রোম পোড়া আর নীরুর বাঁশি বাজানোর ; ঐতিহাসিক সেই অবস্হা আজ বাংলাদেশেও সেইম।
পরি মনিরা মেধা ও বিবেকহীন এবং মেরুদন্ডহীন,বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বুভুক্ষু এ জাতির সময়ের খোরাক মাত্র।
প্রতিটি স্বৈরশাসকের টেবিলের উপর পরিকল্পনা মাফিক এক বছরের কাজের মেনু সাজানো থাকে।
ইস্যু চাপা দিতে আরেকটি নতুন ইস্যু সামনে আসে আবার কখনো বিবেকহীন জাতিকে ব্যস্ত রাখতে ইস্যুর জন্ম দেয়া হয় পূর্বপরিকল্পনা মাফিক।এটাকে জাতি লুফে নেয় ক্ষুধার্ত প্রাণীর মত।
খেলা,মেলা,হত্যা,গুম,খুন,জঙ্গি ধরো,চঙ্গি মারো-ইত্যাদি বিভিন্ন কিসিমের ইস্যু জাতিকে মিডিয়া গেলায়,জাতি স্বানন্দে গিলতে থাকে।
পরি মনিরা পরিস্হিতির শিকার না যতটা তারচে বেশি শিকার হচ্ছে প্রভাব বিস্তারের রাজনীতির।চীনপন্থি আর ভারতপন্থীদের মধ্যে চলছে প্রভাব বিস্তারের লড়াই।চীন শিকড় গাড়লেই যে জাতির ভাগ্য খুলে যাবে এই চিন্তা মারত্নক ভুৃল।
ভারতে মুসলমানকে হত্যা করা হয়,চীনেও হয়।রোহিঙ্গা নিধনে চীন ভারত সমাননভাবে জড়িত।পার্বত্য তিন জেলায় অশান্তির যে আগুন তার পিছনে রয়েছে এই দু'দেশের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদ।
রোম পোড়া আর নীরুর বাঁশি বাজানোর সেইম অবস্হা আজ বাংলাদেশেও। পরি মনিরা আওয়ামী লীগের সৃষ্টি।পরি মনিকে ধরা হলেও রথি মহারথিদের বোট(নৌকা ক্লাব)সুরক্ষিত।নৌকা ক্লাবে সব আতরের সুবাস। ভগবানরা থাকে ঐ বোট ক্লাবে,ওখানে মদের গন্ধ খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।
জাতির এই অসময়ের জন্য দরকার ঐক্য গড়ে তোলে স্বৈরাচার পতনের সংগ্রামকে জোরদার করা।মৌলানারা মুখ দেখতে চাই না বামদের,বামরা চাইনা মৌলানদের।
পিনাকি ভট্রাচার্যের দুইটি লাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।নদীরে ওপারে মসজিদ,গীর্জী,মন্দির।আমরা সবাই এপারে।যে যার মত ইবাদত করবে।ইবাদত করার জন্য ওপারে যেতে হলে ব্রীজ বানানো দরকার।আগে এক সাথে মিলে তো ব্রীজ বানাইয়া লই।
রাজনৈতিক দলগুলো কেন ব্রীজ বানানোর কাজে হাত দিচ্ছে না?নাকি এ জাতিকে নিয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে বিন্দাবনে যাবার নীরব আয়োজন করছেন জনগণের জন্য সেটাও জানা জরুরী!
---------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments