Recent Tube

হেফাজতের সাথে ইসলামী আন্দোলনের কোনো সর্ম্পক নেই কারণ হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আর চরমোনাইর 'ইসলামী আন্দোলন' একটি রাজনৈতিক দল। :- কুতুব শাহ।

 


 
হেফাজতের সাথে ইসলামী আন্দোলনের কোনো সর্ম্পক নেই: কারণ হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আর চরমোনাইর 'ইসলামী আন্দোলন' একটি রাজনৈতিক দল। 


  হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আর চরমোনাইর 'ইসলামী আন্দোলন' একটি রাজনৈতিক দল। হেফাজতের সাথে ইসলামী আন্দোলনের কোনো সর্ম্পক নেই:  আজকের সংবাদ সম্মেলনে পীর সাহেব রেজাউল করিমের দাঃবঃ এর স্পষ্ট ঘোষণা। 

   রাজনীতি করতে হলে এরকম বিচক্ষণতা খুব দরকার। এই মূহুর্তে হেফাজতের পক্ষে নেয়া মানে কারাগারে  যাওয়ার ঝুঁকি তৈরী করা। তাই পীর সাহেব সেইভ এক্সিট নিলেন। অতচ, শায়খের অন্তরে আলেম ওলামাদের জন্য বুক ভরা দরদ আছে, মায়া আছে, কিন্তু প্রকাশ করতে পারছেন না।

      হেফাজত নেতারা কি করছেন জানেন? ২০১৩ সালে পীর সাহেব শাপলা চত্বরে গিয়েছিলেন বিরাট হাতপাখার ব্যানার নিয়ে গাড়িতে করে। অতচ, তখন মঞ্চে উঠানো দূরে থাক সমাবেশেও পীর সাহেবকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কেন ঢুকতে দেয়া হয়নি এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন কারাবন্দী হেফাজত নেতা মুফতি হাবিবুল্লাহ কাসেমী। ওনার ব্যাখ্যার সাথে আমরা একমত নই। নির্বাচনী সমাবেশ না হলেও সাথে বড় হাতপাখা নিয়ে যাওয়া তো সংবিধানে নিষিদ্ধ নয়, শরীয়তে হারাম নয়। চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলেও হাতপাখার শ্লোগান দেখা যায় এই পর্যন্ত কোন আলেম কি তা জায়েজ নয় বলেছেন? ১ লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ দিলাম। 

    যাইহোক সেই অনেক দুঃখের কাহিনী। ২০১৩ সালের পর কীর্তনখোলা নদীতে অনেক পানি গড়িয়েছে, বন্যার পানি উঠে শুকিয়ে গেছে পীর সাহেবও ভুলে গেছেন যন্ত্রণা। কিন্তু আল্লামা শফীর ওফাতের পর হেফাজতের নতুন কমিটিতে গা-গ্রামের অনেকে স্থান পেলেও চরমোনাইর কাউকে দারোয়ানের পদের যোগ্যও মনে করা হয়নি।সেই ক্ষোভ থেকে ক্ষতি-বুল উম্মা বলেছিলেন মামুন্যা সাইজ হবে মামলা রেডি। হুজুরের মুখের বাণী বুলেটের মত কার্যকর। তীরের নিশানা মিস হতে পারে কিন্তু পীর সাহেবের দোয়া মিস হয়না। এর জ্বলন্ত প্রমাণ আজকে হেফাজত নেতাদের অবস্থা। আজকে পীর সাহেব প্রকাশ্যে হেফাজতের সাথে কোন সম্পর্ক নাই বল্লেও তিনি অন্তর থেকে ভিত্রে ভিত্রে নেতাদের মুক্তির দোয়া করেন। এটাই উনার দরাজ দিলের পরিচয়।

     পীর সাহেবের ক্বেরামত বলতে পাব্লিক মনে করে সুন্দরবনের বাঘ মুরীদকে নিরাপদে ছেড়ে দেয়া, বেগুন, পেঁয়াজ পীর সাহেবের বয়ান শুনে যিকির করা, সাগরের পানির উপর দিয়ে হেটে আফ্রিকার জঙ্গলে চলে যাওয়া ইত্যাদি কিন্তু পীর সাহেবের বদ্দোয়ায় যে মানুষ কারাগারে যায় তা অনেকে বিশ্বাস করে না। এই যে আল্লামা সাঈদী কারাগারে গেছেন এর কারণ আব্বা হুজুরের বদ্দোয়া। এখন হেফাজত নেতারা যে বন্দী তা চাচা হুজুরদের অভিশাপ। দুইয়েকদিন আগে আমার আইডি ২৪ ঘন্টার জন্য রেস্ট্রিকটেড করেছিল ফেইসবুক কতৃপক্ষ তাও নাতি হুজুরের অভিশাপ।

    শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক্ব (রহঃ) মুফতী আমিনী-সহ অসংখ্য দেশবরেণ্য আলেম কেন কারাগারে গিয়েছিলেন জানেন? তারা রাজনীতি বুঝতেন না, কৌশল জানতেন না, বিএনপি জোটে গিয়েই ভুল করেছিলেন।রাজনীতি করতে হলে উপরে এক লেভেল ভিত্রে আরেক লেভেল রাখতে হয়। যা পীর সাহেবদের দেখে শিখতে পারেন।এটার নামই হেকমা, কৌশল, বিচক্ষণতা। 
বুঝলে? 

      ধন্যবাদ পীর সাহেব, জয় হাতপাখা। মনে রাখিয়েন পীর সাহেবের সেই ফতোয়া "হাতপাখায় ভোট দিলে সেই ভোট পায় আল্লাহর নবী আর চরমোনাইর গ্র‍্যান্ড মুফতীর মতে চরমোনাইর বিরোধীতা করলে ঈমান থাকবে না"। মাইন্ড ইট।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments