Recent Tube

রেডিও-টেলিভিশন ও আযান এ্যাপ এর আযানের জবাব দেয়ার বিধানরেডিও-টেলিভিশনের উপস্থাপক/আলোচক এবং ইন্টারনেটের চ্যাটিং এর সালামের জবাব দেয়ার বিধান। আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।



রেডিও-টেলিভিশন ও আযান এ্যাপ এর আযানের জবাব দেয়ার বিধান
রেডিও-টেলিভিশনের উপস্থাপক/আলোচক এবং ইন্টারনেটের চ্যাটিং এর সালামের জবাব দেয়ার বিধান।
-------------------------------------------------- 

💠রেডিও-টেলিভিশন এবং আযান এ্যাপ এর আযানের জবাব দেয়া:

 যদি সালাতের নির্দিষ্ট সময়ে সালাতের জন্য মুয়াজ্জিন আজান দেয় আর তা রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচারিত হয় তাহলে শ্রোতাদের জন্য উক্ত আজানের উত্তর দেওয়ায় সওয়াব রয়েছে-শ্রোতা পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে  যে কোন মাধ্যমে শ্রবণ করুক না কেন। 

 এ ক্ষেত্রে আজানের জবাব সংক্রান্ত সাধারণ হাদিসগুলো প্রযোজ্য যেমন: আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ".

 “যখন তোমরা আযান শুনবে তখন মুয়াজ্জিন যা বলবে হুবহু তাই বলে আযানের জবাব দাও।" (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

 অন্য বর্ণনায় আছে মুয়াজ্জিন যখন বলবে, “হাইয়্যা ‘আলাস্‌সালাহ, হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’তখন তোমরা বলবে, “লা-হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।” (সহিহ মুসলিম)

 পক্ষান্তরে যদি রেকর্ডকৃত আজান সম্প্রচার করা হয় তাহলে তার জবাব না দেওয়াই উত্তম। কেননা এটি প্রকৃত আজান নয়। আজান একটি ইবাদত আর ইবাদতের জন্য জরুরি হচ্ছে, একজন ব্যক্তি সরাসরি তা সম্পাদন করা।
 
 সুতরাং যখন মুয়াজ্জিন সরাসরি আজান দিবে তখন যদি আমরা শুনি 
 (যে কোন মাধ্যমে হোক না কেন) তবে তার জবাব দিলে সওয়াব রয়েছেে। কিন্তু কোনও একসময় আজান দেওয়া হয়েছে বা স্টুডিওতে আজান দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে তা ব্রডকাস্ট করা হচ্ছে বা রেকর্ড কৃত আজান প্লে করে শোনানো হচ্ছে তাহলে তার জবাব দেওয়া ঠিক নয়। 

 💠রেডিও-টেলিভিশনের উপস্থাপক/আলোচকের সালাম এর উত্তর দেয়া:

 যদি রেডিও-টেলিভিশনে উপস্থাপক বা আলোচক এভাবে বলে যে, সম্মানিত দর্শক ও শ্রোতা মণ্ডলী, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ অর্থাৎ সে যদি শ্রোতা ও দর্শক মণ্ডলীকে উদ্দেশ্য করে সালাম প্রদান করে তাহলে যত দর্শক ও শ্রোতা এ সালাম শুনবে তাদের জন্য জবাব দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে সালামের জবাব সংক্রান্ত আয়াত ও হাদিসগুলো প্রযোজ্য। যেমন: আল্লাহ তা'য়ালা বলছেন,
 وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا ۗ
“যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হয় তখন তোমরা এর থেকে উত্তম ভাবে সালামের উত্তর দাও অথবা হুবহু তাই ফিরিয়ে দাও।” (সূরা নিসা: ৮৬)
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “একজন মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের পাঁচটি অধিকার রয়েছে। তম্মধ্যে একটি হল, সালামের জবাব দেওয়া।”
যদিও কোন কোন আলেম বলেন, এ ক্ষেত্রেও সকলের জবাব দেয়া জরুরি নয়। কারণ উত্তর দিলেও সালাম প্রদানকারী উত্তর শুনবে না এবং সে তা প্রত্যাশাও করে না যে, সবাই তার জবাব দিবে। তবে  যাহোক, যারা  উক্ত সালাম শুনবে তাদের সকলের উত্তর দেয়া উত্তম ও অধিক সতর্কতা।
 কিন্তু সে যদি অনির্দিষ্টভাবে সালাম দেয় তাহলে সকলের জন্য সালামের জবাব দেওয়া জরুরি নয় বরং কেউ একজন সালামের জবাব দিলেই যথেষ্ট হবে। এ অবস্থায় এটি ফরযে কেফায়া পর্যায়ের।
(একই বিধান বই লেখক বা পত্রিকার প্রবন্ধ লেখক এর সালামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য) 
[বিন বায রহ. ও অন্য  আলেমদের ফতোয়ার সার সংক্ষেপ]
 
 💠ইন্টারনেটে চ্যাটিং এর সালামের জবাব দেয়া:

 অনুরূপভাবে ইন্টারনেটে চ্যাটিং এর সময় কেউ যদি আপনাকে উদ্দেশ্যে করে সালাম দেয় তাহলে তার উত্তর দিতে হবে-চাই তা লিখিত হোক অথবা মৌখিক হোক। অন্যথায় গুনাহগার হতে হবে। কারণ সে আপনাকে উদ্দেশ্য করেই সালাম দিয়েছে আর সালামের উত্তর পাওয়া তার একটি হক।
আল্লাহু তাআলা আলাম। (বড় আলেমদের ফতোয়ার সার সংক্ষেপ)
আল্লাহু আলাম
--------------------------------------------------
 উত্তর প্রদানে:
 আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডন্সে সেন্টার, সৌদি আরব
#abdullahilhadi

Post a Comment

0 Comments