কানাকে হাইকোর্ট দেখানো!
শশুর বাড়ি একই সাথে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিন ভায়রাভাই। তখন সে এলাকায় নির্বাচন চলছিলো তো তিন ভায়রাভাইর মধ্য এ নিয়ে আলোচনা জম্পেশ জমে উঠেছে। যার যার পছন্দের প্রার্থী নিয়ে। বড় ভায়রা সবমসময়ই একটু জিততেই পছন্দ করেন আর ছোটরাও বড়কে সবসময়ই ছাড়ের মানসিকতায় একটু বেশীই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, তাদের ভাবনায় মুরব্বী বলে কথা?
কিন্ত সবসময় জিত থাকা মনোভাব সম্পন্ন বড় ভায়রাকে নির্বাচন বিষয়ে ছাড় দিতে নারাজ এবার ছোটরা?
তো এখন কি করা?
বড়র আজ খুবই মন খারাপ। কারন কানাকে হাইকোর্ট দেখানোর মতো অনেক কিছুই বলে দেখিয়ে বাগে আনতে পারছেননা ছোট ভায়রাভাইদেরকে। এবার তাঁদের মধ্যে সিদ্ধান্ত হলো ঠিক আছে আমাদের নিজেদের মধ্যে নির্বাচন হয়ে যাক যেই কথা সেই কাজ, তিন ভায়রাভাই বোন সহ ভোটাভোটি হবে ডাক্তার শালাকে নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচনের ব্যবস্থা হলো। যারযার দলীয় পরিচয় রাজনৈতিক ও ব্যক্তি চরিত্রের বিভিন্ন দিক সহ বিগত ও সমসাময়িক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। বড় ভায়রা সভাব সুলভ ভাবে একটু বেশীই আশাবাদী তাঁর প্রার্থীর জয় নিয়ে। নির্বাচনে তিন বোন ও ভায়রাভাই সহ মোট ভোটার ৬জন ভোট কাস্টিং শেষে গণনা করে নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করলেন বড় ভায়রা ভোট পেয়েছেন ১টি (তিনির নিজের) আর ছোটরা পেয়েছেন ৫(পাঁচটি)। ফলাফলে বড় ভায়রাভাই'র মনটা খুবই খারাপ। #শেষপর্যন্ত নিজের স্ত্রীর ভোটও নিজের প্রার্থীর পক্ষে নিতে না পারায়? তাহার মনটা খুউব খারাপ, কি আর করা ছোট ভায়রাদ্বয় বড়কে শান্তনা দেয়ার অনেক চেষ্টা করছেন।
পরিশেষে ছোট ভায়রা বড়কে সম্মাননা ও শান্তনা স্বরূপ #জাতীয় ফল একটি কাঁঠাল ধরিয়ে দিলেন।
#উভয় আমার পূর্বপরিচিত হওয়ায় আমিও বলিলাম যান ভাই মনের শোকে এখন কাঁঠাল খেয়ে খেয়ে আগবাড়েন বহুত ফায়দা হবে।
0 Comments