Recent Tube

মামুনুল হক্ব সাহেব বেঁচে গেলেন নাকি ফেঁসে গেলেন? আগুন নিভাতে পেট্রোল দিলেন নাকি পানি? কুতুব শাহ।

 
 মামুনুল হক্ব সাহেব বেঁচে গেলেন নাকি ফেঁসে গেলেন? আগুন নিভাতে পেট্রোল দিলেন নাকি পানি?

    মাত্র কয়েকদিন আগে আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরীর সাথে প্রিয় শায়খের সাক্ষাত এবং বক্তৃতার পর চরমোনাই ফেইসবুক সোশ্যালিস্টেরা বেশ চাপা ক্ষোভ দেখালেন তাকে সাউন্ড গ্রেনেড বলে ব্যাঙ্গ করলেন, নানান ট্রল শুরু করলেন। কিন্তু তীর জায়গায় লাগাতে পারছিল না। আল্লামা শফির মৃত্যু নিয়ে যখন একটা পক্ষ পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ শুরু করলো যাতে শাহবাগীরাও শামিল সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে মামুনুল হক্ব সাহেবকেও জড়িয়ে দিলেন। সাথে জামায়াত কানেকশান আবিস্কার করে জুড়ে দিলেন যাতে দাবী শক্ত হয়, কওমীদের একাংশ প্লাস সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। জানাযার খাটে হাত লাগানোটাকে দলীল বানিয়ে নিলেন, ব্যাস। এসব ফেইসবুকে সীমাবদ্ধ, অভিযোগ আর জবাব চলছে পক্ষে বিপক্ষে যা স্বাভাবিক। 

  মামুনুল হক্ব সম পর্যায়ের কোন দলের নেতা এসব তর্কে দেখা যায়নি। ফেইসবুকে বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা, জামায়াতের আমীর নিয়ে কত তর্ক হয় সব কিছুর কি তারা জবাব দেন? মামুনুল হক্ব পর্যায়ের কোন নেতা অভিযোগ করলে জবাব দেয়া হয়ত সঙ্গত কিন্তু সাধারণ পোলাপানের ট্রলের জবাব দিলেন স্বয়ং মামুন সাহেব- ওয়েল, গুড, মেনে নিলাম।

   কিন্তু উনার জবাবে শব্দ চয়নে একটা রাজনৈতিক দলের প্রতি নূন্যতম কূটনীতিক সৌজন্যতাও প্রকাশ হয়নি বরং জামায়াত বানানটাও জামাত লিখে দিলেন। সাধারণের ক্ষেত্রে এসব হিসাব করা হয়না কিন্তু কোন দলের প্রধান উচ্চশিক্ষিত একজন যখন এভাবে ব্যাখ্যা দেয় তখন সৌজন্যতাবোধ থাকেনা, ব্যাঙ্গাত্বক মনে হয়। যা মামুন সাহেবের ইমেইজের সাথে বেমানান।

    চরমোনাই কি এখন খুশী? সমালোচকদেরকে কি তিনি সন্তুষ্ট করতে পারছেন? নাহ, পারেন নাই। উনার স্ট্যাটাস নিয়ে চরমোনাইর এক অন লাইন পোর্টালের হেডলাইন হল, মামুন সাহেব নিজের পক্ষে সাফাই দিলেন ইশা আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকদের কাঁধে দায় তুলে দিলেন! মামুন সাহেবকে বেশী দূরে যেতে হবেনা নিজের স্ট্যাটাসের পাঠক প্রতিক্রিয়া রিভিউ করে দেখলে নিজেই বুঝবেন আগুন নিভাতে পেট্রোল ঢাললেন নাকি ইনসাফ ভিত্তিক জবাব দিয়ে ঠান্ডা করে দিলেন।

   কূটনীতিক ভাষা, সৌজন্যতা কি রকম তা আল্লামা মামুনুল হক্ব সাহেবের শ্রদ্বেয় আব্বার একটা ঘটনা থেকে নেয়া যায়।জামায়াতের এক সমাবেশে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক্ব (রাহঃ) অধ্যাপক গোলাম আযমকে উদ্দেশ্য করে বল্লেন, গোলাম আযম সাহেব আমাকে তাঁর বন্ধুত্বে জায়গা দিয়েছেন তাই আমি কৃতজ্ঞ। শায়খুল হাদীস জামায়াত করতেন না, জামায়াতের সব কিছুর সাথে তিনি একমতও ছিলেন না কিন্তু জায়গামত সৌজন্যবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি  প্রকাশে কোন জড়তা, সংকোচ করেন নাই। তাই তিনি আমাদের সবার প্রিয় শায়খুল হাদীস।  
আর মামুনুল হক্ব সাহেব? যাস্ট অবাক হলাম।
------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments