প্রশ্ন:
সূরা মূলক ইশার সালাতের আগে পড়লে রাতে কি আবার পড়তে হবে?
~~~~~~~~~~~~~
উত্তর :
রাত-দিন যেকোন সময় সূরা মূলক পাঠ করা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ আমল। কেননা হাদিসে এসেছে:
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ سُورَةً مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ
الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ -وحسنه الألباني في صحيح الترمذي
"কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা আছে , যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। সেটা হচ্ছে ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মূলক।
(অর্থাৎ সূরা মূলক)”
(তিরমিযী, শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহ. উক্ত হাদীসটিকে তার সহীহ তিরমিযীতে ‘হাসান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. মাজমু ফতোয়াতে এটিকে সহীহ বলেছেন।)
উক্ত হাদিসে রাত-দিন বা কোন নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার কথা আসেনি।
সুতরাং আপনি রাত-দিন যেকোনো সময় তা পড়তে পারেন। এমনকি ইশা, তাহাজ্জুদ, ফজর বা অন্য কোনো সালাতে দাঁড়িয়েও যদি তা পাঠ করেন তাহলে উক্ত মর্যাদা লাভ করা যাবে ইন-শা-আল্লাহ।
তবে_যদি রাতে ঘুমের পূর্বে পড়তে পারেন তাহলে তা আরও উত্তম। কেননা হাদিসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমের পূর্বে পড়তেন।
আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সকল সূরা পাঠ না করে ঘুমাতেন না সেগুলো হল ৪টি সূরা। যথা:⤵️
▪১) আলিফ লাম তানযীল (সূরা সাজদাহ),
▪২) তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মূলক (সূরা মূলক),
এ_মর্মে_হাদিস_হল:
فروى الترمذي (2892) عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الم تَنْزِيلُ ، وَتَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " ، وصححه الألباني في " صحيح سنن الترمذي
▪৩) সূরা ইসরা (বনী ইসরাঈল) এবং
▪৪) সূরা যুমার।
এ_মর্মে_হাদিস_হল:
روى الترمذي (3405) عن عَائِشَة رضي الله عنها قالت : " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الزُّمَرَ ، وَبَنِي إِسْرَائِيلَ " ، وصححه الألباني في " صحيح سنن الترمذي "
আল্লাহু আলাম।
-------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।

0 Comments