সূরা আল কাসাস;
সূরা নম্বরঃ ২৮,
আয়াত নম্বরঃ ০
بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে
আয়াত নম্বরঃ ১
طٰسٓمّٓ
তা-সীন-মীম;
আয়াত নম্বরঃ ২:
تِلْكَ اٰيٰتُ الْـكِتٰبِ الْمُبِيْنِ
এই আয়াতগুলি সুস্পষ্ট কিতাবের।
আয়াত নম্বরঃ ৩;
نَـتْلُوْا عَلَيْكَ مِنْ نَّبَاِ مُوْسٰى وَفِرْعَوْنَ بِالْحَـقِّ لِقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ
আমি তোমার নিকট মূসা ও ফির'আওনের কিছু বৃত্তান্ত যথাযথ ভাবে বিবৃত করিতেছি, মু'মিন সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে।
আয়াত নম্বরঃ ৪;
اِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِى الْاَرْضِ وَجَعَلَ اَهْلَهَا شِيَـعًا يَّسْتَضْعِفُ طَآٮِٕفَةً مِّنْهُمْ يُذَبِّحُ اَبْنَآءَهُمْ وَيَسْتَحْىٖ نِسَآءَهُمْ ؕ اِنَّهٗ كَانَ مِنَ الْمُفْسِدِيْنَ
ফির'আওন দেশে পরাক্রমশালী হইয়াছিল এবং সেখানকার অধিবাসীবৃন্দকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়া উহাদের একটি শ্রেণীকে সে হীনবল করিয়াছিল; উহাদের পুত্রগণকে সে হত্যা করিত এবং নারীগণকে জীবিত থাকিতে দিত। সে তো ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
আয়াত নম্বরঃ ৫:
وَنُرِيْدُ اَنْ نَّمُنَّ عَلَى الَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْا فِى الْاَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ اَٮِٕمَّةً وَّنَجْعَلَهُمُ الْوٰرِثِيْنَۙ
আমি ইচ্ছা করিলাম, সে দেশে যাহাদেরকে হীনবল করা হইয়াছিল, তাহাদের প্রতি অনুগ্রহ করিতে, তাহাদেরকে নেতৃত্ব দান করিতে ও উত্তরাধিকারী করিতে;
আয়াত নম্বরঃ ৬;
وَنُمَكِّنَ لَهُمْ فِى الْاَرْضِ وَنُرِىَ فِرْعَوْنَ وَهَامٰنَ وَجُنُوْدَهُمَا مِنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَحْذَرُوْنَ
এবং তাহাদেরকে দেশে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করিতে, আর ফির'আওন, হামান ও তাহাদের বাহিনীকে তাহা দেখাইয়া দিতে, যাহা উহাদের নিকট তাহারা আশংকা করিত।
আয়াত নম্বরঃ ৭;
وَاَوْحَيْنَاۤ اِلٰٓى اُمِّ مُوْسٰٓى اَنْ اَرْضِعِيْهِۚ فَاِذَا خِفْتِ عَلَيْهِ فَاَ لْقِيْهِ فِى الْيَمِّ وَلَا تَخَافِىْ وَلَا تَحْزَنِىْۚ اِنَّا رَآدُّوْهُ اِلَيْكِ وَجٰعِلُوْهُ مِنَ الْمُرْسَلِيْنَ
মূসা-জননীর অন্তরে আমি ইঙ্গিতে নির্দেশ করিলাম, 'শিশুটিকে স্তন্য দান করিতে থাক। যখন তুমি তাহার সম্পর্কে কোন আশংকা করিবে তখন ইহাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করিও এবং ভয় করিও না, দুঃখও করিও না। আমি অবশ্যই ইহাকে তোমার নিকট ফিরাইয়া দিব এবং ইহাকে রাসূলদের একজন করিব।'
আয়াত নম্বরঃ ৮;
فَالْتَقَطَهٗۤ اٰلُ فِرْعَوْنَ لِيَكُوْنَ لَهُمْ عَدُوًّا وَّحَزَنًا ؕ اِنَّ فِرْعَوْنَ وَهَامٰنَ وَجُنُوْدَهُمَا كَانُوْا خٰطِـــِٕيْنَ
, অতঃপর ফির'আওনের লোকজন তাহাকে উঠাইয়া লইল। ইহার পরিণাম তো এই ছিল যে, সে উহাদের শত্রু ও দুঃখের কারণ হইবে। অবশ্যই ফির'আওন, হামান ও উহাদের বাহিনী ছিল অপরাধী।
আয়াত নম্বরঃ ৯;
وَقَالَتِ امْرَاَتُ فِرْعَوْنَ قُرَّتُ عَيْنٍ لِّىْ وَلَكَ ؕ لَا تَقْتُلُوْهُ ۖ عَسٰٓى اَنْ يَّـنْفَعَنَاۤ اَوْ نَـتَّخِذَهٗ وَلَدًا وَّهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ
ফির'আওনের স্ত্রী বলিল, 'এই শিশু আমার ও তোমার নয়ন-প্রীতিকর। ইহাকে হত্যা করিও না, সে আমাদের উপকারে আসিতে পারে, আমরা তাহাকে সন্তান হিসাবেও গ্রহণ করিতে পারি।' প্রকৃতপক্ষে উহারা ইহার পরিণাম বুঝিতে পারে নাই।
আয়াত নম্বরঃ ১০;
وَاَصْبَحَ فُؤَادُ اُمِّ مُوْسٰى فٰرِغًا ؕ اِنْ كَادَتْ لَـتُبْدِىْ بِهٖ لَوْلَاۤ اَنْ رَّبَطْنَا عَلٰى قَلْبِهَا لِتَكُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ
মূসা-জননীর হৃদয় অস্থির হইয়া পড়িয়াছিল। যাহাতে সে আস্থাশীল হয় তজ্জন্য আমি তাহার হৃদয়কে দৃঢ় করিয়া না দিলে সে তাহার পরিচয় তো প্রকাশ করিয়াই দিত।
0 Comments