এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর সাথে আক্বীদা ও ফিকহী বিষয়ে মতভেদ থাকলেও টকশো ইস্যুতে তিনি নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য!
ইসলামি ঘরানার সমস্ত দল-মতের উর্ধ্বে থেকে তিনি সরাসরি ইসলামকে ডিফেন্ড করেছেন। বাহ্যিকভাবে তিনি মওদুদী সাহেবের বিরোধিতা করলেও সুন্দর শব্দচয়নে তিনি শাঃ কবিরের নগ্ন আক্রমণ থেকে তাকেও রক্ষা করেছেন! সালাফি মতাদর্শে বিশ্বাসী সৌদি শাসনব্যবস্থার প্রশংসার পাশাপাশি জাকির নায়েকের পক্ষে লড়েছেন খুব ঠান্ডা মাথায়। ক্বওমী ঘরানার নেতৃত্বকেও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আব্বাসী সাহেবের প্রতিটি কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছি আর অবাক হয়েছি।
নির্দ্বিধায় স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি, টকশোতে আলেমদের মধ্য থেকে তাঁর মতো শক্তিশালী অবস্থানে আর কাউকেই দেখিনি! টকশো করার মতো তাঁর ইলম,হিকমত,ইতিহাস ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,উপস্থিত বুদ্ধি,ঠান্ডা মাথা,দলীয় গোরামীর উর্ধ্বে অবস্থান ইত্যাদি সত্যিই আলেম সমাজের জন্য অনুকরণীয়। অভ্যন্তরীন পরিবেশে নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও ইসলাম বিরোধীদের সামনে আমাদের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত উনি তা দেখিয়ে দিয়েছেন! সব ঘরানার ইসলামি মতাদর্শকে তিনি একাই বলিষ্ঠ ও সাবলীলভাবে ডিফেন্ড করেছেন, মা শা আল্লাহ!!
শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্যে নতুনত্ব ছিলোনা। মুক্তি যুদ্ধের চেতনা,সংবিধান, ধর্মের নামে রাজনীতি, উগ্র মৌলবাদ ইত্যাদি কমন শব্দ দিয়ে বারবার সস্তা সমালোচনা করেছেন মাত্র, যা ইতোপূর্বে তার টকশোতে বহুবার শুনেছি। সাধারণ টক শোতে উপস্থাপকদের সহায়তায় সুবিধা করতে পারলেও উঠলেও এবার আব্বাসী সাহেবের ঠান্ডা মাথার উত্তরগুলো পাথরের মতো তিনি গলাধঃকরণ করতে বাধ্য হয়েছেন! শুধু কি তাই, শাঃকবিরকে পরোক্ষভাবে “বুদ্ধি প্রতিবন্ধী” বললেও তা মেনে নেয়া ছাড়া তার উপায় ছিলোনা। শাঃ কবিরকে আজকের মতো এতটা অসহায় আগে দেখিনি!
আব্বাসীর মুখে বহুবার সালাফী,জামাআতে ইসলামী, ক্বওমী সমাজ ও জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে নগ্ন সমালোচনা শুনেছি কিন্তু সেদিনের টক-শো'তে তিনি এই সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে এসে স্রেফ ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষ নিয়েছেন। মতভেদ আছে,থাকবে; কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে এভাবেই আমাদের ঐক্য অটুট থাকুক, এই শুভ কামনা!
-------------------------------------------লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক, শিক্ষক, কলামিস্ট ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments