Recent Tube

আসুন, তাবিজকে না বলি। এটি অপ্রয়োজনীয় বস্তু এবং সরাসরি শিরক ও শিরকের দিকে ধাবিত কারী: আবুল কালাম আজাদ বাশার।


আসুন, তাবিজকে না বলি। এটি অপ্রয়োজনীয় বস্তু এবং সরাসরি শিরক ও শিরকের দিকে ধাবিত কারী:
--------------------------------- 

    বাংলাদেশে তামিমাহ ও তাবিজ একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। বাংলা ভাষাবিদগণ এদু'টোর মাঝে কোন পার্থক্য করেন নি। আমি নিচে মাও, মহিউদ্দিন খান র, রচিত আল কাউছার, মাও, শামসুল হক হাফি: রচিত আল মুরাদিফ, ড, ফজলুর রহমান রচিত আরবী- বাংলা অভিধান ও বাংলা একাডেমি কতৃক প্রণীত আরবী-বাংল অভিধানের কয়েকটি পৃষ্ঠা কপি করে আপনাদের খেদমতে তুলে ধরেছি। তারা তামিমাকে তাবিজ- কবজ অর্থেই অনুবাদ করেছেন। বরং দু'টোকে মুরাদিফ বা সমর্থবোধক বলেছেন। 

    বাংলাদেশে তাবিজের নামে যা ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার প্রায় শতভাগই শিরক। 

   এ দেশের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ হাতে,গলায়,কোমরে লোহার আংটা, কড়ি, শামুক, ঝিনুকসহ আরো কত ধরনের  বস্তু যে ঝুলায় তার কোন হিসেব নেই। আর এর প্রত্যেকটি যে শিরক তা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। 

   দ্বিমত আছে শুধু করআন বা হাদিস লিখে ঝুলানো যাবে কি-না তা নিয়ে। 
একদল আলেম কোন কোন সাহাবা ও তাবেয়ীর কর্ম দিয়ে তা জায়েজ মর্মে মন্তব্য করেন। আর এ মন্তব্যটিও মোটেও নতুন নয়। এটাও শত শত বছর আগের মন্তব্য। 

    কিন্তু এ জায়েজ মন্তব্যের সুযোগ নিয়ে কুরআন হাদিস লিখে ঝুলানোর পরিবর্তে বিভিন্ন বাজারের সামনে, বটগাছ তলায়, উরস বা মেলায়,  বাজারে ও দোকানে, মসজিদের হুজরায়, মাদ্রাসার খাস কামরায় তাবিজের নামে যা লেখা হয় তার মাঝে শিরক, কুফরি কালাম ও হারাম বাক্যের ছড়াছড়ি। 
এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ লোক শিরকের মত ভয়াবহ অপরাধের লিপ্ত হয়েছে, প্রিয় পাঠক এ নিয়ে আপনারও কি কোন দ্বিমত আছে? 

   ঐ জায়েজ মন্তব্যের সুযোগ নিয়ে বেহেশতি জেওর, লজ্জাতুন্নেছাসহ ডজন ডজন তাবিজের বই বাজার দখল করেছে। এগুলোর মাঝে তাবিজের নামে শয়তান, ফেরআউন, হামানের নামসহ আরো কত কি লিখে মুসলমানদের গলায় ঝুলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঈমান থাকবে তো? 
ওদের ঈমান নষ্টের দায়ভার কে নেবে?      

  তাবিজের নামে 12466+535899+4567+9765 এ জাতীয় সংখ্যা লিখে গলায় ঝুলানো কে থামাবে? 

    জায়েজ মন্তব্যের সুযোগ নিয়ে তাবিজের নামে একদল নালায়েক পবিত্র কুরআনের কোন কোন ছাপার প্রথম দিকে তাবিজের ছক একে দেয়ার দুঃসাহস পর্যন্ত দেখিয়েছে। এগুলো থামাবে কে? 

    আজকে আমার যে সকল আলেম ভাইয়েরা তামিমাহ শিরক, তাবিজ জায়েয বলে- জাতিকে আবারো শিরকের দুয়ারে আহ্বান করছেন- তারা তো তাবিজের নামে চলমান  শিরক ও শিরক মিশ্রিত তাবিজের কিতাবগুলোর বিপক্ষে একটি বক্তব্য দেন নি। এ জন্য আল্লাহর কাছে পাকড়াও হবার সম্ভাবনা আছে কি না? 

     যে কাজের প্রায় শতভাগ শিরক, ঐ কাজের 1/2 ভাগ জায়েয দেখে জাতিকে চিৎকার দিয়ে কোন বিষয়ে সতর্ক করা উচিৎ??? শিরকের বিষয়ে???   না কি জায়েযের বিষয়ে??? 
আল্লাহর ওয়াস্তে ভাবুন। প্লিজ। 
এমনিতেই জাতি অসংখ্য শিরকে লিপ্ত। 

     যে কুরআন লিখে গলায় ঝুলাবেন, সেটা গলায় নিয়ে টয়লেটে যাবে, স্ত্রীর সান্নিধ্য নেবে- এতে কুরআনের সম্মান থাকবে তো?? অথচ রাসূল সা, আল্লাহর নাম লেখা আছে তাই-হাতের অাংটি খুলে রেখে টয়লেটে যেতেন। 

        তাই আসুন, যে জায়েয বস্তু জাতিকে শিরকের দিকে ধাবিত করছে, তার পক্ষ না নিয়ে- জাতিকে শিরক থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। এ জন্যই বাংলা ভাষাবিদ আলেমগণ তামিমাহ ও তাবিজের মাঝে পার্থক্য করেন নি। 

     বিতর্কে ব্যক্তির জয় নয়, সত্যের জয় হোক। 
হে আরশের মালিক! আমাদের সকলকে সত্যের সাথে থাকার তাওফীক দাও। আমীন। 

     বলবেন, বাশারের ইলম নাই,  তাই সে বুঝেনা। আমি না হয়  মুহিউদ্দীন খান র, ড, ফজলুর রহমান ও আমার উস্তাজ মাওলনা শামসুল হক হুজুরদের দলেই থেকে গেলাম।
-----------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা আলোচক গবেষক,শিক্ষক ও দাঈ। 

Post a Comment

0 Comments