Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৭৬; নুর মুহাম্মদ চৌধূরী (মুবিন)।




                           বিতি কিচ্ছা;
                             পর্ব-৭৬;

   আমরা তোমাদের ছাড়বো না:


  স্বজনপ্রীতির ভয়াল থাবায় দেশ জাতী আজ দেউলিয়া। অযোগ্যদের পদায়নের ফলে সর্বত্রই বিশৃংখ্যলা দৃশ্যমান। মুখে মুজিব মুজিব শ্লোগান। আর এই শ্লোগানকে পূঁজি করে চাটুকাররা স্বীয় আখের গোছাতে পেরেশান।  কে না জানে এই সব বক ধার্মিক মীরজাফরদের কবলে পড়ে আমরা পুনশ্চ: পরাধীনতার পথে যাত্রা করছি, -তথাপিও প্রকৃত দেশপ্রেমীক জনতার আঁতে ঘা লাগছে না। কেননা এ মুল্লুকে মানুষ আজ ব্যক্তিত্ব বিবর্জিত একটা প্রাণী মাত্র। ফলে মীরজাফর, লেন্দুপরা নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কুঠিল ষড়যন্ত্র।  আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগের একটি কথকতার অংশ ছিল,
"বাজির কথায় নাছিয়া, দেশ দিলাম বেছিয়া।"
কিন্তু এখন এসব মুখরোচক  শ্লোগানে বাজার বাজিমাত করবে এমন বাপের বেটা কোন হায়। 

   সম্প্রতি দেশব্যাপী করোনার দোহাই দিয়ে নতুন মাত্রায় লোপাটের মহড়া চলছে পূর্ণ উদ্যমে। করোনার জালিয়াত রিপোর্ট দিয়ে বহির্বিশ্বে দেশের মান সম্মান নাশিতে একটুও লাজে কিংবা ভয়ে চুঁপসে যায় না কোন উপরতলার বুদ্ধিজীবিদের কেউ। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে দূর্ণীতির চরম পরাকাষ্টা প্রদর্শণে থেমে যাবার পাত্র নয় কোন মন্ত্রী , এম পি কিবা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব । 

      আগেকার দিনে কলমচোরদের একটা আত্মসম্মানবোধ ছিল। দূর্ণীতির জন্য পেছনের দরজা ব্যবহার করা হত। ঘুষকে বাম হাতের কামাই বলে টেবিলের উপর নয় তা টেবিলের নীচেই শোভা পেত। লজ্জা নামক বস্তুটি জীবিত ছিল । ফলে দু'নাম্বারী কামাইওয়ারা আপনজনকে পাশে স্থান দিত না। এতে কনেশের সামনে  আপন দু'নাম্বারী ক্রীয়াকলাপের প্রকাশ হেতু মান সম্মান হেরফের হয়ে যায় কি না, সুতরাং সতীর্থরা দুরে থাক্- এই ছিল নীতি। তা ছাড়া কেউ এটা চাইত না যে তার ভাই কিংবা কোন আপনজন তার মত একটা দূর্ণীতিবাজ হোক । আজকাল  আর দূর্ণীতি গোপনীয় কোন বিষয় নয় । এই সোনার দেশে একালে এসে ঘুষ , দূর্ণীতি বক্তৃতায়ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়েছে। সহনীয় মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ দিতে সামান্যতমও ঠোঁটে আটকায়নি কথা মাননীয় মন্ত্রীর।
অত:পর কথায় কথায় মুক্তিযাদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দোহাই তুলে সন্ত্রাস ও লোপাটের অভয়ারণ্য গড়ে তোলার হীন প্রচেষ্টার দিন আর বেশিদুর অগ্রসর হতে দেয়া যাবে কেন? এতএব বলি--
         •এক সাগর রক্তের বিনিময়ে 
         ছিনিয়ে আনা এই স্বাধীনতার 
বারোটা বাজাতে উটেপড়ে লেগেছো যারা-
         আমরা তোমাদের ছাড়বো না।•

 আবারও বলি--
 তোমাদের অবশ্যই মনে রাখা উচিৎ ,সময়  একদিন পাল্টাবে, তখন কিন্তু আমরা তোমাদের  ছাড়বো না
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক প্রবন্ধ ও রম্য লেখক এবং অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments