Recent Tube

এই এক অদ্ভুত দাঈ ইলাল্লাহদের উদ্ভব?! ড. এম আব্দুস সালাম আজাদী।





   এই এক দ্ভু দাঈ ইলাল্লাহদের উদ্ভব?!


    এরা মুসলিমদের ইসলাম থেকে খারিজ করেই আনন্দ পায়। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও মুখের ভাষা শুনলে আবু জাহালের দারুন নাদওয়ার ভাষণ অথবা আবু জাহালের কাবার দরোযায় দুয়ার ভাষা স্মরণ করিয়ে দেয়। আবু জাহাল ওদের সংসদে বলতোঃ
لَا تَسْمَعُوا لِهَٰذَا الْقُرْآنِ وَالْغَوْا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَغْلِبُونَ
তোমরা এ কোরআন শ্রবণ করো না এবং এর আবৃত্তিতে হট্টগোল সৃষ্টি কর, এতেই তোমরা জয়ী হবে।

     কাবার দরোযায় তার দুয়া ছিলোঃ
اللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ الْحَقَّ مِنْ عِندِكَ فَأَمْطِرْ عَلَيْنَا حِجَارَةً مِّنَ السَّمَاءِ أَوِ ائْتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
ইয়া আল্লাহ, এই যদি তোমার পক্ষ থেকে (আগত) সত্য দ্বীন হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদের উপর বেদনাদায়ক আযাব নাযিল কর।

     অথচ আবুজাহল ভালোভাবেই জানতো মুহাম্মাদ (যার জন্য আমার বাবা মা উৎসর্গ হোক) সত্যপথের পথিক। এতদসত্বেও নিজকে আল্লাহর আসল দ্বীনের বাহক ভাবতো, ও অন্যের কথা ও না শুনতে মানুষকে নির্দেশ দিতো। এই দাঈরা নিজদের সঠিক হওয়ার ব্যাপারে ও অন্যদের জাহান্নামি বা অমুসলিম হওয়ার ব্যাপারের যেন নিশ্চিত হয়ে গেছে।

    দাঈ ইলাল্লাহরা তো আল্লাহর আযাবে ধ্বংশ হওয়া লোকদের দেখেও "ইয়া ক্বাওমি" বলে কাঁদেন, আফসোস করেন।

    ৬লক্ষ ৫০ হাজার বনী ইস্রাঈল করেনি কি? তার পরেও মূসা (আ) তাদেরকে শেষ করতে বলেননি আল্লাহকে। এই ক্বওমের ৭০জন বেয়াদবকে আল্লাহ শেষ করে দেন। অথচ মূসা (আ) কেঁদে কেঁদে আবার তাদের প্রাণভিক্ষা নিয়ে নিজ জাতির কাছে ফিরে আসেন। এমনকি তিনি যখন এক পর্যায়ে দুয়া করলেন, "ও আল্লাহ এই ফাসিক্ব ক্বওম থেকে আমাকে আলাদা করে দাও"। তখনও আল্লাহ তাকে তাদের সাথেই থাকতে বললেন। এবং এই পাপী জাতির হাতেই বায়তুল মাকদাস দিলেন ৪০ বছর পর।

   আর এরা কোন ধরণের দাঈ হল, মুসলিমদেরকেও জাহান্নামি বানায়ে এরা দাঁত বের করে হাসে। উম্মাতের কষ্টে এদের কোনদিন কাঁদতে দেখিনা, এদের মুখে "موعظة حسنة " শুনিনা, যা শুনে চোখ তার বর্ষা নামায়, মন তার কম্পন অনুভব করে। এদের মুখে শুনি ভাঙার গান, ভাঙনের আহবান। এদের কথায় শয়তান ও তার দোসররা লাভবান হয়, ক্ষতি গ্রস্ত হয় দীনের পথে চলতে চাওয়া মুসলিম জাতি।

    এরা নিজদেরকে জান্নাতের জন্য অবধারিত ভেবেছে, ঠিক যেমনটা ভাবতো ইয়াহুদিরা। ওরা নিজদেরকে একান্তই আল্লাহর প্রিয় দাবি করেছে, যেমনটা করতো ইয়াহুদিরা। এ কোন দাঈ এলো যারা নিজদের বড় মনে করে, অন্যদের নাম ধরে ধরে খাটো করে? একবার এই ধরণের এক দাঈকে হাজারো মানুষের সামনে মুফতি আহমাদ শফী (র)কে  মূর্খ বলে ডাকতে শুনেছি। 

   এরা দাঈ ইলাল্লাহ হতে গেলো কেন? কষাইরাও গরুর চামড়া ছুলতে যেয়ে আলতো করে ছুলে। যাতে চামড়ায় ছুরির পোঁচ লেগে না কেটে যায়, অথচ এরা উম্মাতের ছাল তুলতে যেয়ে উম্মাতের গলাটাও কাটে। এ কোন দাঈদের পাল্লায় আজ বাংলার মুসলিম? খাওয়ারিজদের সমস্ত খোশ-পাঁচড়া গায়ে লাগিয়ে ওরা অন্যের পিঠ চুলকায়। আর তাতেই আরাম বোধ করার চেষ্টা চালায়!!

Post a Comment

0 Comments