ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্হার কর্মীরা কলেজ,ভার্সিটিগুলোতে ভাল কাজের ওয়াসিলা হিসাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। -- ইবনে যুবাইর।

  ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্হার কর্মীরা কলেজ,ভার্সিটিগুলোতে ভাল কাজের ওয়াসিলা হিসাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। 

     কলেজ,ভার্সিটিগুলোতে যে সব ছেলে-মেয়েগুলো আরবি 'আলিফ' হরফটি চিনত না,নামাজ-রোজার ধারে কাছেও যেত না,মদ,জুয়া, নারীসঙ্গ নিয়ে সময় কাটাত,ইসলামের জন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল সীমাহীন মরুভুমি।এই বিশাল মরুর বুকে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্হার কর্মীরা পথভোলা যুবক-যুবতীদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে আরম্ভ করল।

    প্রতিটি বাবা-মা কলেজ,ভার্সিটি পড়ুয়া তাদের সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকেন।অনেক যু্বক যুবতী কুপথে চলে নিজেদের ক্যারিয়ারকে নষ্ট করে দিয়েছে।সাথে বাবা মা'র একবুক স্বপ্নকে করে দিয়েছে ধূলিসাৎ।বাবা মা শত চেষ্টা করেও সেই সন্তানদেরকে আর সুপথে ফেরাতে পারেনি।নিভৃতে, নির্জনে, গভীর রজনীতে মা জায়নামাজে সিজদাহরত অবস্হায় মহান মাবুদের দরবারে মিনতিসুরে কেঁদেছে,ওগো মাবুদ!আমার সন্তানকে তুমি সত্য সঠিক পথ দেখাও!সন্তানের জন্য জননীর খালি হাত ফেরাতে আল্লাহ বড় লজ্জাবোধ করেন! প্রতিটি ভাল ও মন্দ কাজের পিছনে ওয়াসিলা হিসাবে কারো না কারো হাত থাকে।

 

   ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্হার কর্মীরা কলেজ,ভার্সিটিগুলোতে ভাল কাজের ওয়াসিলা হিসাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। পথভোলা যুবক যুবতীদের জন্য বিশেষ করে এই জাতির জন্য ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্হা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নেয়ামত। যে সব যবক-যুবতী পথ হারিয়ে অন্ধকারের অতলগহ্বরে তলিয়ে গিয়েছিল, শত শাসন গর্জনেও যারা সুপথে ফিরে আসেনি,ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্হার কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় মহান রব তাদেরকে আলোর পথে ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

    অথচ,এই ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্হার কর্মীদের বিরুদ্ধে এক শ্রেণীর মোল্লারা প্রতিক্ষণে ফতুয়ার মেশিনগাণ ফিট করে বসে থাকে।এ দেশে এক শ্রেণীর মাদরাসা আছে,যেখানে 

ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গীবত চর্চা করানো হয়।তাদের উদ্দেশ্যে বলতে হয়,আজ দু চোখ মেলে তাকিয়ে দেখো,তোমাদের গীবত সেন্টারের পরিধি দিন দিন কতটা সংকৃর্ণ হয়ে আসছে।মানুষ আজ তোমাদের মুখোসের আড়ালে যে জানুয়ার বাস করে সেটাকে চিনতে ও বুঝতে পেরেছে।সময় আছে, নীতি বদলাও! নয়তো দৃশ্যপট থেকে নাম নিশানা মুছে যাবে।কারণ,যেখানে পরনিন্দাকেই ইবাদত হিসাবে গণ্য করা হয় সেখানে মহান রবের গজব অবধারিত।চক্ষুবানদের উপলব্ধিতে গজবের নমুনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।লূত(আঃ)-এর কওমের মত অবস্হার দিকে দ্রত ধাবিত হচ্ছে তেমাদের কওম।তুমি যদি অন্ধ হও তাহলে সেটা বুঝবে কি করে?!কিন্তু চোখ বন্ধ করে প্রলয় বন্ধ  করা যাবে না!