Recent Tube

প্রকৃত আলেম,শায়খ,মুফতি চিনুন ও তার ব্যাখ্যা জানতে নিচের লেখায় চোখ রাখুন। ইবনে যুবাইর।




 প্রকৃত আলেম,শায়খ,মুফতি চিনুন ও তার ব্যাখ্যা জানতে নিচের লেখায় চোখ রাখুন

 একজন সৎ ও যোগ্য,নির্ভীক,দক্ষ-প্রজ্ঞবান আলেমেদ্বীন,মুফতি,শায়খ,মুজাহিদ,ঈমাম,
রাজনীতিবিদ,দক্ষ খতিব,সমর নায়ক।
আশ্চর্য হচ্ছেন তাই তো?হবারই কথা।বলবেন কোন মাদরাসায় পড়েছেন ওনি?সার্টিফিকেট কী?ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন করার আছে!

জবাব হল,

"সেই ব্যক্তির কথার চেয়ে আর কার কথা উত্তম হবে যে আল্লাহ‌র দিকে ডাকলো, সৎ কাজ করলো এবং ঘোষণা করলো আমি মুসলমান।"
(সুরা: হামীম-আস-সাজদাহ;আয়াত নং-৩৩)

 আয়াতটির পেক্ষাপট কী?

  টিকা:৩৬) মু’মিনদের সান্ত্বনা দেয়া এবং মনোবল সৃষ্টির পর এখন তাদেরকে তাদের আসল কাজের প্রতি উৎসাহিত করা হচ্ছে। আগের আয়াতে তাদের বলা হয়েছিলো, আল্লাহ‌র বন্দেগীর ওপর দৃঢ়পদ হওয়া এবং এই পথ গ্রহণ করার পর পুনরায় তা থেকে বিচ্যুত না হওয়াটাই এমন একটা মৌলিক নেকী যা মানুষকে ফেরেশতার বন্ধু এবং জান্নাতের উপযুক্ত বানায়। এখন তাদের বলা হচ্ছে, এর পরবর্তী স্তর হচ্ছে,

  তোমরা নিজে নেক কাজ করো, অন্যদেরকে আল্লাহ‌র বন্দেগীর দিকে ডাকো এবং ইসলামের ঘোষণা দেয়াই যেখানে নিজের জন্য বিপদাপদ ও দুঃখ-মুসিবতকে আহবান জানানোর শামিল এমন কঠিন পরিবেশেও দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করো, আমি মুসলমান। 

  মানুষের জন্য এর চেয়ে উচ্চস্তর আর নেই। এ কথার গুরুত্ব পুরোপুরি উপলব্ধি করার জন্য যে পরিস্থিতিতে তা বলা হয়েছে তার প্রতি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। সে সময় অবস্থা ছিল এই যে, যে ব্যক্তিই মুসলমান হওয়ার কথা প্রকাশ করতো সে হঠাৎ করেই অনুভব করতো যেন হিংস্র শ্বাপদ ভরা জঙ্গলে পা দিয়েছে যেখানে সবাই তাকে ছিঁড়ে ফেড়ে খাওয়ার জন্য ছুটে আসছে। 

  যে ব্যক্তি আরো একটু অগ্রসর হয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য মুখ খুলেছে সে যেন তাকে ছিঁড়ে ফেড়ে খাওয়ার জন্য হিংস্র পশুকুলকে আহবান জানিয়েছে।

  ঠিক এই পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তির আল্লাহ‌কে রব হিসেবে স্বীকার করে সোজা পথ গ্রহণ করা এবং তা থেকে বিচ্যুত না হওয়া নিঃসন্দেহে বড় ও মৌলিক কাজ। 

  কিন্তু আমি মুসলমান বলে কোন ব্যক্তির ঘোষণা করা, পরিণামের পরোয়া না করে সৃষ্টিকে আল্লাহ‌র বন্দেগীর দিকে আহবান জানানো এবং কেউ যাতে ইসলাম ও তার ঝাণ্ডাবাহীদের দোষারোপ ও নিন্দাবাদ করার সুযোগ না পায় এ কাজ করতে গিয়ে নিজের তৎপরতাকে সেভাবে পবিত্র রাখা হচ্ছে পূর্ণ মাত্রার নেকি।

  মক্কার সেই সময় আর বর্তমান সময়কে বিচার করলেই ফলাফল মিলে যাবে।তখন যেমন কেউ নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেয়া ছিল সবচে বিপদ ও ঝুঁকির কাজ,বর্তমান সময়েও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বলে পরিচয় দেয়া সবচে বিপদ ও ঝুঁকির কাজ।

  এই বিপদ ও ঝুঁকির পরওয়া না করে,বাতিলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে,বাতিলের সাথে আপোসের নীতি গ্রহণ না করে যারা দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে সদা প্রস্তুত রয়েছে তাদের চেয়ে বড় আলেম আর কে আছে?
------------------------- 
লেখক ঃ অনলাইন একটিভিস্ট ও প্রবন্ধ লেখক। 

Post a Comment

0 Comments