এক শায়খের একটি ভিডিও ও আমার এনালাইসিস।
--ইবনে যুবাইর।
'আমি যে কারণে জামায়াতের মতাদর্শ ত্যাগ করলাম' শিরেনামে এক শায়খের একটি ভিডিও চোখে পড়ল।
শায়খের বক্তব্য শোনার রুচি হয়নি।কমেন্টগুলো দেখলাম। ৯০% কমেন্ট শায়খের বিরুদ্ধে।
যা হোক,কোন এক সময়ে আমার মত একজন ক্ষুদ্র লেখককে অফার করা হলো। আমি যেন জামায়াতের বিরুদ্ধে লিখি, এই অফার।বললাম,বিনিময় কি পাবো?
জবাব এলো,জেল জুলুম থেকে নিরাপদ,আর হাদিয়া। বললাম,কি পরিমান হাদিয়া?
জবাবে পেলাম,খেয়ে দেয়ে সুখে বেঁচে থাকতে পারবেন।
বললাম,ঠিক আছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে কি লিখতে হবে?
মওদূদীবাদ নিয়ে লিখবেন। বললাম,মওদূদীবাদ কি?
জবাব এল,নবী রাসুল নিয়ে কটুক্তি,সাহাবিদের প্রতি মওদূদীর ঘৃণা,বিদ্বেষ-এই সব।
বললাম,আন্দাজে লিখলে তো হবে না।প্রমাণসহ লিখতে হবে। দলিল-প্রমাণ কি? তিনি একটা লিস্ট দিলেন। যে লিস্টটা বহুদিন বহুযুগ ধরে এক শ্রেণীর আলেম তাবিজ করে গলায় ঝুলিয়ে রাখে সেই লিস্ট।
বললাম,এগুলো কাটছাট করা।বাজারে খায় না।আপনি পড়েছেন এসব।বলল,হ্যাঁ,এগুলো পড়ে জামায়াত ত্যাগ করেছি।
বললাম,জামায়াত আপনি ত্যাগ করেছেন নাকি জামায়াত আপানকে ত্যাগ করেছে?
তিনি বললেন কি রকম? বললাম, জামাতয়াক একটা বটগাছ।যখন একটু দমকা বাতাস বয় তখন গাছের মরা পাতাগুলো মরমর শব্দে ঝরে যায়।আর যখন ঝড় উঠে তখন মরা ডালপালাগুলো ভেঙ্গে পড়ে।দুটোয় গাছের জন্য কল্যাণকর।
মরা ডাল ও মরা পাতা ঝরে যাবার পর গাছটি প্রাণ ফিরে পায়।সেখানে অসংখ্য নুতুন নতুন পাতা এবং নতুন নতুন শাখা প্রশাখার জন্ম নেয়।কখনো কি দেখেছেন যে,মরা পাতা ও মরা ডাল ঝরে যাবার জন্য গাছটি ছায়াহীন হয়ে গেছে?
বুঝতে অসু্বিধা হলে এবার তাফসির করে বুঝিয়ে বলি?
জবাব এলো, না,থাক। তাফসির করার দরকার নেই। যথেষ্ট বুঝেছি। আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।বললাম,হ।দুঃখ পাবেন না। মরা পাতা ও ডালপালারও কাজ আছে। গ্রাম্য বধুরা এগুলোকে চুলা জ্বালাতে ব্যবহার করে। তারপর ছাই হয়। ছাইগুলো এক জায়গায় গদা করে রাখে। কুকুরগুলো রাতে সেই ছাইয়ের গদায় ঘুমায়,মুতে,হাগে লাফালাফি করে,মালিকের বাড়ি পাহারা দেয়।
0 Comments