Recent Tube

গ্রামেগঞ্জেও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে 'পরকীয়া'। নূর মোহাম্মদ।






গ্রামেগঞ্জেও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে 'পরকীয়া'। 



   গ্রামেগঞ্জেও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে 'পরকীয়া'।  এবার ১২ দিনে কমপক্ষে ১৫টি পরকীয়ার অভিযোগ শুনতে হয়েছে এবং তার বিচার-সালিশ করতে হয়েছে। 

এক একটা পরকীয়ার ঘটনার বর্ণনা শুনে স্তম্ভিত হয়েছি, ব্যথিত হয়েছি। আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেট-প্রযুক্তি আমাদের গ্রামীণ সমাজকাঠামোকেও ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনের সমাজ গঠনে পরকীয়া এক বিশ্রী চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে আসবে। 

  বয়স, শ্রেণি, পেশা ছাপিয়ে এক জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছে শত শত হাজারো মানুষ। তাৎক্ষণিক বিচার খুব সহজ (বুঝানো কিংবা বিচ্ছেদ); কিন্তু এই সংকটের স্থায়ী সমাধানে যেতে পারছি না! 

  প্রযুক্তির উন্মাদনা গ্রামেও ভীষণ! সবগুলো পরকীয়ার সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছি।

  এটা এমন এক ঘৃণ্য ইস্যু, অনেকে জানার পরেও কেবল মানসম্মানের ভয়ে হজম করছে, ডুকরে কেঁদে মরছে। ডিভোর্স দিচ্ছে অন্য ইস্যুকে সামনে এনে, কিন্তু আসল ঘটনা পরকীয়া। ছেলে-মেয়ে উভয়দিক থেকেই ডেস্পারেট যৌনাকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই অন্যের স্ত্রী-স্বামীর দিকে হাত বাড়াচ্ছে, স্রেফ অনিয়ন্ত্রিত খাহেশ থেকে। তরুণ-তরুণী তো বটেই বয়স্ক মানুষরাও ভয়াবহ এই বিকৃত অভ্যাসের দাস হচ্ছে। 

    গ্রামীণ সমাজেও এখন চারদিকে সন্দেহ-সংশয়! কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। নিকটাত্মীয়রাও আর নিরাপদ নয়! পুরো পারিবারিক জীবনপ্রণালী ভেঙে পড়ছে। কী এক বিভৎস অবস্থা!

   আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও প্রেমঘটিত বিষয়াদির বিচার করতে হতো। মানে অবিবাহিত তরুণ-তরুণী প্রেম করত; হয় তাদের বিয়ে দেওয়া হতো, নয়তো বুঝিয়ে কিংবা শাসিয়ে এই সম্পর্ক থেকে দূরে নেওয়া হতো। কিন্তু এখন অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। প্রেম যেন ওল্ড আইডিয়া, সরাসরি যৌন সম্পর্ক। বছরের পর বছর অন্যের স্ত্রী/স্বামীর সাথে যৌন সম্পর্ক অব্যাহত রাখছে। এখানে কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। একজন ছেলেকে কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে হচ্ছে না, ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে না। আবার মেয়েকেও স্বামীর সংসার ফেলে অন্যের ঘরে যেতে হচ্ছে। স্ব স্ব ঘরে থেকে বৈধ স্বামী/স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রেখেও অন্যের স্ত্রী/স্বামীকে ভোগ করা যাচ্ছে বাধাহীন। 

  খুবই সিম্পল মেথড। 
প্রায়শই তারা গ্রাম থেকে শহরে যাচ্ছে। শহরে কোনো বন্ধুর বাসায় উঠছে। আরও সাহসী যারা, তারা নিজ বাড়িতেই ডেকে নিচ্ছে৷ খুব ডেস্পারেট। এমনকী অনেকে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে অবৈধ সম্পর্কের কথা। অনেক অভিযুক্ত শালিসী বৈঠকে ডেস্পারেটলি সব স্বীকার করে এই অন্যায় কাজ অব্যাহত রাখার ধৃষ্টতাও দেখাচ্ছে! মানে, সে বেপরোয়া, সমাজ-আইন কিচ্ছু মানার মতো অবস্থার আর নেই তারা! এ যেন এক আইয়্যামে জাহেলিয়াত! করোনা পরিস্থিতির চেয়ে পরকীয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷ 

  আল্লাহর দাসত্ব ভুলে নফসের দাসত্বে মাতোয়ারা অনেক অনেক বনি আদম! আমাদের ধ্বংস অনিবার্য!
--------------------------------- 
লেখকঃ প্রবন্ধ লেখক, ইসলামিক আর্টিকেল ও লেখক পাবলিশার্স। 

Post a Comment

0 Comments