মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী(রহ:)
জন্ম:- ২৫শে সেপ্টেম্বর, ১৯০৩
আওরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র ,হায়দ্রাবাদ,ব্রিটিশ ভারত।
মৃত্যু:- ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ (৭৫ বছর)
বাফেলো,নিউ ইয়র্ক,যুক্তরাষ্ট্র।
যুগ:- আধুনিক যুগ, বিংশ শতাব্দী।
অঞ্চল:- মুসলিম স্কলার ও চিন্তাবিদ।
ধারা:- সুন্নি ইসলাম : হানাফী + মুজতাহিদ।
আগ্রহ:- তাফসির, হাদিস, ফিকাহ, রাজনীতি, অর্থনীতি,সংস্কৃতি।
অবদান:-
“We cannot expect the rest of
mankind to embrace Islam without
any effort on our part”
ভাবগুরু:-
শাহ ওয়ালিউল্লাহ , ইবনে তাইমিয়া , ইবন আল
কাইয়িম,হাসান আল বান্না, আল্লামা ইকবাল , মাওলানা মুহাম্মাদ আলী জাওহার ভাবশিষ্য
সাইয়িদ কুতুব,জালালুদ্দিন উমরি, ইউসুফ
ইসলাহী , ইসরার আহমেদ, হাফিজ সাঈদ ,
সাইয়েদ আলী শাহ গীলানী, মালিক
গুলাম আলী , তুফাইল মুহাম্মাদ , ইউসুফ আল
কারাদাভী , গোলাম আজম, কাজী হুসাইন
আহমাদ, সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী (২৫শে সেপ্টেম্বর, ১৯০৩ -
২২শে সেপ্টেম্বের, ১৯৭৯),
যিনি মাওলানা মওদুদী বা শাইখ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী নামেও পরিচিত,ছিলেন একজন মুসলিম গবেষক, সাংবাদিক, মুসলিম রাজনৈতিক নেতা ও
বিংশ শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক ।
= > পাকিস্তানীরা তাকে বলে আরবী
লেভেলের অনেক উচু মানের আলেম।
= > সৌদিরা তাকে বলে শায়েখ।
= > ইন্দোনেশিয়া তে তাকে উস্তাদ
ছাড়া ডাকা হয় না।
= > আপনারা যারা মাদানী তারা
হয়তবা জানেন না যে মউদুদী
ছিলেন মদীনা ইউনিভারসিটির
একজন প্রতিষ্ঠাতা। এঈ ইউনিভার্সিটি প্রনয়ণ ও রূপরেখা বিষয়ে বেশির ভাগ
প্রস্তাবনা ছিল তাঁর।
= > উনি ছিলেন Muslim World League
(রাবিতা আল আলাম আল ইসলামি)
এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
= > উনি ইসলামিক ইউনিভারসিটি
অব মদীনার শরীয়া ডিপার্টমেন্ট এর
দায়িত্তেও ছিলেন।
= > উনার জানাযার নামাজ
পড়িয়েছিলে, তখনকার সময়ের
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে নন্দিত আলেম
ইউসুফ আল কারজাবী।
= > বাদশাহ নাজ্জাশির পর কা'বার
চত্তরে একমাত্র উনার গায়েবানা
জানাযার নামাজ পড়া হয়েছে।
= > উনি মনে হয় এই দুনিয়ার একমাত্র
আলেম যিনি সাহস করে নিজের লিখা
কুরাঅান শরীফের তাফসির একটি
মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ
করেছেন। এইটা কিন্তু খুব সাহসী কাজ।
= > উনার বই প্রায় ৫৭ টি ভাষাতে
অনুদিত হয়েছে।
= > তিনি একটা দল প্রতিষ্ঠা
করেছেনযেটা মনে হয় একমাত্র দল,
যারা অন্য কোনো ইসলামি দলের ও
দলের দায়ীত্বশীলদের বিরুদ্ধে কথা
বলার কোন প্রমান নাই।
= > পাকিস্তানে, জামায়াত ইসলামিকে
তাদের দেশের সৈনিকদের পর
সবচেয়ে শৃংখলাবদ্ধ দল বলা হয়।
= > তার লেখনি ভারত ভাগকে করেছিল
তরান্নিত।
= > তিনি আজীবন ইসলামি হুকুমত
কায়েমের চেষ্টা করেছেন। গিয়েছেন
ফাঁসির প্রকষ্টেও। তবুও হার মানেন নাই
= > তিনি ইসলামি অর্থনীতি সম্পর্কে
দিয়েছেন খুব পরিষ্কার ধারনা।
[১] তিনি তার নিজ দেশ
পাকিস্তানের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও
ছিলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামী নামক
একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলেরও প্রতিষ্ঠাতা।
[২] প্রভাব ও ধারাবাহিকতা
মাওলানা মওদুদীর প্রভাব ছিল ব্যাপক।
ইতিহাসবেত্তা ফিলিপ জেনকিন্সের মতে,
মিসরের হাসান আল বান্না এবং সাইয়িদ কুতব তার
বই পড়ে অনুপ্রাণিত হন। সাইয়িদ কুতব তার কাছ
থেকে আদর্শ গ্রহণ করেন এবং এটি আরো সম্প্রসারিত
করেন। তিনি একটি অগ্রগামী ইসলামী বিপ্লবী দল
গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী জুরিস্ট আবদুল্লাহ আযযাম ও
তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। দক্ষিণ-এশীয় জনগন
(বিরাট সংখ্যক ব্রিটেন প্রবাসী সহ)
মাওলানা মওদুদীর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত
হয়েছেন।
মাওলানা মওদুদীর কর্মপন্থা অনুসরন করে থাকে।
("To the present day, Iran's
revolutionary rhetoric often draws on
his themes.") [৩] ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পর
তিনি (মওদুদী) দ্বিতীয় চিন্তাবিদ
যিনি আধুনিক বিশ্বে ইসলামী রাজনৈতিক
চিন্তাধারা -কে প্রভাবিত করেছেন। [ তথ্যসূত্র
প্রয়োজন ]
জীবনকাল
১৯০৩- জন্ম গ্রহণ করেন।
জন্মস্থানঃ আওরঙ্গাবাদ
(বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মধ্যে),
হায়দারাবাদ, ভারত।
১৯১৮- সাংবাদিক
হিসেবে 'বিজনোর' (Bijnore) পত্রিকায়
কাজ শুরু করেন।
১৯২০- জবলপুরে দৈনিক 'তাজ' পত্রিকার এডিটর
হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯২১- দিল্লিতে মাওলানা আব্দুস সালাম
নিয়াজির কাছে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেন।
১৯২১- দৈনিক 'মুসলিম' পত্রিকার এডিটর
হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯২৫- নয়া দিল্লির 'আল জামিয়াহ' পত্রিকার
এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ।
১৯২৬- দিল্লির 'দারুল উলুম ফতেহপুরি'
থেকে 'উলুম-এ-আকালিয়া ওয়া নাকালিয়া'
সনদ লাভ করেন।
১৯২৭- 'আল জিহাদ ফিল ইসলাম'
নামে একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা শুরু করেন।
১৯২৮- উক্ত প্রতিষ্ঠান (দারুল উলুম ফতেহপুরি)
থেকে 'জামে তিরমিযি'
এবং 'মুয়াত্তা ইমাম মালিক' সনদ লাভ করেন।
১৯৩০- 'আল জিহাদ ফিল ইসলাম' নামের বিখ্যাত
বইটি প্রকাশিত হয়। তখন তার বয়স ২৭ বছর।
১৯৩৩- ভারতের হায়দারাবাদ থেকে 'তরজুমানুল
কুরআন' নামক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।
১৯৩৭- তার ৩৪ বছর বয়সে, লাহোরে, দক্ষিণ
এশিয়ার কিংবদন্তিতুল্য মুসলিম কবি ও দার্শনিক
আল্লামা মুহাম্মাদ ইকবালের সাথে পরিচয় হয়।
পরিচয় করিয়ে দেন চৌধুরী নিয়াজ
আলী খান।
১৯৩৮- তার ৩৫ বছর বয়সে, হায়দারাবাদ
থেকে পাঠানকোটে গমন করেন।
সেখানে তিনে দারুল ইসলাম ট্রাস্ট
ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন, যেটি ১৯৩৬
সালে আল্লামা ইকবালের
পরামর্শে চৌধুরী নিয়াজ আলী খান কর্তৃক
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাঠানকোটের ৫
কিমি পশ্চিমে, জামালপুরে, চৌধুরী নিয়াজ
আলী খানের ১০০০ একর এস্টেট ছিল।
চৌধুরী নিয়াজ আলী খান সেখান থেকে ৬৬
একর জমি দান করেন।
১৯৪১-
লাহোরে 'জামায়াতে ইসলামী হিন্দ'
নামে একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল
প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর আমির হন।
১৯৪২ - জামায়াতে ইসলামীর প্রধান কার্যালয়
পাঠানকোটে স্থানান্তর করেন।
১৯৪২ - তাফহীমুল কুরআন নামক তাফসির গ্রন্থ প্রনয়ন শুরু
করেন।
১৯৪৭ - জামায়াতে ইসলামীর প্রধান কার্যালয়
লাহোরের ইছরায় স্থানান্তর করেন।
সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদীর বাড়ির প্রবেশ পথ, ইছরা,
লাহোর
১৯৪৮ - 'ইসলামী সংবিধান' ও
'ইসলামী সরকার' প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা শুরু
করেন।
১৯৪৮ - পাকিস্তান সরকার
তাকে কারাগারে বন্দী করে।
১৯৪৯ - পাকিস্তান সরকার জামায়াতের
'ইসলামী সংবিধানের রূপরেখা' গ্রহণ করে।
১৯৫০ - কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
১৯৫৩- 'কাদিয়ানী সমস্যা' নামে একটি বই
লিখে কাদিয়ানী বা আহমদিয়া সম্প্রদায়কে
অমুসলিম প্রমাণ করেন। ফলে ইতিহাসখ্যাত বড়
রকমের কাদিয়ানী বিরোধী হাঙ্গামার
সৃষ্টি হয়। [ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ] এ সময় অনেকগুলো সংগঠন
একযোগে কাদিয়ানীদেরকে সরকারিভাবে অ
মুসলিম ঘোষনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
তারা সর্বদলীয়
কনভেনশনে ২৭শে ফেব্রুয়ারি তারিখে 'ডাইর
েক্ট একশন কমিটি' গঠন করে। [ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ]
জামায়াত এই কমিটির
বিরোধিতা করে অহিংস আন্দোলনের
পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু তথাপি মার্চ
মাসের শুরুতে আন্দোলন চরম আকার ধারন
করে এবং পুলিশের গুলিতে কিছু লোক নিহত
হয়। [৪] পরে একটি সামরিক আদালত আবুল
আ'লাকে এই গোলযোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত
করে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়, (যদিও
কাদিয়ানী সমস্যা নামক বইটি বাজেয়াপ্ত
করা হয়নি)। অবশ্য সেই মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর
করা হয়নি। [৫]
১৯৫৩- মৃত্যুদন্ডাদেশ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন
কারাদন্ড করা হয়, কিন্তু পরে তা-ও প্রত্যাহার
করা হয়।
১৯৫৮- সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান
'জামায়াতে ইসলামী'কে নিষিদ্ধ
ঘোষনা করেন।
১৯৬৪- আবারো তাকে কারাবন্দী করা হয়।
১৯৬৪- কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
১৯৭১- পাকিস্তান থেকে তৎকালীন পূর্ব
পাকিস্তান আলাদা হবে কিনা এ
প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পূর্ব
পাকিস্তান জামায়াতের উপর ন্যাস্ত করেন [৬]
১৯৭২- তাফহীমুল কুরআন নামক তাফসির গ্রন্থটির
রচনা সম্পন্ন করেন।
১৯৭২- জামায়াতে ইসলামীর আমির পদ
থেকে ইস্তফা দেন।
সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদীর কবর
১৯৭৮- তার রচিত শেষ বই
'সিরাতে সারওয়ারে আলম' প্রকাশিত হয়।
এটি হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর জীবনী গ্রন্থ।
১৯৭৯- চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন।
১৯৭৯- যুক্তরাষ্ট্রে তার মৃত্যু হয়। [৭]
১৯৭৯- লাহোরের ইছরায় তাকে সমাধিস্থ
করা হয়। তার জানাযায় ইমামতি করেন তার
পরবর্তী যুগের আরেক কিংবদন্তী শায়খ ইউসুফ আল
ক্বারাদাওয়ী
--------------------------
★ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী
(রহ:) সেই মহান ব্যক্তি, গরীবে নেওয়াজ খাজা
মইনুদ্দিন চিশতি (রহঃ) ছিলেন যার বংশানুক্রমিক দাদা। তারা
উভয়েই ছিলেন একই বংশের দুই যুগে পৃথিবীতে
আসা যুগশ্রেষ্ঠ দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। তারা তাদের
কৃত-কর্মের মাধ্যমে কেয়ামত পর্যন্ত
পৃথিবীব্যাপী আলো ছড়াবেন আর পৃথিবীর
মানুষও কেয়ামত পর্যন্ত তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ
কর
★ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহ:)
সেই মহান ব্যক্তি, বাদশা নাজ্জাশীর পরে তিনিই
একমাত্র মানুষ যার গায়েবানা জানাজা হয়েছে পবিত্র
কা'বা শরীফের চত্বরে।
★ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহ:)
সেই মহান ব্যক্তি, যার লেখা তাফসীর "
তাফহিমুল_কুরআন " মদিনা ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো হয়
এবং পৃথিবীর ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়েতাঁর লিখিত গ্রন্থ
পড়ানো হয়।
★ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা
মওদুদী (রহ:) সেই মহান ব্যক্তি, যিনি মৃত্যুর আগ
পর্যন্ত মসজিদে নববীর পাশে অবস্থিত মদীনা
ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন।
★ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহ:)
সেই মহান ব্যক্তি, সৌদি আরবের সরকার যার
সম্মানার্থে পবিত্র মক্কা নগরীতে একটা রাস্তার নাম
রেখেছে
"শা'রে আল-উস্তাদ আল মওদুদী"।
★ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহ:)
সেই মহান ব্যক্তি, যিনি রচনা করেছেন যুগ- যামানার
শ্রেষ্ঠ
তাফসীর "তাফহীমুল কুরআন" সহ এক সুবিশাল সাহিত্য
ভান্ডার। যার ফলে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ যুবক তার
লেখা তাফসীর ও বই পড়ে কুরআন- সুন্নাহর
আলোকে একটি স্বর্নালী সমাজ ও রাষ্ট্র
গঠনের আন্দোলন এর সন্ধান খুঁজে
পেয়েছে।
★★★ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা
মওদুদী (রহ:) এর বিস্ময়কর কিছু উক্তি : একদা এক
সমাবেশে আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী
(রহ:) বক্তব্য রাখছিলেন, এমন সময় ইসলামের
শত্রুরা তার বক্তব্যের মঞ্চে গুলি চালালে উপস্থিত
নেতা-কর্মীরা তাকে বসার অনুরোধ করেন। সে
সময় তিনি বলেছিলেন "আমি বসে পড়লে দাঁড়িয়ে
থাকবে কে?"।
★ কাদীয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলীম বলে বই
লেখার কারণে সমগ্র পাকিস্তান
জুড়ে কাদীয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার
দাবীতে আন্দোলন শুরু হয়। সেই
আন্দোলনে অনেক মানুষ নিহত হলে এর দায়ভার
আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহ:) এর
উপর চাপিয়ে দিয়ে তার ফাঁসির রায় হয়েছিল, নিজের
ফাঁসির সংবাদ শুনে তিনি অবলীলায় বলেছিলেন-
"মৃত্যুর ফয়সালা জমীনে নয়, আসমান থেকে
আসে"। (ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত তিনি গিয়েছিলেন,
পরে অবশ্য জালেমশাহীরা তাকে ফাঁসি দিতে
পারেনি)।
★ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী
(রহ:) তার জীবনে ইসলামের জন্য যত বই
লিখেছেন সে হিসাব করলে দেখা যায় তাঁর জন্ম
থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হায়াতের জিন্দেগীতে
প্রতিদিনই বই লিখেছেন গড়ে ৪৯ পৃষ্টা করে। হে
আল্লাহ ! ইলামী জাগরণের অগ্রদুত বিংশ শতাব্দীর
শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা
মওদূদী (রহ:) কে জান্নাতুল ফেরদাউসের
মেহমান বানিয়ে নিও। # আমীন।
_____________
তাঁর কিছু গ্রন্থাবলী
১। তাফহীমুল কুরআন -১৯ খন্ডের তাফসীর গ্রন্থ
২। ঈমানের হাকীকত
৩। নামাজ রোজার হাকীকত
৪। তাওহীদ রিসালাত ও আখিরাত
৫। ইসলাম পরিচিতি
৬। যাকাতের হাকীকত
৭। ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথা
৮। ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার মূলনীতি
৯। ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ
১০। ইসলামী বিপ্লবের পথ
১১। ইসলামের শক্তির উৎস
১২। ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
১৩। ইসলামী আন্দোলনঃ সাফল্যের শর্তাবলী
১৪। সত্যের সাক্ষ্য
১৫। সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং
১৬। আল জিহাদ
১৭। কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা
১৮। ভাংগা ও গড়া
১৯। সীরাতে সরওয়ারে আলম
২০। হেদায়েত
২১। ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
২২। ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব
২৩। মহরমের শিক্ষা
২৪। দায়ী ইলাল্লাহ-দাওয়াত ইলাল্লাহ
২৫। ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
২৬। পর্দা ও ইসলাম
২৭। ইসলামের দৃষ্টিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ
২৮। কুরআনের মর্মকথা
২৯। খেলাফত ও রাজতন্ত্র
৩০। ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার
৩১। হজ্জের হাকীকত
৩২। ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ
৩৩। ইসলাম ও জাহেলিয়াত।
(সংকলিত)
0 Comments