ই*হু*দীদের পক্ষ নিয়ে ফিলি*স্তিনের মুসলিমদের বিরুদ্ধে মাদখালী শায়েখদের ফতোয়ার জবাবঃ
-------------------------------------------------------------------
আমাদের দেশে মাদখালী ধর্মাবলম্বী সেকুলার শালা-ফিরা ইনিয়ে-বিনিয়ে মুসলিম মুজা*হিদ হা*মা*সের বিরুদ্ধে এবং ইহু*দী ই*স*রা*য়ে*লের পক্ষে ফতোয়া দিচ্ছে। অর্থাৎ মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের বন্ধু সেজে তাদের পক্ষাবলম্বন করছে। অথচ যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি এমন কাজ করে তবে সে কুফরী করল।
মহান আল্লাহ বলেন,
وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ.
‘তোমাদের মধ্যে যে তাদের (বিধর্মীদের) সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা‘আলা জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না’ (মায়েদাহ ৫১)।
তিনি আরো বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوْا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُولَ وَإِيَّاكُمْ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنْتُمْ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ.
‘হে মুমিনগণ! তোমরা আমার এবং তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা তোমাদের কাছে যে সত্য এসেছে, তা অস্বীকার করেছে। তারা রাসূলকে ও তোমাদেরকে বহিষ্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের রবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এবং আমার পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, তা আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়’ (মুমতাহিনা ১)।
পরের আয়াতেই মহান আল্লাহ বলেন,
إِنْ يَثْقَفُوْكُمْ يَكُوْنُوْا لَكُمْ أَعْدَاءً وَيَبْسُطُوْا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ وَأَلْسِنَتَهُمْ بِالسُّوْءِ وَوَدُّوْا لَوْ تَكْفُرُوْنَ.
‘তোমাদেরকে করতলগত করতে পারলে তারা তোমাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং মন্দ উদ্দেশ্যে তোমাদের প্রতি বাহু ও রসনা প্রসারিত করবে এবং চাইবে যে কোনরূপে তোমরাও কাফির হয়ে যাও’ (মুমতাহিনা ২)। এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, সুযোগ পাওয়ার পর তারা মুমিনদের সাথে উদার ব্যবহার করবে, তাদের কাছে এরূপ প্রত্যাশা করা দুরাশা মাত্র। তারা যখনই সুযোগ পাবে তাদের বাহু ও জিহবা মুসলমানদের অনিষ্ট করার জন্য প্রসারিত করবে। এজন্য তাদের সাথে মিল রাখা ভবিষ্যতে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা থাকায় এ আচরণ ত্যাগ করতে হবে। অন্যথা ঈমান হারা হয়ে যাবে।
শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু উসাইমীন (রহ.) তাঁর যুগান্তকারী এক ফতোয়ায় বলেন,
"হা-র-বি কা*ফে*র হলো যে আমাদের মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। যেমন ফি-লি-স্তি-নে অবৈধ দখলদার ই*হু*দী*রা। এদের সাথে কোনোপ্রকার নিরাপত্তার অঙ্গিকার নেই৷ (অর্থাৎ তাদের যে কোনো সময় আক্রমণ করা বৈধ, প্রয়োজনে ওয়াজিব)
যদি বলা হয়, ই*স*রা*য়ে*লি*দের সাথে তো আমাদের শান্তিচুক্তি হয়েছে জাতিসংঘের বৈঠকে। তাহলে বলা হবে, ই*হু*দি*রা এই চুক্তি রক্ষা করেনি; তারা বারবার আগে বেড়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।" (সূত্র: الشرح الممتع على زاد المستنقع ১৪/৩৬)
নামধারী পেটপূজারী মাদখালী শালা-ফিদের মুখে তাদের মাজহাবের শাইখ ইবনু উসাইমীনের ফতোয়াটি ছুঁড়ে মারুন।
0 Comments