Recent Tube

রাজনীতির জ্ঞান না থাকলে রাজনৈতিক ময়দানে খেলতে আসা উচিত নয়। --- ইবনে যুবাইর।








 
রাজনীতির জ্ঞান না থাকলে রাজনৈতিক ময়দানে খেলতে আসা উচিত নয়।

     হেফাজত নেতারা খাল কেটে কুমির এনেছেন।আসলে রাজনীতির জ্ঞান না থাকলে রাজনৈতিক ময়দানে খেলতে আসা উচিত নয়।

      সজিব ওয়াজেদ জয়কে মানুষ প্রতিবন্ধি (বুদ্ধি প্রতিবন্ধি) বলে।মানুষের এই কথার সাথে আমি একমত হতে পারতাম না।বলতাম,উচ্চ শিক্ষিত একজন মানুষ বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হয় কি করে?

     বিগত জাতীয় নির্বাচনের আগে হবে হয়তো,সঠিক মনে নেই,স্মৃতি থেকেই বলছি।জয়কে বলতে শোনা গেল,'বাংলাদেশে আইএস জঙ্গির ব্যপক উপস্হিতি হয়েছে এবং আমার নিকট বিস্তর তথ্য প্রমাণও রয়েছে।'

    এই কথাটি তিনি দিনে রাতে ক্ষণে ক্ষণে কারণে অকারণে বলতে লাগলেন।সকলে জানেন,বিগত জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী  দেশে ছেড়ে পালিয়েছিল।

     আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারাবে এবং পিঠের চামড়া জনগণকে বর্গা দিতে এই ভয় নিয়েই পালায়ণ করা। ক্ষমতা হারনোর ভয়ের কারণ ছিল ভারত আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সোজা জানিয়ে দেয় ডুবন্ত নৌকা তীরে তোলা এবার সম্ভব নয়।

     স্বামী পরিবার থেকে সেই দুঃখ সইতে না পেরেই গণতন্ত্রের মানসকন্যা কঠিন আবেগ তাড়িত হয়ে প্রকাশ্য বলে ফেলেন, ভারতকে যা দিয়েছি তা দেশটি সারা জীবন মনে রাখবে।এখন ভারতের প্রতিদান দেয়ার পালা। তবুও ভারতের মন গলেনি।

     যা হোক,জয় সাহেবের জঙ্গি আবিস্কার ছিল মূলত পশ্চিমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। জঙ্গি দমনে যেহেতু শেখ হাসিনার বিকল্প নেই সেহেতু পশ্চিমাদের উচিত হবে শেখ হাসিনাকেই বারবার ক্ষমতায় রাখা। কিন্তু জয়ের জঙ্গি আবিস্কার আওয়ামী লীগের জন্য হতে পেরেছিল হিতে-বিপরিত।

     পশ্চিমারা জঙ্গি দমনের নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করার অবাধ সুযোগ পেয়ে যায়।পশ্চিমাদের তল্পিতল্পা গোছাতে দেখে আওয়ামী দৌড় দেয় চীনের কাছে।নেয়া দেয়ার স্বার্থে ডুবন্ত নৌকা তীরে তুৃলতে চীন এগিয়ে আসে এবং নৌকা তীরে তুলে দেয়।

     মোদি বিরোধী আন্দোলনে হেফাজত নেতারা তাদের বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে তৃতীয় শক্তি আবিস্কার করে ফেলেন এবং দলের নেতা-কর্মীদেরকে সতর্ক থাকতে বলেন যেন কোনভাবেই দলে তৃতীয় শক্তির অনুপ্রবেশ না ঘটে।

     তৃতীয় শক্তি তথা জামায়াত প্রবেশ করেছে হেফাজতের মধ্যে'-হেফাজত নেতাদের এই নিরেট স্বীকারোক্তি আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রবল ভীতির সৃষ্টি হয়।কখন যে ক্ষমতার গণেশ উল্টে যায় এই ভয় চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল।

     হেফাজত নেতাদের নিয়ে 'মামুন্যারে সাইজ করা হবে'-গ্রুপের অপতৎপরতা আগে থেকেই চলছিল এবং শেখ হাসিনাকে হেফাজত সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রন্ত করে আসছিল।

       হেফাজতের মধ্যে  তৃতীয় শক্তি আবিস্কারের মামুনুল হকের নিরেট স্বীকারোক্তিই 'সাইজ করা' গ্রুপের কথার সত্যতা হাসিনার নিকট প্রমাণ হয়ে যায়।পরের ইতিহাস সবার জানা।তৃতীয শক্তি আবিস্কার করে মামুনুল হকেরা হাসিনার নিকট বাহবা কুড়াতে চেয়েছিলেন।কিন্তু কে জানত এই তৃতীয় শক্তির আবিস্কার হেফাজত নেতাদের খাল কেটে কুমির আনার মত বিপদে পরিনত হবে?!!
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments