Recent Tube

মাওলানা মওদুদী (রাহঃ) সম্পর্কে জঘন্য মিথ্যা অপবাদঃ মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।


                     মাওলানা মওদুদী (রাহঃ)                                         সম্পর্কে জঘন্য মিথ্যা অপবাদঃ

  অপবাদকারীদের ভ্রান্ত শিরকি কুফরী আকিদা গ্রহণ না করার কারণে, তাদের অন্ধ তাকলিদ না করার জন্যে মাওলানা মওদুদী (রাহঃ) কে ঘায়েল করতে তারা অসংখ্য জঘন্য অপবাদ রচনা করেছে। মাওলানার বক্তব্য কাটছাট করে বিকৃতিভাবে পেশ করেছে, মাওলানা বুঝাতে চেয়েছেন একটি তারা বুঝিয়েছে তার বিপরীতটি। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মাওলানা যে কথা একেবারেই বলেননি সেটাই মাওলানার আকিদা নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখানে কয়েকটা জঘন্য মিথ্যা অপবাদ তুলে ধরা হলোঃ

১. নবী হোক, সাহাবা হোক কারো সন্মানার্থে দোষ বর্ণনা না করাকে জরুরী মনে করা আমার দৃষ্টিতে মূর্তি পূঁজারীই শামিল।
(মিষ্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম: তর্জমানুল কুরআন ৩৫ সংখ্যা) 

২. মহা নবী (সা) নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং তিনি নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ করেছেন।
(মিষ্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম: তর্জমানুল কুরআন রবি: আউ: সংখ্যা, ১৩৬৫ হি:) 

৩. নবীয়ে করিম (সা) এর আদত-আখলাককে সুন্নাত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেওয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরণের বিদআত, মারাক্তক ধর্ম বিগড়ন।
(মিষ্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম: রাসায়েল- মাসায়েল)

৪. ফেরেশতা প্রায় ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মোশরেকরা দেবী - দেবতা স্থির করেছে।
(মিষ্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম: তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন) 

৫. হযরত আবূ বকর (রা) দূর্বলমনা ও খেলাফতের অযোগ্য ছিলেন।
(মিষ্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম: তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন) 

৬. চিল, শুকুন, কুকুর, শেয়াল, বিড়াল, কাক, সাপ ইত্যাদি জানোয়ার খাওয়া হালাল।
(মিষ্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম:তর্জমানুল কুরআন)

৭. আল্লাহর আইন জেনার শাস্তি রজম বা প্রস্তর নিক্ষেপ করা জুলুম।
(মিষ্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম: তাফহীমাত ২য় খন্ড) 

৮. গুনাহর ব্যাপারেও আমীরের আনুগত্য করতে হবে।
(ফিতনায়ে মওদুদীয়াত পৃঃ ১৮)

৯. হযরত উসমানের মধ্যে খেলাফতের যোগ্যতা ছিল না।
(ফিতনায়ে মওদুদীয়াত পৃঃ ২১)

১০. আবূ হানিফা কোন চরিত্রবান কিংবা ফাসিক - ফাজির ব্যাক্তি ছিল  আমি জানি না এবং তার সম্পর্কে বর্ণিত বর্ণনাগুলোই কত টুকু অকাট্য!
(ফিতনায়ে মওদুদীয়াত পৃঃ ২১)

১১. ইব্রাহীম (আ) শিরকের গুনায় নিমজ্জিত ছিলেন।
(মিষ্টার মওদুদীর নতুন ইসলাম ও মওদুদীর ইসলামের স্বরূপ: তাফহীমুল কুরআন, ১/৫৫৮)

আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ 
ﻟَﻌْﻨَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺑِﻴﻦَ 

মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর অভিশম্পাত। (সূরা আলে ইমরানঃ৬১)

মুহতারাম পাঠকবৃন্দ! মাওলানার যে সকল কিতাবের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, আপনাদের কারো কাছে কিতাব গুলো থাকলে একটু কষ্ট করে খুলে দেখুন তাহলে উল্লেখিত বিষয়গুলো কত জঘন্য মিথ্যা অপবাদ তা সহজেই বুঝতে পারবেন। বুঝতে পারবেন এই সকল অপবাদকারী কত বড় মিথ্যুক। আর যারা রাসূলুল্লাহ (সা) এর মানে জাল হাদীস প্রচার করে তাদের পক্ষে মাওলানা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহ বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটানো কঠিক কোন বিষয় নয়। 
আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ 
ﻟَﻌْﻨَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺑِﻴﻦَ 

 মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর অভিশম্পাত। (সূরা আলে ইমরানঃ৬১)


মাওলানার উপরে মিথ্যা অপবাদের কয়েকটি উদাহরণ পেশ করলাম। সবগুলো এখানে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এ সকল ভন্ড, মিথ্যুক, জালিয়াতকারী ধোঁকাবাজ অপবাদকারীদের বই পড়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে আল্লাহর রাসূল (সা) এর হাদীস অনুযায়ী মিথ্যাবাদী হিসাবে পরিগণিত হবেন।

মূল কিতাব থেকে না পড়ে আন্দাজেই তা প্রচার করে গোনাহগার হবেন না। না জেনে এবং যাচাই বাছাই না করে তা প্রচার করে মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰَّ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻗَﺎﻝَ ‏« ﻛَﻔَﻰ ﺑِﺎﻟْﻤَﺮْﺀِ ﺇِﺛْﻤًﺎ ﺃَﻥْ ﻳُﺤَﺪِّﺙَ ﺑِﻜُﻞِّ ﻣَﺎ ﺳَﻤِﻊَ ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﺑﻰ ﺩﺍﻭﺩ - ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺩﺏ، ﺑﺎﺏ ﻓِﻰ ﺍﻟﺘَّﺸْﺪِﻳﺪِ ﻓِﻰ ﺍﻟْﻜَﺬِﺏِ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 4994-

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যা শুনে তা’ই বলতে থাকা [যাচাই বাছাই ছাড়া] ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ঠ। 

{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৯৯৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭, মুসনাদে ইবনুল জিদ, হাদীস নং-৬২৭, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৮২০১, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১৪১৫, মাশকিলুল আসার লিত তাহাবী, হাদীস নং-১৯৮০, মুসনাদে আব্দুল্লাহ বিন মুবারক, হাদীস নং-১৯, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৬১৩১}
--------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা ও মাওলানা।        

Post a Comment

0 Comments