Recent Tube

বিন সালমানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এবং বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে মানবতার ফেরিওয়ালা সাজলেন জো বাইডেন? ইবনে যুবাইর।

বিন সালমানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এবং বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে মানবতার ফেরিওয়ালা সাজলেন জো বাইডেন?

     জো বাইডেন মানবাধিকার ইস্যুতে কঠিন হবে এমনটায় আভাস দিয়ে আসছিলেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।সেমতে এদেশের কিছু রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি সামনে,খুব দূরে একটা আশার আলো দেখছিল যে,নৈশভোটের অবৈধ ও খুনি হাসিনা সরকারকে মানবাধিকার ইস্যুতে খুব কঠিন জবাবদিহিতার আদালতে দাঁড় বরাবেন জো বাইডেন সরকার।

    এমন কি এই গুম খুন,ধর্ষণ,আর্মি হত্যা পূলিশ RAB নির্যাতনে সাধারণ জনগণ এবং বিরোধী মত পথের মানুষকে হত্যা,কথিত ক্রশফায়ার এই সমস্ত ঘটনার জেরে হাসিনার গদি পর্যন্ত উল্টে যাবার কথা অন্দরমহলে খুব জোরালোভাবে আলোচনায় ছিল।আমরা আসলে কল্পনাবিলাসী।যাদের হাত মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত তাদের নিকট থেকে আমরা মানবতা কিনতে চায়।

    তো ফিলিস্তিনিদের নিয়ে জো বাইডেন সরকারের উপচে পড়া মানবতা নিয়ে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারব?
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর ও গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ তদন্তে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রমে বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৃহস্পতিবার এক ফোনালাপকালে তিনি এ আশ্বাস দেন।

    এর একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একই সুরে কথা বলেন আইসিসির যুদ্ধাপরাধ তদন্ত নিয়ে। ক্ষমতাগ্রহণের পর নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রথমবারের মতো আলাপ হয় কমলার।

    ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগে আইসিসি গত বুধবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কথা ঘোষণা করার পর থেকে নেতানিয়াহু যখন চাপে ছিলেন তখন আমেরিকার পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসল।
তুরস্কের মাটিতে নৃসংসভাবে সাংবাদিক জামাল খসোগিকে হত্যা করে বিন সালমানের একটি টিম।

    এই হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিল আমেরিকার সিআইএ এবং ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ এবং মঞ্চে ছিল বিন সালমান কিলার বাহিনী।উদ্দেশ্য ছিল, হত্যার দায় এরদোগানের উপর চাপিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা।কিন্তু ঘটনাক্রমে হত্যাকান্ডের প্রামাণিক তথ্য কব্জা করে  তুর্কি গোয়েন্দা বাহিনী।

     এরদোগান এই হত্যাকান্ডের প্রামাণিক তথ্যের কথা প্রকাশ করলে বিন সালমানকে হত্যার দায়ে দোষী করে তৎকালিন আমেরিকা সরকার।সালমানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়ার কথাও ঘোষণা আসতে থাকে একের পর এক।একেই বলে সর্প হয়ে দংশন করা, ওঝা হয়ে ঝাড়া।
 
     বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর সাংবাদিক জামাল খসোগি ইস্যু সামনে নিয়ে হাজির হোন।গল্প শোনাতে থাকে কথিত মানবাধিকারের।বিন সালমানের বিচার হবে বলে কঠিন হুঙ্কার ছাড়তে থাকেন বাইডেন।খসোগি কার্ড ব্যবহার করে বিন সালমান এবং কাতার,তুর্কি কাছে আসার গল্পের ইতি টানা এবং মধ্যপ্রাচ থেকে আমেরিকার অবৈধ চাওয়া পাওয়া পূরণ করা,ফিলিস্তিনি গণহত্যাকে জায়েজ করা,ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর কুটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে খসোগি হত্যাকান্ড সামনে আনা হয়েছিল এবং গোপন সমঝোতার মধ্য দিয়ে এই  ইস্যু আপাতত মৃত।

      আল জাজিরা প্রতিবেদন নিয়ে হাসিনার প্রতি চড়াও হবে আমেরিকা।তবে সেটাও তাদের নিজেদের স্বার্থে।মুসলিম গণহত্যা এবং মুসলিম দেশগুলোতে অবৈধ স্বৈরাশাসকদের ক্ষমতায় রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা ইহুদী খ্রীষ্টবাদ ও ব্যাহ্মণ্যবাদের মূল মিশন।বৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাদের অবৈধ চাওয়া পাওয়া পূরণ হয় না।বৈধ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাতের পরের টার্গেটে রয়েছে এরদোগান।
  
      যে আমেরিকা অবৈধপন্থায় বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রকে জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছে সে আমেরিকা মাফিয়াদের ব্যাপারে সরব হবে এই কল্পনা করাটাও চরম নির্বুদ্ধিতা বটে।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments