Recent Tube

কপল ভিজে গেল দুই চোখের জলে।" ৷ ইবনে যুবাইর।

    "কপল ভিজে গেল দুই চোখের জলে।"

    শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যখন এই পড়াটি পড়াচ্ছিলেন তখন একজন ছাত্র দাঁড়িয়ে স্যারকে জিঞ্জেস করল,স্যার!কপল তো থাকল উপরে এবং চক্ষুদ্বয় নিচে।তো চোখের জলে কপল ভিজল কেমনে?
  স্যার খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন।ভাবলেন,তাই তো?চোখের জলে কপল জিজার কথা নয়।কপল তো উপরে।
  স্যার এবার এর ব্যাখ্যা করে বললেন,উল্টো করে বাঁধা ছিল আম গাছের ডালে, কপল ভিজে গেল দুই চোখের জলে।"
এবার ছাত্রগণ উত্তর পেয়ে খুশি এবং শিক্ষক উত্তর দিতে পেরে যারপরনাই খুশি।

  কিন্তু জাতির যা সর্বনাশ হবার ঠিকই হয়ে গেল।
ভুল শিক্ষা জাতির সর্বনাশ করবে এটায় তো স্বাভাবিক।
কারণ,কপল মানে কপাল নয়,কপল মানে গাল।
ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত একামত্র দ্বীন,তথা পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্হা।

    এই দ্বীনকে আলেম সমাজ শিক্ষার্থীদেরকে একেকভাবে শিক্ষা দিচ্ছেন।কেউ দ্বীন মানে কুরআন হাদিস শিক্ষা পর্যন্ত বুঝাচ্ছেন,কেউ নামাজ রোজা মধ্যে পরিপূর্ণ দ্বীন আবিস্কার করছেন এবং এই শিক্ষা প্রচার প্রসারে ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কথিত আলেমগণ।

    জামায়াত ইসলামীর হয়েছে আকিদা খারাপ।কারণ জামায়াত বলছে "উল্টো করে আম গাছের ডালে বাঁধা থাকার কারণে "কপল" ভিজেনি।"কপল" মানে কপাল নয়,কপল মানে গাল।কপল নিচে থাকার কারণেই চোখের জলে ভিজেছে।
       এখন আগের শিক্ষকগণ কপল মানে গাল এটা স্বীকার করতে চাইছেন না।কারণ,স্বীকার করে নিলে চাকরিও হারাবেন,পতিপত্তিও থাকবে না,সমাজে লাঞ্ছিত অপমানিত হবেন-ভুল শিক্ষা  দেয়ার কারণে ছাত্রগণ মুখ ফিরিয়ে নেবে,এই জ্বালা কি সয়ে নেয়া যায়?
    জামায়াতের সাথে বিরোধটা এখানেই।হযরত জননীর ফতুয়া,লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন -বোখারি-মুসলিম!
------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments