"তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য এবং আমার দ্বীন আমার জন্য!"
“লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন”
-এই আয়াতের তাফসির পেশ করতে গিয়ে আল্লামা দেলুয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেব বলেন,মক্কার কাফিররা রাসুল(সা.)-এর নিকট সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে গেল। বলল,এক বছর তুমি আমাদের দেবদেবীকে পূজা করবে আর এক বছর আমরা তোমার উপাস্যদের উপসনা করব।
রাসুল(সা.)কাফিরদের বলেন, দেখা যাক আমাার রবের ফায়সালা কি আসে। এই প্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ সুরা আল কাফিরূন নাযিল করলেন।
১০৯: আল-কাফিরূন,:আয়াত: ১,
>বলে দাও, হে কাফেররা!
>আমি তাদের ইবাদাত করি না যাদের ইবাদাত তোমরা করো।২
>আর না তোমরা তাঁর ইবাদাত করো যাঁর ইবাদাত আমি করি।৩
>আর না আমি তাদের ইবাদাত করবো যাদের ইবাদাত তোমরা করে আসছো।৪
>আর না তোমরা তাঁর ইবাদাত করবে যাঁর ইবাদাত আমি করি।৫
"লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন''
তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য এবং আমার দ্বীন আমার জন্য।৬..
স্মৃতি থেকে বলছি,এরপর আল্লামা সাঈদী সাহেব প্রাসঙ্গিক আরও কিছু কথা তুলে ধরে বলেন,তুমি আল্লাহ ও তার রাসুল(সা)-এর উপর ১৪৪ ধারা জারি করবে,দ্বীনের(ইসলামী রাজনীতি)উপর ১৪৪ ধারা জারি করবে, যাকাতের উপর ১৪৪ ধারা জারি করবে;যে আল্লাহর দরকার নেই নির্বাচনে,যে আল্লাহর দরকার নেই পাল্লামেন্টে,যে আল্লাহর দরকার নেই মাদরাসা, কলেজ ভার্সিটিতে, সমাজ রাষ্ট্র পরিবারে অবশেষে সে আল্লাহর দরকারটা কি?
আমাদের কথা,যে সূরা নাযিল হল কাফিরদের জবাবে সেই সূরার আয়াতকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য যারা কুরআনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে তাদের থেকে মক্কার কাফিরদের উত্তম বললেও অত্যুক্তি হবে না।কারণ,তারা আলোচ্য আয়াত নিয়ে মিথ্যাচার করেনি।বলেনি যে,এই আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি ও দেবদেবীর পূজাকে জায়েজ করেছেন।
0 Comments