ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে নিছক হত্যা নয় বরং 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র দাওয়াতকে স্তব্দ করে দিতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ওমর ফারুক ত্রিপুরা'কে নিয়ে আমাদের বিচার বিশ্লেষণ সঠিক নয়। আমরা বলছি তিনি একজন নওমুসলিম।আসলে তিনি সেটা নন। ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে হত্যা করা হয়েছে কথাটিও সঠিক নয়,নির্ঘাত বেঠিক কথা।
ওমর ফারুক কোন ব্যক্তি নন।তিনি ইসলামী দ্বীন প্রচারের লাখো কোটি মুসলিমের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। যে কন্ঠে উচ্চারিত হত, 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ'!(সা.)।
ওমর ফারুককে হত্যার মাধ্যমে সন্তু লারমারা কালেমার দাওয়াত স্তব্ধ করে দিতে অনেকটা সফল হয়েছে এবং মুসলমানদের ম্যাসেজ দিতে পেরেছে যে, পাহাড়ে হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রীষ্ট্রবাদ ও জিয়নবাদের অভয়ারণ্য।এখানে মুসলিম মোল্লাদের জন্য জায়গা নেই।কালেমা প্রচারের কোন সুযোগ নেই।
ফলে ওমর ফারুক হত্যার খবর কোন জাতীয় দৈনিক প্রচার করছে না,টিভি চ্যানেলগুলোও না।অতএব,সন্তু লারমারা ওমর ফারুকের মত ইসলামী মৌলবাদীদের হত্যা করে কোন অন্যায় কাজ করেনি।বরং পূণ্যের কাজ করেছে।
যদি আজ কোন হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রীষ্টান পুরোহিতকে অথবা তাদের সাধারণ কোন একজন লোককে মুসলমানরা হত্যা করত তবে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ পড়ে যেত।
দেশের মিডিয়াগুলো খবরের পর খবর প্রচার করত,বলত,পাহাড়েও ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে।
হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হত,সরকারকে আল্টিমেটাম বেধে দেয়া হত,২৪/৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইসলামী জঙ্গিকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি না করা হলে দেশ অচল করে দেয়ার হবে-এই হুমকিধামকি হরহামেশায় আসত থাকত এবং দেশের আনইশৃঙ্খলা ও সকল প্রকারের গোয়েন্দা বাহিনী জঙ্গি নির্মূলের মহৎ কাজে নেমে পড়ত এবং প্রশাসনের বুলেটের আঘাতে খুন হত অসংখ্য মুসলিম জঙ্গি!
দেশি ও ভিন্নদেশি মাফিয়াদের হাতে দেশ ও জাতি যিম্মি।ইসলাম ও মূল ধারার আলেমরা যিম্মি দরবারী মোল্লাদের হাতে।
ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে হত্যা নয় বরং 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ'র দাওয়াতকে স্তব্দ করে দিতেই তাকে হত্যা করে শহীদ করা হয়েছে।
মুসলিম দেশে এটা এজন্য সম্ভব যে,৯০% মোল্লা দুনিয়াভী স্বার্থ হাসিলের জন্য বহু দল উপদলে বিভক্ত হয়ে মুনাফিকিতে নিমিজ্জিত হয়ে গেছে এবং তাগুতের গেলামীর জিন্দেগী বেছে নিয়েছে।
---------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments