ভাত দিতে না পারলে শুধু কিল মারার ঠাকুর চাইনা।
'কওমি মাদরাসা নজরদারিতে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন'-শিরোনামে ২৫ জুন, ২০২১ দৈনিক ইনকিলাব একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
দেশের কওমি মাদরাসাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ১৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আসতে যাচ্ছে দেশের সব কওমি মাদরাসা।
সূত্র জানাচ্ছে,'শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কওমি মাদরাসাসহ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর করতে এবং সরকারিভাবে নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সমন্বিত একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
এছাড়া কওমি মাদরাসা পরিচালনায় যুক্ত ৬ বোর্ডকে সমন্বয় করে একটি কওমি শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৫ সদস্যের ওই কমিটিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, জননিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে রাখা হয়েছে। এছাড়া কওমি মাদরাসার ছয় বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও পদাধিকার বলে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সদস্যরা হলেন- বেফাক সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান, গওহরডাঙ্গা বোর্ডের মুফতি রুহুল আমীন, আঞ্জুমানে ইত্তিহাদ বোর্ডের মাওলানা আবদুল হালিম বোখারি, সিলেটের আযাদ দ্বীনি বোর্ডের মাওলানা জিয়াউদ্দিন, তানযীমুল মাদারিসের মুফতি আরশাদ রহমানী এবং জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।'
আমাদের কথা হলো,সরকার কওমী মাদারাসাগুলোকে শুধু নিয়ন্ত্রনে নিলে হবে না,শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে,শিক্ষার্থীদের জন্য থাকার ব্যবস্হাপনার দায় দায়িত্বও নিতে হবে।এই দাবিগুলো আলোচনা সাপেক্ষ ব্যাপার।১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে থাকা ছয় বোর্ডের ছ' সদস্য যদি দাবির পক্ষে আন্তরিক হন তবে এই দাবির পেক্ষিতে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। আর যদি নিজদের আখের গোছানোর চেষ্টা হয় মূল উদ্দেশ্য তাহলে সরকার কওমী মাদরাসাগুলো নিয়ন্ত্রনে নেয়ার মানে হবে,ভাত দেবার ভাতার নয়,কিল মারার ঠাকুর।কিল মারার ঠাকুর সাজলে ভাত কাপড়ও দিতে হবে-হ।
---------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments