Recent Tube

আলেম ওলামা নিয়ে ট্রল আর নোংরামি করার লাইসেন্স কি শুধু মদখালী শায়খদের? কুতুব শাহ।









 


আলেম ওলামা নিয়ে ট্রল আর নোংরামি করার লাইসেন্স কি শুধু মদখালী শায়খদের? 
---------------------

  সেমি মদখালী, হাফ মদখালী, মদখালী লাইট, মদখালী প্রো- মিলে আজ Abrar ভাইকে জ্ঞান দিচ্ছে, ওয়েল। কিন্তু নোংরা খেলাটা কারা শুরু করছে আগে সেটা দেখেছেন? 

   শুরু করা যাক শায়খ আহমাদুল্লাহকে দিয়ে! তিনি নিজ অবস্থান থেকে যথাসম্ভব নিরেপক্ষ থেকে আলোচনা, ল্যাকচার, সওয়াল-জওয়াব ইত্যাদির সাথে সামাজিক নানান প্রকল্প নিয়ে কাজ করে চলেছেন। কিন্তু তাকে কারা সবচেয়ে বেশী গালাগালি করছেন জানেন? তিনি তার এক বক্তব্যে খুব দুঃখ নিয়ে বলেছেন " কথিত আহলে হাদীসেরা তাকে যে পরিমাণ গালাগালি করেছেন তা জীবনে অন্যকেউ করেনি"!  এসব গালাগালির মানহায কি সোনা মিয়া? 

 কাজী ইব্রাহী সাহবের কথা খেয়াল করেন। ওনার সাথে কারো দ্বিমত, একমত, ইখতেলাফ থাকতে পারে কিন্তু তিনি কোন আলেমকে ছোট ব্যাঙ্গ করে কথা বলতে আমি শুনি নাই। তিনি যখন বল্লেন, কথিত আহলে হাদীসেরা শিরকে আকবরে লিপ্ত! ব্যাস, তাকে শিয়া, খারেজী, বিজ্ঞানি নানান ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে।  অপারেশন কাজী টেস্ট মদখালী ল্যাবে এখনো জারি।

সালাউদ্দীন মক্কী নামক এক তরুণ শুধু জি/হা/দ নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দেয়ার পর সরাসরি তার চাকরি খেয়ে দেয়ার হুমকি সহকারে ঝাপিয়ে পড়েছে মদখালী গং। তাকে গোমরাহী থেকে ফিরে আসার নসীহত ঢেলে দিয়েছে।  কেন রে ভাই? হক্বের একমাত্র টেন্ডার কি শুধু মদখালী কোম্পানিতে? 

   মতিউর রহমাম মাদানী নামক এক ঘোমটা ওয়ালাকে কে না চিনেন? তার মুখের বিষ থেকে কে বাদ গিয়েছে? আশরাফ আলী থানবী রহঃকে ব্যাঙ্গ করে হেকিমুল উম্মা থেকে শুরু করে আল্লামা শফীকে সবচেয়ে বড় নাস্তিক ট্যাগ লাগিয়েছে। আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক এমন নোংরা মিথ্যা অপবাদ বিষোদগার করেছে শাহবাগীরাও শুনলে জিহবায় কামড় দেয়ার মত! 

   এরপর কপি শায়খ তো মতিউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আলেম ওলামা নিয়ে ট্রলের রেকর্ড ভঙ্গের প্রতিযোগীতায় লামার অবস্থা। ডঃ সাইফুল্লাহ মুরসীর মৃত্যুর পর তৎক্ষনাৎ স্পেশাল লাইভে এসে নিজের জন্ম আর জাত পরিচয় দিয়েছে। মৃত্যু ব্যাক্তির জন্য দোয়া দূরে থাক ইন্না-লিল্লাহ পর্যন্ত পড়েন নাই। অতচ, একই দেশের হোসনে মোবারকের মৃত্যুর পর তার আক্বীদার এক্স-রে করে নাই। এর মানে এসব ঘোমটা ওয়ালার কাছে মুরসীর আক্বীদার নাট বল্টু ঠিক ছিলনা আর হোসনে মোবারকের আক্বীদা ঝর্ণার পানির মত স্বচ্ছ, ঝকঝকে ছিল! ফাইজলামীর সীমা থাকা দরকার আছে ভাই। 

     রেজাউল করিম আবরার ভাই  তাবীজ নিয়ে ডিবেট করার পর মদখালীরা সাঈফীকে বীর উত্তম বীর বিক্রম উপাধি দেয়ার মত অবস্থা। তাতে অসুবিধা নাই কিন্তু তাদের বড় শায়খ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম আর ফুটপাতের লেখক মুজাফফর বিন মহসীন "তাবীজ বাবা" লিখে কাঁদা ছুড়েন। সেটা কি সমালোচনায় সলফদের নীতি নাকি নোংরামি? এরপর রেজাউল করিম আবরার সেই কাঁদা ছুড়াছুড়িতে না গিয়ে মুজাফফর বিন মহসীনের লেখা বইয়ের পোস্টমর্টেম করেন দলীল নিয়ে। তা যদি খারাপ হয় তাহলে তাকে "তাবীজ বাবা" বলে ট্রল কি সহীহ ছিল ? 

    হ্যাঁ, এখন আমাকে একটি পক্ষ ঢিল মারবে আবরার তো মাওলানা মওদূদীর কড়া সমালোচক আমি তার পক্ষে কেন নিচ্ছি। এর জবাব হল, আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে যখন মুজাফফর বিন মহসীন মিথ্যাচার করেছিল তখন জামায়াতের কেউ জবাব দেন নাই। প্রথম ৩০ মিনিটের ভিডিও করে মুফতী শামছুদ্দোহা জবাব দিয়েছিলেন। তখন তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন দলীয় বিবেচনায় সাঈদীর পক্ষ হয়ে জবাব নয় বরং সাঈদী একজন মজহাবের অনুসারী সেই পয়েন্টে সাঈদীর পক্ষে জবাব দিয়েছেন। পয়েন্ট নোটেড ইউর অনার। আজ রেজাউল করিম ভাই মযহাবের পক্ষ হয়ে মদখালীদের বিরুদ্বে তাদের ভ্রান্ত নীতির মুখোশ খোলছে। আমি মযহাব প্রশ্নে আবরার ভাইয়ের পক্ষে শতবার যদি তিনি দালিলিক, যৌক্তিক, ইলমী জবাব দেন। আর ভুল করলে উনার পক্ষ নেয়ার প্রশ্ন-ই আসেনা। সেটা সব ক্ষেত্রে সমান প্রযোজ্য। তিনি মদখালীদের বিপক্ষে অযৌক্তিক কিছু বল্লে সমর্থনের প্রশ্ন-ই আসেনা। একই ফর্মূলা জামায়াত, হেফাজতের বেলায়ও।

    ভেরী ইন্টারেস্টিং, আজকাল ব্রাদার রাহুল নামের একজনকে মদখালীরা নিজদের রোনাল্ডো, মেসি মনে করে ময়দানে নামার আহবান করছে। তাতেই বুঝা যায় তাদের দৌড়! দেশে কপি শায়খের মত বড় ঘোমটা ওয়ালাকে টিমে না রেখে ইন্ডিয়ান ব্রাদার আমদানী মানে এসব শায়খদের উপর তাদের সমর্থকদের আস্থা নাই! খেলা কেমনে হবে ভাই?

সুশীলেরা অফে যান। আমি মাজার পূজারীদের ভয় করিনা কারণ, তাদের বাহির আর ভিতরের রুপ একই কিন্তু  চুপা শাহবাগী মদখালীদের ভয় করি। কারণ, তাদের উপরে সহীহ সাইনবোর্ড আর ভিতরে ডেস্টিনি, ই–ভ্যালি 
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments