Recent Tube

ইসলামে পীর-মুরীদীর স্থান নেই এটা সূফীদের তৈরি করা একটি বিদআতি প্রথা:। আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।



ইসলামে পীর-মুরীদীর স্থান নেই
----------------------◄✪►----------------------
 প্রশ্ন: 
 আমাদের দেশে যে সব পীর-হুজুর আছেন-যেমন আটরশির পীর, নারিন্দা হুজুর.. এমন আরও অনেকে। এখন আমার জানার খুব ইচ্ছা, ইসলামের দৃষ্টিতে কি এ সকল পীর এবং তাদের মুরিদরা সহীহ পথে আছেন? বা এই পীর-মুরিদী পদ্ধতিটি কি ইসলামের গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি?

উত্তর:
ইসলামে পীর-মুরীদী প্রথাটাই বিদআতি প্রথা।
সুতরাং কোন পীরের হাতে বাইআত নেয়া বা পীরের নিকট মুরিদ হওয়া নাজায়েজ।
কথিত পীর-মুরীদী একটি পূঁজি বিহীন লাভজনক ব্যবসা। যেখানে কথিত পীরেরা তাদের অজ্ঞ ভক্তবৃন্দের নিকট থেকে নান কলাকৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। আর মূর্খরাও তাদের অন্ধত্বের কারণে তাদের সহায়-সম্পদ ঢেলে দিচ্ছে এ সকল ধর্ম ব্যবসায়ীদের পদতলে।
শুধু তাই নয়, এরা মানুষের ঈমান-আমলকেও কুলোষিত করছে তাদের শিরক ও বিদআতি আকীদা ও আমল দ্বারা। এরা এক দিকে যেমন সম্পদ হরণকারী অন্য দিকে তেমনি ঈমান নষ্টকারী। সুতরাং সাধু সাবধান!
◈ ইসলামে পীর-মুরীদীর সম্পর্ক নেই; আছে ছাত্র ও শিক্ষকের সম্পর্ক:
ইসলামে পীর-মুরিদীর স্থান নেই। ইসলামে রয়েছে শিক্ষক ও ছাত্রের সম্পর্ক। আলেমগণ জনসাধারণের মধ্যে ইলমে নব্বী বিতরণ করবেন। একজন আলেম বা শিক্ষক তার ছাত্র ও অনুসারীদেরকে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের তালীম দিবেন, হেদায়েতের রাস্তা বাতলায়ে দিবেন, তাওহীদ ও সুন্নাহর রাস্তা দেখাবেন, শিরক-বিদআত, কুসংস্কার, অপসংস্কৃতি ইত্যাদি থেকে সতর্ক করবেন। কিন্তু কখনো মানুষের নিকট বাইআত নিয়ে তাদেরকে মুরিদ বানাবে না। কারণ এটি একটা বিদআতি প্রথা।
◈ বাইআত গ্রহণের অধিকারী একমাত্র মুসলিম শাসকগণ:
বাইআত গ্রহণের একমাত্র অধিকারী মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ। কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বাইআত নেয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এর প্রমাণ সাহাবীদের ইতিহাস। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জীবদ্দশায় সাহাবীদের নিকট বাইআত নিয়েছেন। তার ইন্তেকালের পর কেবল মুসলিম খলীফাগণ বাইআত গ্রহণ করেছেন। এমন কোন প্রমাণ নাই যে, মুসলিম খলীফা বা তার প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোন সাহাবী জনগণের নিকট বাইআত নিয়েছেন।
★ বাইআত গ্রহণের অধিকারী একমাত্র মুসলিম শাসকগণ:
বাইআত গ্রহণের একমাত্র অধিকারী মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ। কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বাইআত নেয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এর প্রমাণ সাহাবীদের ইতিহাস। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জীবদ্দশায় সাহাবীদের নিকট বাইআত নিয়েছেন। তার ইন্তেকালের পর কেবল মুসলিম খলীফাগণ বাইআত গ্রহণ করেছেন। এমন কোন প্রমাণ নাই যে, মুসলিম খলীফা বা তার প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোন সাহাবী জনগণের নিকট বাইআত নিয়েছেন।
সাহাবীদের পরবর্তীতে তাবেঈ ও তাবে তাবেঈনের যুগেও এ বিধান চালু ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ইসলামী খেলাফতের দুর্বলতার সুযোগে মুসলিম দেশে দেশে সূফী ও বিদআতি আলেমদের মাধ্যমে এই পীর-মুরিদী প্রথা ও মুরিদদের নিকট থেকে বাইআত নেয়া শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে আাবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ইসলামি দল বা ধর্মীয় সংগঠনের বাইয়াত। এগুলো সব বিদআত। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমীন।
সুতরাং আমাদের উচিৎ, কথিত এ সকল পীরদের নিকট নিকট মুরিদ হওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদেরকে নিবৃত রাখা এবং এর বিপক্ষে মুসলিমদেরকে সচেতন করা। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। 
------------------◄✪►------------------

আরও পড়ুন:
পীর-মুরীদী সূফীদের তৈরি করা একটি বিদআতি প্রথা:
---------------------------------
   ইসলামে পীর-মুরীদীর স্থান নেই। এটি সূফীদের তৈরি করা একটি মতবাদ।
আমাদের করণীয় হল, দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য আলেমদের শরণাপন্ন হওয়া। আলেমদের করণীয় হল, কোরআন ও হাদিস ভিত্তিক মানুষকে দ্বীনের জ্ঞান দান করা।
তারা মানুষকে দ্বীনের জ্ঞান বিতরণের পাশাপাশি তাদেরকে সংশোধন করবেন, তাদের মাঝে ঈমানী চেতনা জাগ্রত করবেন, শিরক-বিদআত থেকে সাবধান করবেন, তাওহীদ ও সুন্নাহর রাস্তা দেখাবেন ইত্যাদি।
কিন্তু বর্তমান যুগে অনেক আলেম রূপি জাহেল মানুষের কে তাদের মুরিদ বানিয়ে পয়সা কামানোর ধান্ধায় লিপ্ত।
তারা এক দিক থেকে পয়সা লুটছে অন্যদের দিয়ে শিরক, বিদআত ও কুসংস্কার ও গোমরাহি থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহকে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরী।
মোটকথা, পীর মুরিদী প্রথা শরীয়ত বহির্ভূত এবং বিদআতি প্রথা। ইসলামের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
الله اعلم
---------------------------------
 উত্তর প্রদানে:
 আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল।
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA

Post a Comment

0 Comments