Recent Tube

নিজের আস্তানায় শিরকের গোডাউন রেখে মাওলানা মওদুদীকে (রহঃ) নিয়ে ব্যস্ত আবরার সাহেবরা। --- আবু নোমান।




 নিজের আস্তানায় শিরকের গোডাউন রেখে মাওলানা মওদুদীকে (রহঃ) নিয়ে ব্যস্ত আবরার সাহেবরা।

    মুফতি মোয়াজ্জেম হোসেন সাইফী সাহেবের সাথে গত দিনের ডিবেটে মুফতি রেজাউল করিম আবরার সাহেব স্বীকার করেছেন যে, তামিমা ব্যবহার করা শিরক। তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে, কুফরী কালাম ও নকশা দিয়ে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহঃ ও চরমোনাই পীর সাহেব তাবিজের নামে যা করেছেন তা ভুল, এইগুলো জায়েজ নাই। যদিও তিনি এটাকে শিরক বলেন নি।

    অথচ সামান্য বিবেক বুদ্ধি থাকলে যে কেউ বুঝতে পারবে যে, তামিমার সকল উপাদান ও বৈশিষ্ট্য থানবী সাহেব ও চরমোনাই পীর সাহেবের লিখিত কিতাব সমূহের তাবিজের মধ্যে বিদ্যমান। অতএব উল্লেখিত এই তাবিজ গুলো নিঃসন্দেহে শিরক। অতএব, তিনি নিজেই তার পীর ও আকাবিরে দেওবন্দকে মুশরিক বানিয়ে দিলেন। বেহেশতী জেওর আশরাফ আলী থানবী রহঃ-এর নয় বলে উনাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সাইফী সাহেব থানবী রহঃ-এর আরেকটি ব‌ই থেকে এইরকম কুফরী নকশা দেখিয়েছেন। আবরার সাহেব এটার কোনো উত্তর দেননি। তাহলে বুঝা যায় সাইফী সাহেবের এই অভিযোগ সত্য। আর বেহেশতী জেওর থানবী সাহেবের নয় বলে বেঁচে গেলেও আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী (রহঃ)-কে কীভাবে বাচাবেন? কারণ তিনিই তো শিরকি কথাগুলোর অনুবাদ করেছেন এবং এগুলো ভুল বলে কোনো টিকাও লিখেননি। তাহলে তাঁর ব্যাপারে ফতোয়া কি হবে?
,
    তারচেয়ে বড়ো কথা রেজাউল করিম আবরার সাহেব চরমোনাই পীর সাহেবের খাস অন্ধ মুরিদ। মানুষ তখনই অন্যকে পীর বা নেতা হিসেবে গ্রহণ করে যখন পীরের আকীদা-বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনা নিজের মধ্যে লালন করে। আবরার সাহেব শুধু মাওলানা ম‌ওদুদী (রহঃ)-কে গলাবাজি করে ফত‌ওয়ার বন্যা ব‌ইয়ে দেন। দুর্গন্ধময় জায়গায় বসে মাছি তাড়ানোর মতো বসে বসে শুধু অন্যের ভুল খুঁজতে থাকেন। তিনি কোনো দিন কি তার পীর সাহেবের এই শিরকি তাবিজের ব্যাপারে কোনো কথা বলেছেন? আজ পরিস্থিতির শিকার হয় তিনি নিজেই বলতে বাধ্য হয়েছেন চরমোনাই পীর সাহেব এগুলো ভুল করেছেন। কিন্তু তিনি জীবনেও এই ভুলগুলো নিয়ে একটা কথা বলেননি। এতে বুঝা যায় তিনি নিজেও এই কুফরি তাবিজের আকিদায় বিশ্বাসী।
তাহলে জেনে শুনে এই শিরকি ভুলগুলো কে সমর্থন করে যাবার কারণে আবরার সাহেবের ফত‌ওয়া অনুযায়ী তাঁর নিজের ঈমান‌ই সংশয়পূর্ণ।

    চরমোনাই পীর সাহেবের এই শিরকী তাবিজ এবং আশেক মাশুক ও ভেদে মারেফত নিয়ে জীবনেও দুই কলাম না লিখলেও অন্যের ভুল খুঁজতে তিনি জীবনের বড়ো একটা অংশ পার করে দিয়েছেন। আবরার ভাইকে অনুরোধ করব, নিজের আস্তানায় শিরকের গোডাউন রেখে অন্যের আস্তানায় বিচরণ একজন আলেমের পক্ষে শোভা পায় না। দয়া করে নিজের আস্তানা পরিস্কার করুন। দেখবেন এগুলো সংশোধন করতে করতে বাকি জীবন চলে যাবে, অন্যকে নিয়ে চিন্তা করারও সময় পাবেন না।

Post a Comment

0 Comments