Recent Tube

আসুন, ইসলামের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে আগামী দিনের সূর্য আমাদের ইনশাআল্লাহ। আসলাম হোসাইন।




   আসুন, ইসলামের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে আগামী দিনের সূর্য আমাদের ইনশাআল্লাহ



       কলিজার জ্বালা এখনো মিটেনি। স্তম্ভিত হয়ে আছি। চোখের সামনে বারবার জলচাচ্ছে ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিচ্ছবি। মাওলানা মামুনুল হক সাহেবের ওপর এমন নোংরামি আচরণের দৃশ্য দেখে কলিজায় আঘাত ঠিক ততটুকু লেগেছে একজন মুমিনের যতটুকু লাগা উচিত। প্রথম দৃশ্য যেই মুহূর্তে দেখি তখন আমি উমরগঞ্জ (কানাইঘাট, সিলেট) মাদ্রাসার হিফজ খানায় বসা, শিক্ষকদের সাথে কথা বলছিলাম।

      প্রথম যখন হিংস্র জানোয়ারদের সাথে মামুনুল হক সাহেবের দস্তাদস্তি দৃশ্য চোখে পড়ে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এটা সাম্প্রতিক কোনো ঘটনা নাকি অন্য যুগের কোনো ভিডিও ক্লিপ। পুরো শরীরের পশম দাঁড়িয়ে গেছিল। একটা মুহূর্তের জন্য‌ও এটা অন্তরে আসেনি যে, উনি কওমি আলেম, নাকি হেফাজতের আলিম আর না চরমোনাই পন্থি কেউ। শুধু এই চিন্তাই অন্তরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে যে, একজন আলেমের গায়ে হাত দিয়েছে, দেশ বরন্য একজন আলেমকে অপদস্থ করতেছে, একজন আল্লামার ছেলের ইজ্জতের ওপর হামলা করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

     যত শক্ত প্রতিবাদ করার মতো করছি। জামায়াত-শিবিরের কোনো নেতাকর্মীকে এটা নিয়ে ট্রল করতে দেখিনি, সবাই বাকরুদ্ধ, হতভম্ব এবং অশ্রুসিক্ত। নাটকের মঞ্চ তৈরি করে উনার ওপর একের পর এক অপবাদ দিয়ে উনাকে কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে, দলিল প্রমাণ ছাড়াই একটা মুহূর্তের জন্য একটা গরমিল‌ কথাও বিশ্বাস করিনি। তিনি বলেছেন স্ত্রীর নাম আমেনা তাইয়্যেবা আর ওই মহিলা লাইভে বলেছে তার নাম জান্নাত আরা। কমেন্টে এবং ইনবক্সে এটা নিয়ে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি। কাউকে বলেছি একই ব্যক্তির দু নাম থাকতে পারে আর কাউকে বলেছি, হয়ত এটাও একটা ষড়যন্ত্র। যতটুকু সম্ভব ষড়যন্ত্রের প্রমাণ‌ও হাজির করার চেষ্টা করছি। ফোনালাপগুলোর কন্ঠ নকল বলে প্রথম ধাক্কাতেই উড়িয়ে দিয়েছি, কাউকে একটু কথা বলারও সুযোগ দিইনি।

      কিন্তু দুঃখ লাগে এবং কষ্ট হয় রে ভাই, আল্লামা সাঈদীর কন্ঠ নকল করে যখন তাকে হেনস্থা করতে চেয়েছিল কিছু জারজ সন্তান, তখন এই ক‌ওমীর ভাইয়েরা উক্ত অডিও ক্লিপ নিয়ে অনেক ট্রল করেছে, এটা নিয়ে মজা লুটেছে। আল্লামা সাঈদীসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ এনে ফাঁসির কাঠে ঝুলানো দেখেও আমাদের অনেক দীনিই ভাই ঘরে বসে হাততালি দিয়েছে। আমাদেরকে তৃতীয় পক্ষ ভেবে সবসময় আড় চোখে দেখেছে, এখনও দেখে যাচ্ছে। এটাও বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, এই গোত্রের কিছু মৌলভী আছে আজকের ঘটনাতেও জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করবে না, তার কোনো গ্যারান্টি নেই। 

      জামায়াত-শিবিরের নেতৃবৃন্দের ওপর যখন একের পর এক মিথ্যা অপবাদের ঝড় যাচ্ছিল তখন যদি তারা রাজনৈতিক ইস্যু, তৃতীয় পক্ষ কিংবা বাতিলপন্থী বলে ঘরে বসে হাততালি না দিয়ে আজকে মামুনুল হক সাহেবের ইস্যুতে দলমত নির্বিশেষে সবাই যেভাবে গর্জে উঠেছিল, ঠিক সেইভাবে যদি তখন গর্জে উঠত তাহলে আজকে মামুনুল হক সাহেবকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হতো না।

      বিশ্বাস করেন ভাই, আল্লাহর কসম! আমরা তৃতীয় পক্ষ ন‌ই। কারো কাঁধে ভর করে চলার মতো দুর্বল লোক আমরা ন‌ই। এই সংগঠন যদি এত দুর্বল হইত তাহলে এতদিনে এই সংগঠনের অস্তিত্ব বাংলাদেশ থেকে মুছে যেত।

     আমরা প্রথম পক্ষের, আপনাদের দ্বীনি ভাই। ইসলাম বাঁচানো, মুসলমানদের ইজ্জত বাঁচানো এবং দেশ বাঁচানোই আমাদের লক্ষ্য। তাই এইজন্য এখনও যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চিন্তা না করি এবং তৃতীয় পক্ষ খুঁজি তাহলে আগামী দিন এর থেকেও ভয়ঙ্কর কোনো দৃশ্য দেখার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
--------------------------------- 
লেখকঃ প্রবন্ধ লেখক, ইসলামিক আর্টিকেল লেখক কলামিস্ট গ্রন্থপ্রনেতা ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 


Post a Comment

0 Comments