলাওয়াত করে তারপর দিনের কাজ শুরু করে আবার সেই নারী ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের জেলে ভরে,গুম,খুন করে,ফাঁসি দেয়,মাসের পর মাস রিমেন্ডে দিয়ে পঙ্গু বানিয়ে একটি জীবনের স্বপ্ন সাধকে ধূলিসাৎ করে দেয় সে নারী আসলে কে,কি তার পরিচয়,ইসলামের বন্ধু নাকি দুশমন!!
মূল আলোচনার ফিরে এলাম। বলছিলাম এই ছবি আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম কেন?
এই জালেম স্বৈরাশাসক হাসিনা ছবির লোকটির প্রতি বর্বর অমানবিক নির্যাতন কেন করল এই একটি প্রশ্নের উত্তর খোলাসা করার জন্য পুরোনো স্মৃতির আজকে অবতারণা। হাসিনা মাসের পর মাস এই বর্বরোচিত  নির্যাতন  চালিয়ে, সেই দৃশ্য জনসম্মুখে প্রচার করে সু শিক্ষিত যুব সমাজকে এ কথার জানান দিতে চেয়েছিল যে,দেলোয়ারের পরিনতী দেখ আর সাবধান হও যুব সমাজ!যদি সাবধান না হও আর এ পথে ভুৃল করেও যদি পা বাড়াও তাহলে এমন ভয়াবহ পরিনতীর শিকার তুমিও হবে!!

কিন্তু তা হয়নি।বরং ফল হয়েছে উল্টো।
এই নির্যাতনের দৃশ্য শিক্ষিত যুব সমাজের বিবেককে তুমুলভাবে ধাক্কা দিয়েছে।দেলোয়ার কিসের মোহে,কোন আশায় এই বর্বরোচিত নির্যাতন সহ্য করেও দমে যায়নি,বাতিলের সামনে মাথা নত করেনি,কেন?প্রবল ঝড়ঝাঞ্ঝার ও মহাপ্রলয়ের সামনে অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা দেলোয়ারের এই শক্তির রহস্য কি এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে শিক্ষিত যুব সমাজকে অস্হির,মাতাল,উদ্দিপীত আলোড়িত,দুরন্ত করে তুলে। 
 তারা যখন দেলোয়ারের শক্তির রহস্যের নাম- "মজবুত ঈমান" বলে জানতে পারল তখন নতুন প্রশ্ন মনে দেখা দিল।এই "মজবুত ঈমান' কোথায় কোন হাটে বিক্রি হয়?খানাকা,মজার,নাকি চিল্লায়?বলা হল,"মজবুত ঈমানের হাট খানকা,চিল্লা,মাজারে নয়,এই ঈমানের উৎস কুরআন ও সুন্নাহ।
কুরআনের নিকট যখন প্রশ্ন করা হল,মানুষকে তুমি কি কাজে সৃষ্টি করেছে?
কুরআন উত্তর দিল,মানুষকে আমি আমার(খলিফা) প্রতিনীধি হিসাবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছি।
প্রশ্নঃদুনিয়াতে তারা কি করবে?
কুরআন উত্তর দেয়ঃ তাগুতকে অস্বীকার করবে,একামত্র আমার ইবাদত করবে,আমার জমিনে আমার আইনকে বলবত রাখবে,কুরআন দিয়ে বিচার ফায়সঅলা করবে।
প্রশ্নঃযদি তা না করে?
কুরআন উত্তর দেয়,তারা ফাসিক,কাফির,মুশরিক অবস্হায় মৃত্যু  বরণ করবে এবং আবাসস্হল হবে ভয়াবহ জাহান্নাম।তবে যদি তাওবা করে তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।
প্রশ্নঃ যদি পীর,মাশায়েখ,শায়খ,মুফতি,মাওলানা  দ্বীন বিজয়ের সংগ্রাম থেকে দূরে থাকে বা নিরপেক্ষ  থাকা অবস্হায় মৃত্যু বরণ করে তবে তারাও কি জাহান্নামে যাবে?
কুরআন উত্তর দেয়ঃআল্লাহ কারো চেহেরার দিকে তাকান না।

প্রশ্নঃযদি তারা নামাজ রোজা হজ্জ পালন করে এবং বড় বড় জুব্বা পাগড়ি পরে তারপরও কি জাহান্নামে যাবে?
কুরআন বলে-শুধু পূর্বপশ্চিমে মুখ ফেরানোর মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।আর উত্তম পোশাক হলো তাকওয়ার পোশাক। 
বান্দা বলে,হে আল্লাহ!আমি ঈমান আনলাম।
আল্লাহ বলেন,মুখের কথায় বিশ্বাসী নই।
বান্দা বলে,কি করতে হবে?
কুরআন বলে, পরীক্ষা দিতে হবে।
বান্দা বলে: কি সে পরীক্ষা?
আল্লাহ বলেন,জান মালের ক্ষতি সাধন,ভয় ভীতি,ক্ষুধা দারিদ্রতা জন্য তৈরি হও।
বান্দা বলে, বিনিময় কি দিবা?
আল্লাহ বলেন,চিরস্হায়ী জান্নাত।
বান্দা বলে,জান্নাতে কি থাকবে?
আল্লাহ বলেন,তোমার চোখ যা দেখেনি,মন যা কল্পনাও করেনি গোপনে সুরক্ষিত মুক্তার মত সুন্দর সুন্দর রমণী আর মনোরঞ্জনের জন্য থাকবে অসংখ্যে নেয়ামত।বান্দা বলে লিল্লাহি তাকবির।আল্লাহু আকবার।আমি শপথ নিলাম, তাই করবো।
হে দুনিয়ার বাতেল শক্তি!যে যুবক জান্নাতের নেশায় পাগল এবং শহীদি তামান্না নিয়ে ময়দানে দন্ডায়মান পৃথিবীর কার সাধ্য জেল জুলুম নির্যাতন,গুম,খুন করে তাকে দমিয়ে রাখতে পারে?শিবির কুরআনের আদর্শ বুকে লালন করে,বাতিলের রক্ষ চক্ষুকে ভয় পায় না,অন্যায়ের সাথে আপোস করে না।যার প্রকৃষ্ট উদাহারণ নিচের এই ছবি।
------------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments