Recent Tube

হেফাজত দমনের নেপথ্যে কারিগর কে এবং হেফাজত দমন করতে পারলে সেখানে প্রধান বেনিফিশিয়ারি কে? ইবনে যুবাইর।



হেফাজত দমনের নেপথ্যে কারিগর কে এবং হেফাজত দমন করতে পারলে সেখানে প্রধান বেনিফিশিয়ারি কে? 
--------------------------------- 

    হেফাজত দমনের নেপথ্যে কারিগর কে, কিভাবে হেফজত দমনের পরিকল্পনা হল, কেন হল সেটা অনেকটা কুয়শাছন্ন। কুয়াশাছন্ন,কেন? সেই আলাপে আসছি।

   যে কোন ঘটনার কার্যকরণ  বুঝতে হলে আপনাকে প্রথমেই বুঝতে হবে ঘটনার প্রধান বেনিফিশিয়ারি কে? এটা যদি ক্লিয়ার করতে না পারেন তবে আপনি পারবেন না ঘটনার মূলে পৌঁছতে। 

  ভারতের প্রথম টার্গেট জামায়াতে ইসলামী।এটা কেন,কি জন্য?

    ভারতের বাংলাদেশে ধর্মীয় ইস্যু পুঁজি করে, জঙ্গি ভয় বিক্রি করার মাধ্যমে এন্টি ইন্ডিয়ান রাজনীতির বিকাশ ঘটাতে চায় !এই পরিকল্পনা বহুদিনের, বহু যুগের।
বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে,ঘটবে এই প্রচারণা আমরা শুনতে পয় যখন ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসে।

     শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর শেখ মজিবের আওয়ামী লীগে রয়েছে বিস্তর ফারাক।মজিব সাহেবর আওয়ামী লীগ নেই।তিনি নিজেই সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল গঠন করেন।এর মধ্যে ছিল আওয়ামী লীগও।

    প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের পর সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার পথ উন্মুক্ত করে দেন এবং শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে এনে পূনর্বাসন করে দেন।তাই এটা হতে পেরেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।

    এই আওয়ামী লীগকে ভারত ইসলামের মুখামুখি দাঁড় করায়। উদ্দশ্য, এ দেশকে ভারতের কলোনী বানানোর জন্য।কিন্তু আওয়ামী লীগকে এন্টি ইসলামী দল বানাতে হবে কেন?কারণ,ভারতের আগ্রসী নীতির প্রধান বাধা এ দেশের ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ইসলামী সমমনা দলগুলো।

   প্রথম সারিতে থাকে জামায়াত ইসলামী।কারো সর্বনাশ করতে হলে 'আগে তার চরিত্রে কালিমা লেপন করো'-এই নীতিতেই যুদ্ধাপরাধী ট্যাগ জামায়াতের গায়ে এঁটে দিয়ে গঠন করা হয় ক্যাঙ্গারু কোর্ট। জামায়াত আপাতত মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় নেই এই জন্য যে তাদেরকে সক্রিয় হতে দেয়া হচ্ছে না।
হেফাজতকে জামায়াতের বিকল্প হিসাবে ময়দানে খেলতে দেন হাসিনা।বিশ্বকে দেখাতে হবে,বাংলাদেশে ইসলামী উগ্র মৌলবাদী কিভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের শায়েস্তা করতে হলে বিশ্বকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে,মৌলবাদীদের দমনে হাসিনা বিকল্প কে?

না,কেউ নেই।হাসিনা যেভাবে মৌলবাদীদের পেটাতে পারেন সেটা অন্য কেউ আর পারে না। তাহলে বিশ্বের কাছে হাসিনার প্রয়োজন অপরিসীম।মৌলবাদী পেটাতে এবং জঙ্গি নির্মূলে হাসিনার বাইরে কাউকে চিন্তা করা বোকামী বটে।

তাই,মাঝে মধ্যেই ইসলাম বিরোধী  কিছু ইস্যু হেফাজতর সামনে ফেইস করে ক্ষমতাশীনরা।যাতে করে হেফাজত ময়দান গরম করে।হয়েছেও তাই।

    হাসিনা চায়ছিলেন না এখনি হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার করে তাদের ঠান্ডা করে দিতে। হেফাজত ময়দানে যতই খেলবে হাসিনার ক্ষমতায় থেকে জঙ্গি নির্মলের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্ব দরবারে ততই বাড়বে।

   কিন্তু এটা হল কেন? এখন হেফাজতের উপর অপারেশন কেন হল এবং কে করাল? 
মোদি এ দেশের রাষ্ট্রীয় মেহমান।অপরদিকে রয়েছে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। মােদির সফরকে ঘিরে হেফাজতের পক্ষ থেকে মোদী রিরোধী আন্দোলন সীমা অতিক্রম করে।

    মোদি  অপমানের প্রতিশোধ  ভারত তার স্থানীয় এজেন্ট দিয়ে হেফাজতকে দমন  করিয়েছে এবং করাচ্ছে ! কারণ,ইসলাম বিরোধী ইস্যুর বাইরে হেফাজত ভারত-বিরোধি সংগঠন হয়ে উঠতে পেরেছিল। ভারত বিরোধী কোন সংগঠন বাংলাদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠুক এটা কখনই ভারত চায় না, কল্পনাও করে না।

   ভারত বিরোধি রাজনীতি  দমন করতে দরকার হলে হাসিনাকে বাই পাস করে  ভারত তার বাংলাদেশি এজেন্সি দিয়ে করাবে এবং এটা করিয়েছে হেফাজতের উপর।  গত ১২ বছরে ভারত এদেশে গঠন করেছে Parallel forces।

     এবার একটু মাথা খাটান ! ইসলাম ফোবিয়া সৃষ্টি করে জঙ্গি ভয় বিক্রি করে, আলেম ওলামা পেটানো এসব  যে কোন  ঘটনার প্রধান বেনিফিশিয়ারি কে?
ভারত না,হাসিনা? সেটা যদি বের করতে না পারেন তাহলে ঘটনার কার্যকরন  বুঝতে আপনি পারবেন না।

     হেফাজতের মােদি বিরোধী আন্দিলন  ছবিতে  আগুন লাগানো ভারতকে শংকিত করে। হেফাজতসহ  ইসলামি সংগঠন গুলোর ভারত বিরােধী অবস্হান ভারতের জন্য অশনি সংকেত!এ ব্যাপারে ভারত দরকার হলে হাসিনাকে আটকিয়ে তার জায়গায় তার  দলের তার চেয়ে ইসলাম বিদ্ধেষী অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে  ভারত তার মিশন চালিয়ে যাবে!  

    বাংলাদেশে ইসলামি সংগঠনগুলো বাংলাদেশের  বিপদজনক হয়নি !  তবে ভারত আর আওয়ামী লীগের জন্যে ইসলামি সংগঠনগুলো বিপদজনক।  

   কারণ,ইসলামি  দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ভারত বিরােধি চেতনা মানুষের মধ্যে  উস্কে দেয় তাহলে ভারতের বিপুল স্বার্থ বাংলাদেশে বিঘ্নিত হবে ! শেখ হাসিনাকে 'র'এর লোকজন চারিদিকে ঘিরে রেখেছে।

   বাংলাদেশকে ভারতের নিয়ন্ত্রনের প্রধান বাধা ইসলামি সংগঠনগুলোকে নিমূলের ব্লুপ্রিন্ট এতদিন  ইন্ডিয়া হাসিনাকে দিয়ে করিয়েছে । 

    হাসিনার সাথে ভারতের একটা ফারাক সৃষ্টি হয়েছে।উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রয়োজনে ভারত সরাসরি অপারেশন চালাবে  হাসিনাকে গণভবনে বন্দি করে-এই ইংগিত পেয়েই বাবু তোফায়েল আহমেদ,হাসান মাহমুদ,সেনা প্রধান তড়িঘড়ি ভারত সফর।

  দেশ জাতি রক্ষার্থে,স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জোর তাগিদে সকল ইসলামী সংগঠনগুলোকে ঐকবদ্ধ হয়ে ভারতের নাগপাশ থেকে দেশটা আবার স্বাধীন করতে হবে।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments