Recent Tube

একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তা'য়ালা ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করা (হুকুমের অনুসরণ) যাবে না। ইবনে যুবাইর।







 

একমাত্র ল্লা সুবহানাহু তা'য়ালা ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত  (হুকুমের অনুরণ) করা যাবে না। 
--------------------------------- 
 
  জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমর্থক,শুভাকাঙ্ক্ষী হওয়ার আগে একজন খাঁটি মুসলিম হওয়া জরুরী।খাঁটি মুসলিম হতে হলে কি করতে হবে? 

   এর সোজা জবাব,বিনা প্রশ্নে কুরআন এবং সুন্নাহকে সবার উপর অগ্রাধিকার দিতে হবে।

    সবার উপর অগ্রধিকার দেয়া  বলতে কি বুঝলেন? মুখে জপ করবেন,আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং রাসুলুল্লাহ (সা) আল্লাহর রাসুল?না,মুসলিম হওয়ার দাবি এটা নয়।
মুসলিম" আরবি শব্দ।"মুসলিম" শব্দের বাংলা শাব্দিক অর্থ "আত্মসমর্পণকারী"।

   [তাওহীদের] এলেম বা জ্ঞানকে বান্দার ইসলাম কবুলের প্রথম শর্ত নিধারণ করা হয়েছে।
কালেমার শব্দসমূহের জ্ঞান অর্জন : কালেমা দু'টি অর্থপূর্ণ বাক্যের সমষ্টি আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ্ (রব) নেই। এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। কালেমার প্রথম অংশকে "তাওহীদ" ও দ্বিতীয় অংশকে "রিসালাত" বলা হয়। উভয় অংশে বিশ্বাস রাখা অপরিহার্য।

    যদি কেউ এই ধারনা পোষণ করে যে আমেরিকা বা জাতিসংঘ অথবা কোন প্রভাবশালী নেতা তার নিরাপত্তা বিধান করবে অথবা তার ব্যবসা বা তার মনিব বা সরকার তাকে রিযিক দিবে, জ্যোতিষ বা ভাগ্যগণনাকারী তার ভবিষ্যত বলে দিবে; তাহলে সে "তাওহীদ আলরুবুবিয়াহকে' অস্বীকার করল।

    একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তা'য়ালা ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করা (হুকুমের অনুসরণ) যাবে না। সকল ইবাদত (যেমন নামায, রোযা, কোরবানী বা ত্যাগ) কেবলমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য। যদি কেউ কোন পূণ্যবান মৃত ব্যক্তি বা কবরের (মাজার) কাছে অথবা কোন ধর্মীয় নেতার (পীর, ফকির) কাছে তার মনের আকাঙ্খা পুরণের জন্য প্রার্থনা করে এবং তাদের নিকট সওয়াবের উদ্দেশ্যে দান করে তবে সে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অস্বীকার করলো। যা একটি প্রকাশ্য কুফুরী এবং 'তাওহীদ আল উলুহিয়ার' পরিপন্থী। 

    অন্য কথায়, ব্যক্তিজীবন,পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবী একমাত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত হতে হবে। যদি আমরা মনে করি যে, আল্লাহর আইন (শরীয়াহ) যা রাসূল (সাঃ) ও খিলাফায়ে রাশেদার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা সেকেলে, অপ্রয়োজনীয়, নিকৃষ্ট এবং আল্লাহর আইনের (শরীয়াহ) তুলনায় ব্রিটিশ বা আমেরিকান আইন বা অন্য যে কোন মতাদর্শ বা জীবনব্যবস্থা (যেমন রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, পুঁজিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষবাদ ইত্যাদি) এগুলির যে কোনটি যদি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অধিকতর গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় তাহলে এই ধারণা পোষণকারী ব্যক্তির লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ঘোষণা কার্যকর হবে না।

     সুতরাং আমরা যদি তাওহীদ রুবুবিয়াহ ও তাওহিদ উলুহিয়্যাহ এর মাঝে পার্থক্য বুঝতে চাই তাহলে এই উদাহরণটি বোঝার চেষ্টা করি,
আল্লাহ ছাড়া আর কোন আইন্ দাতা বা বিধান দাতা নেই এটি হল তাওহীদ আর রুবুবিয়্যাহ এর অংশ, আর আল্লাহর আইন ছাড়া আর কোন আইন দিয়ে বিচার করা যাবে না এটি হল তাওহীদ আল উলুহিয়্যাহ্ এর অংশ। সুতরাং তাওহীদ আর রুবুবিয়্যাহ আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত আর তাওহীদ আল উলুহিয়্যাহ বান্দার আনুগত্য ও কাজের সাথে সম্পর্কিত।

     এমন কথিত মুসলিমের আল্লাহর দরকার নেই,যে শুধু মসজিদে আল্লাহকে ডাকবে আর মসজিদের বাইরে এসে মানবরচিত মতবাদের পিছনে দৌড়াবে এবং ব্যবসা বানিজ্য,শিল্প,কল কারখানা,সাংস্কৃতি অঙ্গন,পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র থেকে আল্লাহ ও তার রাসুল(সা)-কে বেদখল করবে। 

     আপদ মস্তক আগে মুসলিম হোন,তাহলে দ্বীন প্রতিষ্ঠির সংগ্রাম এবং জামায়াতে ইসলামীর গুরত্ব বুঝতে পারবেন।কামার যেমন পড়ে থাকা,মরিচা ধরা লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে মানুষের কাজের ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলে অনুরুপ জামায়াতে ইসলামী দ্বীন ভোলা মানুষগুলোকে তুলে এনে মগজ থেকে বস্তুবাদী চিন্তা চেতনার জমে থাকা মরিচাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে পরিস্কার করে "মুসলিম" শব্দের  সফটওয়ারটি মন মগজে ইনস্টল করে দেয়।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসিলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments