Recent Tube

আল্লাহ সর্বনাশ কার করবেন: জামায়াত, ইখওয়ান ও দেওবন্দীদের; না কি মতিউর রহমান মাদানীদের? সহীহ হাদীসের আলোকে সমাধান: মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।





 আল্লাহ সর্বনাশ কার করবেন: জামায়াত, ইখয়ান ও দেওবন্দীদের; না কি মতিউর রহমান মাদানীদের? সহীহ হাদীসের আলোকে সমাধান:
--------------------------------

      নবী (সা) কখনো গরুর গোশত খেয়েছেন, এ মর্মে কোন হাদীস নাই। কারণ আরব দেশে গরুই ছিলনা বলে মাদখালীদের শায়েখ মতিউর রহমান মাদানীর বক্তব্য ভাইরাল হলে সর্ব মহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
এতে Khan Ishfar Bin Tarik নামে মাদখালী পন্থী এক লোক প্রশ্ন করেন, শায়েখ! ফেসবুকে আপনার একটি ভিডিও কাট করে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করে অপপ্রচার করছে ইখওয়ানি এবং দেওবন্দীরা। ভিডিও দেখিয়ে বলা হচ্ছে যে, আপনি না কি মানুষকে গরু কুরবানী করতে ও গরুর গোশত খেতে অনুৎসাহিত করেন। আরো অভিযোগ করা হচ্ছে যে, আপনার সাথে না কি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর সাথে যোগাযোগ হয়। এসব অভিযোগ সম্পর্কে আপনার অবস্থান ক্লিয়ার করলে ভাল হয়।

    মতিউর রহমান মাদানী অভিযোগের ঠিক ঠাক জবাব না দিয়ে পাইকারী হারে বিষোদগার করেন। তিনি বলেন, জামায়াতি, ইখওয়ানি এগুলো খারেজি  বিদয়াতি। আর যতগুলো সূফি (দেওবন্দী) বিদয়াতি আছে এগুলো গোমড়া।.. এরা মুনাফিক চরিত্রের সুযোগসন্ধানী। এটি আমার অনেক আগের বক্তব্য, এরা সামান্য একটু কেটে নিয়েছে। সেখানে প্রশ্ন ছিল বেনামাজির সাথে কুরবানী করা যাবে কি না। সেখানে আমি বলেছি, ("নবী (সাঃ) গরুর গোশত খেয়েছেন- এমন হাদীস দেখাতে পারবেন? যখনতখন; যেমন, খাসি আর উট দেখাতে পারবেন, ঐ রকম পারবেন কি? আরব দেশে গরুই ছিল না। তো গরু খেতে হবে, তাহলে পাকা মুসলমান হবে। কারণ হিন্দু খায় না, মুসলিম হলে, নামাজ টামাজ পড়ে না, গরু খেতে হবে। এই জাহেলিয়াত মগজ থেকে দূর করেন।") বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল। যাইহোক, এত দিনে তালাশ করে খারেজিগুলা পেয়েছে। শায়েখ মতিউর রহমান যেহেতু আমাদের (জামায়াত, ইখওয়ান ও দেওবন্দীদের) শিকড় কেটে দিয়েছে। (তাই আমার সমালোচনা করছে)। আল্লাহ এদেরকে সর্বনাশ করুক! জামায়াতি ইখওয়ানিকে সর্বনাশ করুক!!.... আল্লাহ এদের সকলকে লাঞ্ছিত করুক! সকলকে লাঞ্ছিত করুক!!

   গরু সংক্রান্ত তার ভিডিওটি বাংলা ভাষায় হওয়াতে এটা বড় জোর বাংলাভাষি দেওবন্দী ও জামায়াতের লোকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে লোকজনের নজরে এসেছে, অন্য ভাষাভাষীরা- হোক জামায়াত, ইখওয়ান বা দেওবন্দী হয়ত কিছুই জানে না। আর বাংলাদেশের জামায়াত বা দেওবন্দীর কোনো নেতৃত্বস্থানীয় আলেম তার ভিডিও নিয়ে কোনো সমালোচনাই করেননি, সমালোচনা করেছেন সাধারণ পর্যায়ে লোক। এমনকি প্রশ্নকারী ব্যক্তি 'জামায়াত' নামই নেননি। কিন্তু মাদানী সাহেব সারা বিশ্বের জামায়াত, ইখওয়ান, দেওবন্দী - সূফি সহ সবাইকে পাইকারী হারে অভিশাপ দেন, ধংস কামনা করেন, সর্বনাশ হোক বলেন। (নাউযুবিল্লাহ)

   আজ মাদানী সাহেব ক্ষোভের সাথে বলছেন তার বক্তব্য কাটছাঁট করে প্রচার করা হয়েছে। আল্লামা সাঈদীর বক্তব্য কাটছাঁট করে তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে সমালোচনামূলক বক্তব্যের সিরিজ ভিডিও বাজারজাত করার ট্রেন্ড কে চালু করেছিল? আল্লামা মওদুদী রাহঃ এর তিনশত পৃষ্ঠার বই থেকে আগ-পিছ বাদ দিয়ে দুই লাইন বের করে নিজের ইচ্ছামত বিকৃতি ব্যাখ্যা করে তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে সমালোচনামূলক সিরিজ বক্তব্যের মাধ্যমে তাকে সাহাবা বিদ্বেষী, শিয়াপন্থী, হাদীস বিরোধী বানানোর অপচেষ্টা কি তিনি কম করেছেন? তার সমালোচনা ও গালিগালাজ থেকে দেওবন্দী, ব্রেহলবী, পীর সূফিরাও রেহাই পাননি। এবার কাটছাঁটের জনক নাকি নিজেই 'কাটছাঁট’ নামক ষড়যন্ত্রের শিকার! তাই পাইকারী হারে অভিশাপ বর্ষণ করলেন, সূফি (দেওবন্দী) সহ জামায়াতি, ইখওয়ানি লোকদের ধ্বংস হোক! সর্বনাশ হোক!!

   এবার দেখুন, আল্লাহ সর্বনাশ করবেন কার? জামায়াত, ইখওয়ান ও দেওবন্দীদের; না কি মতিউর রহমান মাদানীদের? সহীহ হাদীসের আলোকে জবাব নিন। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
َإِذَا قَالَ الرَّجُلُ هَلَكَ النَّاسُ فَهُوَ أَهْلَكُهُم.
"যে ব্যক্তি (মুসলিমদের ধ্বংস ও সর্বনাশ কামনা করে) বলে, লোকদের সর্বনাশ হোক, ধ্বংস হোক, সে তাদের মধ্যে সর্বাধিক বেশি ধ্বংসোন্মুখ।" (সহীহ মুসলিম হাঃ ২৬২৩, সুনান আবু দাউদ হাঃ ৪৯৮৩; মুসনাদে আহমদ হাঃ ৮৩০৯, ৯৬৭৮, ১০৩১৯; মুয়াত্তা মালিক হাঃ ১৮৪৫)
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা আলোচক ও দাঈ  

Post a Comment

0 Comments